র্যাবের ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ ঘটনায় এ বাহিনীর সাবেক প্রধান, বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদসহ সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন বাংলাদেশ সরকারের ওপর বড় ধরনের কূটনৈতিক চাপ তৈরি হয়। র্যাব প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরে বিভিন্ন সময় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা গুমের অনেক ঘটনা বাহিনীটিকে বিতর্কে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ বলছে অন্তত ছয়শ মানুষকে গুমের অভিযোগ আছে বাংলাদেশে পুলিশের এ এলিট ফোর্সের বিরুদ্ধে।
এদিকে বাংলাদেশের বিশেষায়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর মার্কিন অর্থ দপ্তরের নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় বাহিনীটি ভুক্তভোগীদের স্বজন, মানবাধিকারকর্মী, তাদের পরিবার ও মানবাধিকার সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক ১২টি সংস্থা।
গতকাল বৃহস্পতিবার(০৭ এপ্রিল) মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
অভিযোগকারী সংস্থাগুলো হচ্ছে—অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অ্যান্টি ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক, এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিসঅ্যাপেয়ারেন্স, এশিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া), এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেনকশন্স, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, সিভিকাস: ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, ইলিওস জাস্টিস, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অ্যাগেইনস্ট টর্চার।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং জোরপূর্বক গুমসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র্যাব এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর থেকে র্যাব এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) ভুক্তভোগী এবং মানবাধিকারকর্মীদের হুমকিমূলক ফোন কল করছে, তাদের স্থানীয় অফিসে ডেকে পাঠাচ্ছে এবং মধ্যরাতে তাঁদের কর্মস্থল ও বাড়িতে হানা দিচ্ছে।
একটি ঘটনায় দেখা যায়, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা একজন মানবাধিকারকর্মীর আত্মীয়কে এ বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত হয়রানি করেছে। ওই আত্মীয় যেহেতু গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারকে সমর্থন করতেন, তাই তার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। আরেকজন মানবাধিকারকর্মী বলেছেন, র্যাব কর্মকর্তারা মধ্যরাতে তার বাড়িতে গিয়েছেন এবং গুমের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। র্যাবের কর্মকর্তারা এই কর্মীর কর্মস্থলেও যান এবং এই বলে হুমকি দেন, ‘তথ্য গোপন করলে নিজের জন্য আরও সমস্যা হবে।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরও লিখেছে, মানবাধিকারকর্মীদের হয়রানি করার জন্য সরকার কঠোর আইন ও আদালতকে ব্যবহার করছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাংবাদিক জহুরুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে সরকার ও পুলিশের সমালোচনামূলক পোস্ট করার অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং নির্বাসিত সাংবাদিক তাসনীম খলিলের বিরুদ্ধে ‘গুজব ছড়ানো’ এবং ‘সরকারবিরোধী’ কার্যকলাপে অংশ নেওয়ার অভিযোগ তুলে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করে।
এ ছাড়া বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের নেতা আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসিরুদ্দিন এলান ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। মানবাধিকারকর্মীদের পরিস্থিতি নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক মেরি ললর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ন্যায্য বিচারের নিশ্চয়তা বজায় রাখতে আদালত ব্যর্থ হয়েছে এবং এর স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।’
বেসরকারি সংস্থা অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর সঙ্গে অধিকারের চুক্তি নবায়নের আবেদনটি ২০১৪ সাল থেকে মুলতুবি হয়ে ছিল। বছরের পর বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর গত ফেব্রুয়ারিতে আবেদনটি পাস হলে অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো অধিকারকে একটি চিঠি পাঠায়, যেখানে ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত নিখোঁজ হওয়া প্রত্যেকের নাম, ঠিকানা, সুনির্দিষ্ট তথ্য ও নথিপত্র চেয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
গত ১৪ মার্চ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণ মানবাধিকারের কাজকে নিরুৎসাহিত করতে ও বাধা দিতে পারে। বাংলাদেশের উচিত অবিলম্বে মানবাধিকারকর্মী, গুম হওয়া ব্যক্তিদের আত্মীয় এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে সব কার্যক্রম বন্ধ করা। মানবাধিকার সংস্থাগুলো জাতিসংঘের উদ্বেগের প্রতি সাড়া দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে র্যাবে কর্মরত কাউকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে না পাঠানোরও আহ্বান জানিয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর মার্কিন অর্থ দপ্তরের নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় বাহিনীটি ভুক্তভোগীদের স্বজন, মানবাধিকারকর্মী, তাদের পরিবার ও মানবাধিকার সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক ১২টি সংস্থা।
আন্তর্জাতিক ওই ১২টি সংস্থা বলেছে, বাংলাদেশের উচিত অবিলম্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তি, মানবাধিকারকর্মী এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে সব প্রতিশোধমূলক কার্যক্রম বন্ধ করা। এসবের পরিবর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে পূর্ণ জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রতি সরকারের মনোনিবেশ করা উচিত।
