জাতিসংঘের নির্যাতন সংক্রান্ত কমিটির (সিএটি) লেখা অত্যন্ত সমালোচনামূলক প্রতিবেদনটির জবাব দিতে দুই বছর দেরি করেছে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নির্যাতনের বিষয়ে কড়া ভাষায় লেখা একটি প্রতিবেদনের সুপারিশের জবাব দিতে দুই বছর বিলম্ব হওয়ায়, বাংলাদেশ সরকারকে তিরস্কার করেছে জাতিসংঘের নির্যাতন-বিরোধী কমিটি (সিএটি)।
২০১৯ সালে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটিতে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নির্যাতনকে একটি “জরুরি উদ্বেগ” হিসেবে বর্ণনা করা হয়। পাশাপাশি, আটক করে স্বীকার না করার চর্চা বন্ধ করা এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল।
এদিকে ওই বছরই মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মানবাধিকার বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি প্রশ্রয়ে বেআইনি হত্যা, জোর করে নিখোঁজ করা, নির্যাতন, বেআইনি কারাদণ্ড ইত্যাদি ঘটনা ঘটেছে বছরজুড়ে। গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীদেরও গ্রেফতার করা হয়।
‘২০১৯ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর পর তিন বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু তার সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার বিষয়টি প্রকট আকারে ছিল। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন, বেআইনি গ্রেফতারের মাধ্যমে নির্বাচনে প্রভাব সৃষ্টি করা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা সভা-সমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ভয়ে করতে পারেনি। নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়।
বলা হয়, সরকারি প্রশ্রয়ে বেআইনি হত্যা, জোর করে নিখোঁজ করা, নির্যাতন, বেআইনি কারাদণ্ড ইত্যাদি ঘটনা ঘটেছে বছরজুড়ে। গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীদেরও গ্রেফতার করা হয়। সংগঠন করার অধিকার, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অধিকার খর্ব করা হয়। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন ও তাতে অংশগ্রহণে বাধার সৃষ্টি করা হয়।
এদিকে, জাতিসংঘের কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান বখতিয়ার তুজমুখামেদভ গত ৩ মার্চের একটি চিঠিতে লিখেছেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, এসব বিষয়ে আপনাদের সরকারের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করতে আপনাদের অনুরোধ করছি। পাশাপাশি, কমিটির চাহিত তথ্য কখন প্রদান করা হবে তার একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা অবহিত করার জন্য অনুরোধ করছি।”
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে কমিটি বাংলাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর হাতে নির্যাতনের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের এই নির্যাতন-বিরোধী কমিটি বাংলাদেশ সরকারকে কিছু পরামর্শ দেয়।
পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রকাশ্যে স্বীকার করা উচিত যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সংঘটিত নির্যাতন ও নিষ্ঠুর আচরণ প্রতিরোধ করাকে সরকার “জরুরী উদ্বেগ” হিসেবে বিবেচনা করছে।
এতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রকে দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করতে হবে যে কোনো অবস্থাতেই কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্যাতন ও নিষ্ঠুর আচরণ মেনে নেয়া হবে না। এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উচিত “সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দ্বার্থ্যহীনভাবে স্পষ্ট করা যে, কাউকে আটক করে তা স্বীকার না করার চর্চা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।”
এছাড়া, সরকার-স্বীকৃত বন্দীশালার একটি তালিকা প্রকাশ করা এবং কাউকে গোপনে আটক না রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
র্যাবের বিষয়ে কমিটি সরকারকে সুপারিশ করে যে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা প্রতিনিয়ত নির্যাতন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, আটক করে অস্বীকার করা, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটন করেছে বলে যেসব অভিযোগ রয়েছে, তা তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে।
