‘ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এর দক্ষিণে ভারত মহাসাগরের হাওয়া দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে এবং এর উত্তরে দ্রুত হিমবাহ গলছে।’
– ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যালের জলবায়ু বিজ্ঞানী রক্সি ম্যাথিউ কোল।
বিশ্বের জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশের বাড়ি দক্ষিণ এশিয়া। এই অঞ্চলটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। বর্ষা এই অঞ্চলের কৃষিনির্ভর অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও এই মৌসুমটি এখন অনেক বেশি অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে বর্ষা এখন ভারী বৃষ্টিপাতের সমার্থক হয়ে উঠেছে, যেটি ভয়াবহ ও দ্রুত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। আর হচ্ছেও।
সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায় ধুকছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন পরাশক্তি। ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
ভারতে বন্যা
বর্ষার শুরু মাত্র। এর মধ্যেই ভয়ঙ্কর বৃষ্টি হচ্ছে ভারতের অন্তত ১০টি রাজ্যে। শুরু হয়েছে বন্যার তাণ্ডব। পাহাড়ে শুরু ক্লাউড বার্স্ট, ধস। গুজরাটেই মারা গেছেন ৬৯ জন, কাশ্মীরে ১৬ জন, মহারাষ্ট্রে ৮৫ ও ঝাড়খণ্ডে চারজন।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গুজরাটে। সোমবার আমেদাবাদে ২১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পুরো শহর জলের তলায়। স্কুল, কলেজ, অফিস বন্ধ। শুধু আমেদাবাদ নয়, ডাঙ, নবসারি, তাপি, ভালসাদ, পাঁচমহল, ছোট উদয়পুর, খেড়ায় বন্যা হয়েছে।
বহু নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৩৩টি বড় দল বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ধারকাজে ব্যস্ত। ভালসাদে ভারতীয় কোস্ট গার্ড ১৬জনকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে নিরাপদ জায়গায় পাঠিয়েছে।
রেললাইন জলের তলায় চলে যাওয়ায় অনেকগুলি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। রাজকোটে নেয়ারি বাঁধের উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করেছে।
গত জুন থেকে গুজরাটে বন্যায় ৬৯ জন মারা গেছেন। বুধবার সকাল থেকে গুজরাটে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।
মহারাষ্ট্রের সর্বত্র প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। মুম্বই আবার ভেসেছে। পুনাতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পালঘরে ধস নেমেছে। তাতে একজন মারা গেছেন। থানেতেও ধস নেমেছে। একটি ছোট পাহাড়ে ফাটলও দেখা দিয়েছে।
নাগপুরে তিনজনকে নিয়ে একটি গাড়ি বন্যার জলে ভেসে যায়। তিনজনই মারা গেছেন। তারা মধ্যপ্রদেশ থেকে নাগপুর এসেছিলেন। গাড়িটি একটি ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় জলের তোড়ে ভেসে যায়। গত কয়েকদিন ধরে বন্যা ও ধসের ফলে মহারাষ্ট্রে ৮৯ জন মারা গেছেন।
দিন কয়েক আগে কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রার সময় ক্লাউড বার্স্ট হয় এবং ১৬ জন তীর্থযাত্রী মারা যান। এরপর সেনাবাহিনীর তরফ থেকে রাস্তা ঠিক করে দেয়ার পর যাত্রা আবার শুরু হয়। কিন্তু আবার বৃষ্টি শুরু হওয়ায় তা এখন স্থগিত আছে।