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো গত কয়েক বছর ধরে গুম-খুন সহ নানা অভিযোগ তুলে ধরছিলো র্যাবের বিরুদ্ধে। কক্সবাজারে কাউন্সিলর একরাম হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর তা নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছিল আন্তর্জাতিক মহলে। তারও আগে নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় র্যাবের ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত যা এখনো উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে উক্ত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না। এরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলেও বিবেচিত হবেন। আর র্যাবও প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কাছ থেকে যেসব সহযোগিতা পাচ্ছিলো সেগুলো বাতিল হতে পারে।
একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত বেনজির আহমেদ ও র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ র্যাবের আরও চারজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার বিদেশে সম্পদ থাকলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত হতে পারে।
দীর্ঘদিন যাবত র্যাবের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের কথা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছিলেন। এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর কাছে সিনেটের আটজন সদস্য চিঠি দিয়ে র্যাবের বিরুদ্ধে কিছু সুস্পষ্ট অভিযোগ করেছিলেন। তারই ভিত্তিতে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে আমরা ধরে নিতে পারি।
সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব বিষয়ে একত্রে কাজ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে অর্থ বা ট্রেজারি বিভাগের বক্তব্য থেকে।
এতদিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন গুম খুন নিয়ে নানা ধরণের বিবৃতি দিলেও সুনির্দিষ্টভাবে এই প্রথম কোন ব্যবস্থা নিল। সে কারণেই এর প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে।
এই নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে বড় বিষয় হলো কূটনৈতিক চাপ। নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন বাংলাদেশ সরকারের ওপর বড় ধরনের কূটনৈতিক চাপ তৈরি হল।
এতদিন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও, বাংলাদেশের সরকার খুব একটা কর্ণপাত করেনি, নির্লিপ্তভাবে উল্টে এর প্রতিবাদ করেছে৷ আর সরকারি দলের নেতারা মণ্ডুপাত করেছেন মানবাধিকার কর্মীদের৷
তবে ২০১৫ সালের দিকে সরকারি দলের একাধিক এমপি-র তোপের মুখে পড়েছে র্যাব ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী৷ ফলে সরকারও ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে৷ রাজধানীতে ছাত্রলীগের এক নেতার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাবয়ের একটি ব্যাটেলিয়নের প্রধানকে প্রত্যাহার করা হয়৷ ওই কর্মকর্তারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিহত ছাত্রলীগ নেতার ভাই আদালতে নালিশী মামলা করেন৷
এবার যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে সরকারের অবস্থান কী হবে এটাই দেখার বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে র্যাবের যে কার্যক্রম, তার বিরুদ্ধে ব্যাপক ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আইনের শাসনের প্রতি অবজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ ও বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতিকে হুমকির মুখে ফেলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) বরাত দিয়ে বলা হয়, র্যাবের বিরুদ্ধে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬০০টির বেশি গুম, ২০১৮ সাল থেকে ৬০০ জনকে বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। কিছু প্রতিবেদন বলছে, এসব ঘটনা বিরোধী দলের সদস্য, সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মীদের ওপরও ঘটানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে বিচারিক প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড। সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক অপরাধীর আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার আছে। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তি কোনো অপরাধ করলে সে তার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে, সাক্ষ্য উপস্থাপন করতে পারবে। এটি তার মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, সেখানে বিচারের আগেই আইনের তোয়াক্কা না করে অভিযুক্তকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে প্রাণ দিতে হচ্ছে।
তারা বলেন, বিগত এক দশকে দেশ এমন অবস্থার সাক্ষী যেখান থেকে গণতন্ত্র ক্রমেই সরে গেছে। এমন এক শাসনব্যবস্থার সাক্ষী হয়েছে, যা গণতন্ত্রের যেকোনো রূপ থেকেই অনেক দূরে। ক্ষমতাসীনরা বলপ্রয়োগের ওপরেই আরও নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। দেশ শাসনে এখন বলপ্রয়োগের বাহিনীগুলোই প্রাধান্য পাচ্ছে। বিগত দুই নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থায় জবাবদিহির বিষয়টি অনেক দূরে চলে গেছে। যদিও এগুলোকে ‘নির্বাচন’ বলা যায় কি না, তাও একটি প্রশ্ন।
আরও বলেন, সুষ্ঠূ ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহির যে প্রক্রিয়া, তা যখন কার্যত অবসিত হয়েছে, তখন আরও বেশি দরকার হয়ে পড়েছে রাষ্ট্রের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে জবাবদিহির চেষ্টা করা। কিন্তু, গুমের বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (এনএইচআরসি) কথা বলতে পারার ব্যর্থতার মাধ্যমেই জবাবদিহি না থাকায় তৈরি হওয়া সংকটের গভীরতা বোঝা যায়।
তারা বলেন, গুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার সময়ে এটা গুরুত্ব দেওয়া দরকার যে, গুমের বিষয়টি শাসনব্যবস্থা ও জবাবদিহির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত; আর এটা খুব স্পষ্টভাবে বলা যে, রাষ্ট্রকে অবশ্যই এর দায় নিতে হবে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৭০৯
আপনার মতামত জানানঃ