একই সাথে সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, তদন্ত পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা হয়রানি বা হুমকি থেকে যেন কার্যকর সুরক্ষা পায়।
২০২২ সালের মার্চে জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে লেখা ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে কমিটি আগস্ট ২০১৯-এ তাদের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ পাঠায় এবং বাংলাদেশকে “এক বছরের মধ্যে” ফলোআপের বিষয়ে আরও তথ্য প্রদান করার অনুরোধ করা হয়।
তবে উত্তর দেয়নি বাংলাদেশ। সিএটির চিঠিতে বলা হয়েছে, “দুই বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও কমিটির প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে চাওয়া তথ্য রাষ্ট্রীয় পক্ষ সরবরাহ করেনি।”
২০২১ সালের ডিসেম্বরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার র্যাব এবং এই বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক সাতজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগের কথাও উল্লেখ করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গুম হওয়া ৮৬ জন ব্যাক্তির একটি তালিকা ২০২১ সালের শেষের দিকে সরকারের কাছে পাঠায় জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড ইনভলেন্টারি ডিসপিয়ারেন্স (ডব্লিউজিইআইডি)।
২০১৯ সালের জাতিসংঘের প্রতিবেদন
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কমিটিতে (ক্যাট) বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় ২০১৯ সালের ৩০ ও ৩১ জুলাই। সেখানে গুম, আটক, হেফাজতে নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন অভিযোগ তোলে কমিটি এবং এর জবাব দেয় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল। এরপর ৯ আগস্ট নিজেদের পর্যবেক্ষণ ও কিছু বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ এবং সঙ্গে বিভিন্ন সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে কমিটি। তার কিছু অংশ এখানে উল্লেখ করা হলো।
কমিটি কিছু বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন
ক. রাষ্ট্রপক্ষের কারাগারগুলোর পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় অনেক নিচু মানের এবং সেখানে কিছু চরম ক্ষেত্রে অনেক সময় নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ করা হয়—এমন প্রতিবেদন পেয়ে;
খ. কারাগারগুলোতে বন্দীদের সংখ্যা অত্যন্ত বেশি, এমনকি ধারণক্ষমতার চেয়ে ২০০ শতাংশের বেশি এবং নির্বাচনের সময় ৪০ হাজার বন্দী ধারণক্ষমতার কারাগারগুলোতে এর চেয়েও বেশি বন্দী রাখা হয়—রিমান্ডের জন্য আটক রাখার বিধানের বহুল ব্যবহারের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে বন্দীদের পালা করে ঘুমাতে বাধ্য করা হয়, এমনকি কারাগার কর্তৃপক্ষকে কারাগারের সীমানার ভেতরেই অস্থায়ী ছাউনি তৈরির কথা বিবেচনায় নিতে হয় এবং এমন পরিস্থিতির কারণেই ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রায় ১০০ বন্দীকে একটি পরিত্যক্ত গুদামে রাখতে হয়েছিল;
গ. কারাগার ও হাজতখানার খুবই বাজে পরিস্থিতির কারণে ২০১৮ সালে ৭৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে অপর্যাপ্ত পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা, খাদ্য ও সুপেয় পানির অভাব, অপর্যাপ্ত শৌচাগার ও স্নানাগারের সুবিধা এবং বিছানা, অপর্যাপ্ত আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থার কথা জানা গেছে; এ ছাড়া চিত্তবিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ও মানসিক উত্তেজনা প্রশমনের সুযোগেরও অভাব রয়েছে;
ঘ. কারাগারগুলোতে বিদ্যমান দুর্নীতির বিষয়ে, এগুলোর মধ্যে আছে—সেখানে প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য রক্ষীদের চাঁদাবাজির শিকার হতে হয় বন্দী ও তাদের স্বজনদের; ‘মেট’ ব্যবস্থা থাকার কারণে জ্যেষ্ঠ বন্দীরা অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, এমনকি অন্য বন্দীদের খাবার পাওয়া ও কারাবাসের শর্তাবলিতেও তারা হস্তক্ষেপ করে থাকে; এবং তারা প্রায়ই কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ হয়ে সাজার সীমা কমিয়ে দেয়; এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরকারী বন্দীদের প্রতিশোধমূলক কার্যকলাপের শিকার হতে হয়;