হিমাচল প্রদেশের মানালিতে প্রবল বৃষ্টির ফলে ফ্ল্যাশ ফ্লাড বা চকিত বন্যা হয়েছে। মানালির বাসস্ট্যান্ড ভেসে গেছে। বেশ কয়েকটি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথের রাস্তা বৃষ্টির জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ, চামোলি্তে বেশ কয়েক জায়গায় ধস নেমেছে। কেদারনাথের আবহাওয়ার দিকে সারাদিনরাত নজর রাখা হচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশে বন্যার অবস্থা বেশ খারাপ। গত কয়েকদিন ধরে সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে। হারদা, বেতুল সহ বেশ কয়েকটি জেলার বড় অংশ জলের তলায় চলে গেছে। ভোপাল-বেতুল সড়ক বন্ধ করে দিতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় জানিয়েছে, প্রচুর মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ওড়িশায় মঙ্গলবার থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর ফলে বহু জায়গায় ধস নেছে। অনেক গ্রাম জলের তলায় চলে গেছে।
ঝাড়খণ্ডে ধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ধানবাদ রেল স্টেশনের কাছে একটি নির্মাণকাজ চলার সময় ধস নামে। বেশ কিছু ট্রেন হয় ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে বা বাতিল হয়েছে।
তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রেও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে এবং নদীগুলি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। আসামের শিলচর ও তার আশপাশের এলাকা এখনো জলমগ্ন।
তবে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো। এখনও সেখানে বৃষ্টির তাণ্ডব শুরু হয়নি।
বাংলাদেশে বন্যা
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় ১৭ মে থেকে ১২ জুলাই দুপুর পর্যন্ত ১১৬ জন মারা গেছেন। বন্যাসৃষ্ট দুর্ঘটনাসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মানুষ (৬৩ জন) মারা গেছেন সিলেট বিভাগে।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সারা দেশে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ মে থেকে ১২ জুলাই দুপুর পর্যন্ত বন্যায় রংপুর বিভাগে ১২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০ জন, সিলেট বিভাগে ৬৩ জন, ঢাকা বিভাগে ১ জন মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) পর্যন্ত পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৯৮১ জন।
বন্যার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৫৪৭ জন। এতে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। আরটিআই নামের চোখের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫৪ জন। তবে, এ রোগে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। বন্যার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের। সাপের কামড় খেয়েছেন ২০ জন। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
পাকিস্তানে বন্যা
প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পাকিস্তানে। করাচি সহ একাধিক বড় শহর বানভাসি। বিভিন্ন নদীর আটটি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৬০ জন মানুষ। অনেকের খোঁজ এখনও মিলছে না। দক্ষিণ পাকিস্তানের বালুচিস্তানের অবস্থা ভয়াবহ।
বালুচিস্তান প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা (বিপর্যয় মোকাবিলা) বিজিউউল্লাহ ল্যাঙ্গভ জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টির কারণেই এই বন্যা। গত দু’দিনে কমপক্ষে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ মহিলা এবং শিশু।
বালুচিস্তানে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন বহু মানুষ। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে নেমেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকেও নামানো হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ।
বালুচিস্তান থেকে দ্রুত বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়ায় বাড়ি ধসে পড়ে ৬ বছরের এক শিশু-সহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় ৪ জন আহতও হয়েছে।
কেন বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ?
করোনা মহামারির ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করলেও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নেই মাথাব্যাথা। এখন পর্যন্ত কার্বন নিঃসরণ কিংবা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার; কোনোটাই কমিয়ে আনতে পারেনি মানুষ।
সাম্প্রতিক সময়ে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সাক্ষী হয়েছে গোটা বিশ্ব। এ বন্যার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্ক গভীর, এমনটাই মনে করেন হংকংয়ের একদল গবেষক। তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ের যতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সবগুলোর সঙ্গেই নিবিড়ভাবে জড়িত জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা।
বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তন আর এর ভয়াবহতা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সতর্ক করে আসলেও মানুষের মধ্যে এ নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। পরিবেশ রক্ষার পরিবর্তে উল্টো পরিবেশ দূষণ নিয়ে ব্যস্ত মানুষ।
গাফিলতির ফলশ্রুতিতে, সম্প্রতি রেকর্ড ছাড়িয়েছে উত্তর আমেরিকার তাপমাত্রা। দাবানলে পুড়ছে বন। মাটি হয়ে যাচ্ছে কৃষিকাজের অনুপযোগী। স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে এশিয়া ও ইউরোপ।
কিছুদিন ধরেই তাই বিশ্বে শিরোনাম এই জলবায়ু পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তন যে কতো ভয়াবহ হতে পারে, এটা টের পেয়েছে চীনও। গত বছত দেশটির হেনান প্রদেশে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে, যেখানে হাজার বছরে একবার এখানে এতো বৃষ্টিপাতের নজির আছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ। আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১৯ কোটি ডলার।
বিভিন্ন অঞ্চলে খরা বাড়ছে, শীত মৌসুমের সময়কাল কমছে। দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে একরের পর একর বন। যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে, সেটাই আগের চেয়ে অনেক ভয়াবহ হচ্ছে। কারণ, পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, পানির উষ্ণতা বাড়ছে, বায়ুমন্ডলে বেশি পানি বাষ্পীভূত হচ্ছে।
নড়েচড়ে বসে এখন সব দেশই বলছে, ভয়াবহ এই বিপর্যয়ের পেছনের কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। অসতর্কতার কারণে জলবায়ু পরিবর্তন যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড মেটেওরোলজিক্যাল সংস্থা বলছে, এসব দেশের বিপর্যয়গুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ছাড়া অন্য কিছুই না।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই দশকের শেষের দিকে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। এখনকার সময়ের চেয়ে ১৪ গুণ বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে তখন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা। প্রকৃতিকে সমতা নেই, যেটার একমাত্র কারণ মানুষ।
আবহাওয়াবিদ অ্যান্ড্রিয়াস ফিঙ্ক জানিয়েছেন, আগামীদিনে বৃষ্টির প্রকোপ আরো বাড়বে। অর্থাৎ, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যেমন বাড়বে তেমনই বাড়বে অল্পসময়ে বেশি বৃষ্টির প্রবণতা। ফিঙ্কের সঙ্গে একমত জুরিখের বিজ্ঞানী সেবাস্টিয়ান সিপল। তিনি জানিয়েছেন, এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়লে বাতাসে ৭ শতাংশ অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প জমে। ওই জলীয় বাষ্প থেকেই পরবর্তী সময়ে বৃষ্টি হয়। ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কেন বাড়ছে, তা সহজেই অনুমেয়। তার বক্তব্য, অদূর ভবিষ্যতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং তীব্রতা আরো বাড়বে।
একটি বিষয়ে প্রায় সমস্ত বিজ্ঞানীই সহমত। মানুষের জন্যই বিশ্ব উষ্ণায়ন এভাবে ত্বরান্বিত হয়েছে। এবং তার ফলেই প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। অ্যামেরিকা এবং ক্যানাডার উপর দিয়ে যে তাপপ্রবাহ বয়ে গেল, তার কারণও উষ্ণায়ন। মেরু অঞ্চলের উপর যে হাওয়া তৈরি হয়, তা এতদিন তাপপ্রবাহ থেকে অ্যামেরিকা এবং ক্যানাডাকে রক্ষা করেছে। কিন্তু ক্রমশ সেই হাওয়ার দাপট কমছে বলে তাপপ্রবাহ ঘটছে। এই তাপপ্রবাহের ফলেও স্বাভাবিক তাপমাত্রা অনেকগুণ বাড়ছে। যার থেকে ভয়াবহ বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। একের পর এক সাইক্লোন আছড়ে পড়ছে।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এর পাশাপাশি চাঁদের কক্ষপথও একটি বড় বিষয়। প্রতি ১৮ দশমিক ছয় বছরে চাঁদের কক্ষপথে সামান্য পরিবর্তন দেখা যায়। সেই পরিবর্তনের ফলে জোয়ার ভাটায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগের চেয়ে অনেক ফুলে উঠতে শুরু করেছে জোয়ারের জল। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, আগামী কয়েকবছরে জলের স্তর অনেকটাই ফুলে উঠতে পারে। তার ফলে বন্যার সম্ভাবনা বাড়বে।
এসডব্লিউ/এসএস/১৬৫৫
আপনার মতামত জানানঃ