
আফগানিস্তানের একজন সাবেক টেলিভিশন উপস্থাপক এবং আরও দু’জন বেসামরিক মানুষ শনিবার কাবুলে বোমা বিস্ফোরণে সর্বশেষ সহিংসতায় নিহত হয়েছেন। পুলিশের মুখপাত্র ফেরদাওস ফারামারজ সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তানের রাজধানীতে তাঁর বাসভবনের কাছে গাড়িতে সংযুক্ত বোমা বিষ্ফোরণে ইয়ামা সিয়াওয়াশ মারা গেছেন।
ইয়ামা সিয়াওয়াশ সম্প্রতি আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উপদেষ্টা হিসাবে যোগদান করেছিলেন। তিনি দেশের বৃহত্তম বেসরকারী টিভি চ্যানেল টলো নিউজে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও বর্তমান ঘটনাবলী বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসাবে কাজে করে বেশ আলোচিত ছিলেন। সাংবাদিক হিসাবে তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।
কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে কাবুল ও অন্যান্য শহরগুলিতে লক্ষ্যবস্তু হামলায় সাংবাদিক, বিভিন্ন গোত্রের নেতা, রাজনীতিবিদ ও অধিকারকর্মীসহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি ইতিমধ্যে নিহত হয়েছেন।
সিয়াওয়াশের হত্যাকান্ডে উর্ধ্বতন আফগান কর্তৃপক্ষ তাত্ক্ষণিক নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে দেশের সামগ্রিক শান্তি ও পুনর্মিলন প্রক্রিয়ার প্রধান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ বলেছেন, সাংবাদিকদের টার্গেট করে বাকস্বাধীনতা লক্ষ্য করা এবং শিয়াওয়াশের মৃত্যু আমাদের দেশের জন্য একটি বড় ক্ষতি। । এটি একটি অপূরণীয় ক্ষতি এবং অবিস্মরণীয় অপরাধ।
রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনির মুখপাত্র সাদিক সিদ্দিকীও আফগানিস্তানের “অন্যতম প্রতিভাধর টিভি উপস্থাপক হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছিল, যার মধ্যে বেশিরভাগই ছাত্র। আইএসআইএল সহযোগী এই হামলার পাশাপাশি ২৪ অক্টোবর কাবুলের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আরেকটি হামলার দায় স্বীকার করেছিল যাতে ২৪ জন নিহত হয়েছিল। আফগানিস্তানে কয়েক দশকের নিরলস যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য সরকার এবং তালেবানরা আলোচনায় থাকলেও এসব ঘটনা আলোচনার উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।
আপনার মতামত জানানঃ