ঙ. রাষ্ট্রপক্ষের থাকা ৬৮টি কারাগারের মধ্যে মাত্র ১২টিতে হাসপাতাল আছে এবং সেগুলোতে থাকা চিকিৎসকদের ১৭০টি পদের মধ্যে মাত্র এক ডজনে পদায়ন আছে, জানা গেছে বাজে পয়োনিষ্কাশন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে চিকিৎসকেরা কারাগারে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিজেদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ভীত থাকেন;
চ. হেফাজতে থাকাকালে মৃত্যুর উচ্চ সংখ্যার বিষয়ে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেগুলোকে স্বাভাবিক মৃত্যু বা আত্মহত্যা বলে অভিহিত করে থাকে। কিন্তু এসব ঘটনার মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ এবং নির্যাতনের কারণে সৃষ্ট আঘাত থেকে মৃত্যু হয়েছে, একই সঙ্গে খারাপ পরিস্থিতি, কারাগার কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং চিকিৎসার সুযোগ পাওয়ার অভাবও এসবের জন্য দায়ী; ২০১৯ সালে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ১১ জন কারাগারে অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন; এবং প্রায় সব বন্দীই সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের সংস্পর্শে এসেছে এবং তা থেকে অসুস্থতা সৃষ্টি হয়;
ছ. অপ্রাপ্তবয়স্ক বন্দীদের প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে রাখা হয়; নারী বন্দীদের হয়তো পুরুষ বন্দীদের সঙ্গে রাখা হয়; এবং ওই কারাগারগুলোতে প্রতিবন্ধী বন্দীদের রাখার মতো ব্যবস্থা নেই (আর্টিকেল ২, ১১, ১২, ১৩ ও ১৬)।
ক্ষমতার অতিরিক্ত ব্যবহার
নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ক্ষমতার অতিরিক্ত ব্যবহারের ঘটনার নিয়মিত অভিযোগসমূহের বিষয়ে কমিটি খুবই উদ্বিগ্ন, এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে কাছে থেকে হাঁটু, পা বা কনুইয়ে গুলি করার অনুশীলন চালানো, যা ‘নিক্যাপিং’ নামে পরিচিত, যেগুলো প্রায়ই অঙ্গহানিসহ স্থায়ী প্রতিবন্ধিতা সৃষ্টি করে থাকে। সাম্প্রতিক ও অতীতের নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত ঘটনায় কর্তৃপক্ষের ঘটানো নানা সহিংসতার বিষয়ে পাওয়া প্রতিবেদনের ব্যাপারেও কমিটি উদ্বিগ্ন, এর মধ্যে আছে বিক্ষোভকারীদের ওপর চালানো হামলা, পোলিং স্টেশন জব্দ করা এবং হুমকি দিয়ে ও সহিংসতার মাধ্যমে ভোট দমিয়ে রাখা (আর্টিকেল ২, ১০, ১২, ১৩ ও ১৬)।
বিতর্কিত আটক
২০১৮ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রায় ৫ হাজার সমর্থককে আটকের তথ্যের ব্যাপারে কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করছে, যেখানে দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশের পর সহানুভূতি প্রদর্শন করা অনেক সাধারণ মানুষও ছিল। একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে-পরে বিরোধী দলের কয়েক হাজার সমর্থককে গ্রেপ্তার এবং তাদের অনেককেই এখনো আটক রাখার অভিযোগ সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করছে কমিটি। একই সঙ্গে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংযোগ রয়েছে, এমন সন্দেহে বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাধীনতায় অযৌক্তিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়েও উদ্বিগ্ন কমিটি। (আর্টিকেল ২, ১১, ১২, ১৩ ও ১৬)
রাষ্ট্রপক্ষকে অবশ্যই রাজনৈতিক কর্মী, আন্দোলনকারী, গ্রেপ্তার ব্যক্তি, সহিংসতা রোধে গণজমায়েত থেকে আটকসহ সব আটক ব্যক্তিকে সত্যিকার অর্থেই আটককালীন সব মৌলিক নিরাপত্তা (১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত) দিতে হবে এবং দ্রুততম সময়ে তাকে বিচারকের সামনে হাজির করার বিষয়টিও রাষ্ট্রপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। ওপরে বর্ণিত প্রতিরোধমূলক কার্যকলাপের সময় আটক ব্যক্তিদের নির্যাতনের সব অভিযোগ দ্রুত ও কার্যকর তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তদন্তকারীদের সুপারিশক্রমে হয় বিচারের আওতায় আনা বা আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
এসডব্লিউ/এসএস/১৭৩০
আপনার মতামত জানানঃ