ভিক্টোরিয়ান যুগে, নারীদের চুল চেহারার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচিত হত এবং এটি তাদের মর্যাদা এবং নারীত্বকে মহিমান্বিত করত। সেই যুগের নারীদের চুল সবচেয়ে বড় করার আকাঙ্ক্ষা থাকত। তখন চুলকে নারীর মাথার মুকুট মনে করা হত।
চুল আঁটসাট করে বেঁধে রাখার বিপরীতে যেমন ‘চুল ছেড়ে রাখা’কে এখন আরাম করা বা বিশ্রাম করা বোঝায়, তখন ছিল এটি আভিজত্যের প্রতিক। এটি এমনি গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যাপার ছিল যে, যখন কোনো রমণী খাটে তার চুল ছড়িয়ে চিরুনি করতে থাকে তখন গোটা খাটই যেন দখলে নিয়ে নিত। চুল বড় হওয়ার কারণেও চুল ছেড়ে রাখাটা তখন জনপ্রিয় ছিল।
তখন আলগা চুলের ব্যবহার তেমন একটা পাত্তা পেত না। সম্মানিত নারীরা আলগা চুল পরে কখনো বের হতেন না। আলগা চুল পরা তখন শিল্পের একটি অংশ বা স্টাইল ছিল কেবল।
প্রায় যে হত তা নয়, লম্বা, ক্যাসকেডিং চুলের নারীরা সচরাচর মডেল এবং অভিনেত্রী ছিলেন, এতে অন্তরঙ্গতা এবং রোমান্টিকতাকে ফুটিয়ে তোলার ব্যাপার ছিল। একজন ভিক্টোরিয়ান পর্যবেক্ষকের কাছে, লম্বা, আলগা চুলের নারীদের ছবি বিশেষভাবে উত্তেজনাপূর্ণ হতে হবে।
ভিক্টোরিয়ান সমাজের ফ্যাশনেবল মধ্য ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে, একজন নারীর চুল যৌন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল।
দরিদ্র শ্রেণীর জন্য, সেই সময়ের রোগ এবং দুর্বল স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে দীর্ঘ চুল রক্ষণাবেক্ষণ ছিল অত্যন্ত অবাস্তব। অনেক নারীই নগদ অর্থের জন্য তাদের চুল বিক্রি করতেন।
ভিক্টোরিয়ান চুলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির মধ্যে একটি ছিল— ঝরঝরে। স্টাইল যাই হোক না কেন, চুল পরিষ্কার ও ঝলমলে রাখতে হতো।
লেখা ও ছবি: https://rarehistoricalphotos.com/
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৯২০
আপনার মতামত জানানঃ