জাতীয় বাজেট, সরকারের নীতি ও পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য খাতের উপেক্ষিত হবার ঘটনা নতুন নয়। এছাড়া বাজেট স্বল্পতা, অব্যবস্থাপনা, দুর্বল অবকাঠামো, জনবলের ঘাটতি, অদক্ষতা, দুর্নীতির কারণে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা একপ্রকার বিধ্বস্ত। রোগীদের থেকেও জীর্ণ।
হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা নিয়ে অভিযোগের যেনো শেষ নেই। হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনা মানেই যেনো পুকুরচুরির মতো অবস্থা। ২ টাকার যন্ত্রের দাম ১০ টাকা দেখানো, এখন একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। এই পালে হাওয়া লাগিয়েছে সম্প্রতি হাসাপাতালের যন্ত্রপাতি কেনার অনিয়মের খবরে।
হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনা নিয়ে আবারও লুটপাটের পাঁয়তারা চলছে। প্রায় দ্বিগুণ দামে কেনা হচ্ছে সব যন্ত্রপাতি। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে একই যন্ত্রপাতি যে দামে কেনা হয়েছে ঠিক সেই একই যন্ত্রপাতি এবার দ্বিগুণ দামে কেনার বিষয়টি খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতরে বহুল আলোচিত হচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনা নিয়ে হচ্ছেটা কি?
স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনস্ত বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য দ্বিগুণ দামে যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের একটি যৌথ সিন্ডিকেট এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ৪০৪ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএএমএসডি) থেকে ইজিপির মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলেও কিছু যন্ত্রপাতির বৈশিষ্ট্য এমন কৌশলে চাওয়া হয়েছে, যাতে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কেউ সেসব সরবরাহ করতে না পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, একবছর আগেই যেসব যন্ত্রপাতি যে দামে কেনা হয়েছে, চলতি বছর সেগুলোর দ্বিগুণ দাম ধরেছে খোদ স্বাস্থ্য অধিদফতর। সরবরাহকারীদের লভ্যাংশের একটি বড় অংশ অসাধু কর্মকর্তারা পকেটে ভরে নেওয়াই এর উদ্দেশ্য। এছাড়া হাসপাতাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের (এইচএসএম) জন্য আগে সিএমএসডির মাধ্যমে যন্ত্রপাতি কেনা হতো। লুটপাটের লোভে এবার স্বাস্থ্য অধিদফতর নিজেরাই প্রায় ২০০ কোটি টাকায় অর্ধেক যন্ত্রপাতি কিনছে। বাকি অর্ধেক কিনবে সিএমএসডি।
জানা গেছে, সাধারণত হাসপাতাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত হাইটেক যন্ত্রপাতি আগে সিএমএসডি’র মাধ্যমে কেনা হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে স্বাস্থ্য অধিদফতর বার্ষিক কেনাকাটার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরির পর তা দুই ভাগ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ২০৪ কোটি টাকার কেনাকাটা করবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ নিজেরাই। কেনাকাটার জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের লাইন ডিরেক্টর মাজহারুল হক তপনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২৪টি প্যাকেজের আওতায় কেনাকাটা করার জন্য ইতোমধ্যে তিনি দরপত্র আহ্বান করেছেন। বাকি ২০০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনতে দরপত্র আহ্বান করেছে সিএমএসডি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সিএমএসডি’র এই ৪০৪ কোটি টাকার কেনাকাটা নিয়ে ইতোমধ্যে সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা খোঁজ নিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লুটপাটের আগেই অপকর্ম ঠেকাতে ইতোমধ্যে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই এগুলো প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তাঁর কার্যালয়ে প্রতিবেদন আকারে পৌঁছাবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের বিভিন্ন নথিপত্রে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার যে প্রকিউরমেন্ট পলিকল্পনা তৈরি করেছে, সেখানে একটি মেডিকেল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের জন্য সাড়ে ৪ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর স্বাস্থ্য অধিদফতর সেই একই মেডিকেল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কেনার জন্য ৮ কোটি টাকা বাজেট ধরেছে। এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবর মাসেই কেন্দ্রীয় ঔষধাগার ২৩৪টি আইসিইউ বেড কেনে প্রতিটি ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা করে। চলতি বছরও ৫০টি আইসিইউ বেড কেনা হবে, তবে প্রতিটি আইসিইউ বেডের জন্য বাজেট ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে। এছাড়া গত বছরের তুলনায় প্রতিটি আইসিইউ ভেন্টিলেটরের ক্ষেত্রে প্রায় ৪ লাখ টাকা করে বাড়তি দাম ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে গত বছরের আগস্টে সিএমএসডি যেসব পেশেন্ট মনিটর কিনেছিল ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা করে, এই বছর একই পেশেন্ট মনিটর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ দাম ধরেছে ৬ লাখ টাকা করে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ গত ৯ মার্চ চারটি আলট্রাসনোগ্রাম, ফোরডি কালার ডপলার কেনার দরপত্র আহ্বান করেছে। প্রকিউরমেন্ট পরিকল্পনায় এই যন্ত্র কিনতে বাজেট ধরা হয়েছে প্রতিটি ৭০ লাখ টাকা করে। কিন্তু গত বছরই সিএমএসডি এই যন্ত্র কিনেছিল ৩৪ হাজার ডলার করে। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য ছিল মাত্র ২৯ লাখ টাকা। এসএস সায়েন্টিফিক করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই যন্ত্র সরবরাহ করেছিল। গত বছর আনিফকো হেলথকেয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইকোকার্ডিওগ্রাফি ফোরডি ডপলার কিনেছিল ৫০ লাখ টাকা করে, এই বছর তা কেনার জন্য বাজেট করা হয়েছে ৭০ লাখ টাকা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনস্ত বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য দ্বিগুণ দামে যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের একটি যৌথ সিন্ডিকেট এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
একইভাবে গত বছর যে সিরিঞ্জ পাম্প কেনা হয়েছিল ৮০ হাজার টাকা করে, এ বছর তা কেনার জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গত বছর ইনফিউশন পাম্প কেনা হয়েছিল ৮৫ হাজার টাকা দরে, এ বছর বাজেট করা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে। গত বছর যন্ত্রপাতি কেনাকাটার নথিপত্রে দেখা গেছে, জুলাই মাসে সিএমএসডি ধানমন্ডির ট্রেড হাউস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সিঙ্গেল ব্লাড ব্যাগ প্রতিটি ১২০ টাকা, ডাবল ব্লাড ব্যাগ প্রতিটি ১৮০ টাকা ও ট্রিপল ব্লাড ব্যাগ প্রতিটি ২৭৭ টাকা করে কিনেছিল। এ বছর সিঙ্গেল ব্লাড ব্যাগ ২০০, ডাবল ব্লাড ব্যাগ ২৫০ ও ট্রিপল ব্লাড ব্যাগ ৩৫০ টাকা করে বাজেট করা হয়েছে। চলতি বছর মোট ৬ লাখ ৪২ হাজার ব্লাড ব্যাগ কেনার পরিকল্পনা করেছে সিএমএসডি।
নথিপত্র বলছে, গত বছরের মাঝামাঝি ঢাকার মেসার্স ডিয়ামেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সিএমএসডি চারটি প্লাজমা ফ্রিজার কিনেছিল, যার প্রতিটির দাম ছিল ১১ লাখ টাকা করে। এ বছর প্রকিউরমেন্ট পরিকল্পনায় প্রতিটির বাজেট ধরা হয়েছে ১৬ লাখ টাকা করে। একই প্রতিষ্ঠান সিএমএসডিকে রেফ্রিজারেটেড সেন্ট্রিফিউজ মেশিন (৪ ব্লাড ব্যাগ) দিয়েছিল ২১ লাখ টাকায়, চলতি বছর তা কেনার জন্য ৩০ লাখ টাকা বাজেট ধরেছে সিএমএসডি।
গত বছরের জুলাইয়ে জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেডের মাধ্যমে একটি ডায়ালাইসিস বেড ১ লাখ ২৬ হাজার টাকায় কিনেছে সিএমএসডি। এ বছর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ একেকটি ডায়ালাইসিস বেড কেনার বাজেট ধরেছে ৫ লাখ টাকা। এবার ২০টি ডায়ালাইসিস বেড কেনা হবে। এছাড়া গত বছর জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ল্যাপ্রোস্কোপি (গাইনি) কেনা হয় ৫০ লাখ টাকায়। এ বছর এর একেকটির বাজেট ৬০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। চলতি বছর মোট ২০টি ল্যাপ্রোস্কোপি মেশিন কেনা হবে।
নথিপথ ঘেঁটে দেখা গেছে, এসএস সায়েন্টিফিক করপোরেশনের কাছ থেকে গত বছর সিএমএসডি ২৯টি মর্ডান পোস্ট মর্টেম ইক্যুইপমেন্ট সেট কেনে, যার প্রতিটির দাম ছিল ২৪ লাখ টাকা। এ বছর সিএমএসডি আরও পাