বরিশালে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং আসামির স্ত্রীর কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজিরপুর আমলি আদালতের বিচারক সাব্বির মো. খালিদ এক দিনের এক রিমান্ড আদেশে আসামিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন না করাসহ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি আলাদা কক্ষে আসামিকে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিধি মোতাবেক জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার, উজিরপুর থানার ওসি এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে এই আদেশের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় আদালত। অথচ এই আদেশ অমান্য করে গত ৪ অক্টোবর বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জিআর-২৪১/২০২০ মামলার আসামি মো. টিনুকে উজিরপুর থানায় নিয়ে যান তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. মাহবুবুর রহমান। তিনি আসামির স্ত্রী পারভীন বেগমকে ফোন করে টিনুকে নির্যাতন না করার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পারভীন তার স্বামীকে নির্যাতন না করার শর্তে ওই রাতেই ৩০ হাজার টাকা দেন উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমানকে। তারপরও ওই রাতে টিনুকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ পারভীনের। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে টিনুকে থানায় নিয়ে নির্যাতন এবং উৎকোচ নেওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন টিনুর চাচা আবদুল হালিম হাওলাদার। তবে আসামিকে নির্যাতন এবং উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ মুঠোফোনে অস্বীকার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান। বরিশালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, আদালত আদেশে বলেছে আসামিকে কারাগারের একটি আলাদা কক্ষে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। কিন্তু আসামিকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এটা সুস্পষ্ট আদালত অবমাননা। তিনি এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি করেছেন।
সর্বশেষ প্রকাশিত
- অর্থনীতি ধসল বলে
- উপদেষ্টারা কীভাবে আখের গুছিয়েছে? সত্যিই কী সেফ এক্সিটের কথা ভাবছে?
- সেনা কর্মকর্তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কী হবে? কীভাবে হবে?
- ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি শহিদুল আলম
- অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নতুন করে দমন-পীড়ন করছে
- গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি কি নতুন কোন ফাঁদ?
- চীন থেকে ২০টি জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান কেন কিনতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার?
- অন্তর্বর্তী সরকারের টিভি লাইসেন্স বিতরণ নিয়ে বিতর্ক কেন?
আপনার মতামত জানানঃ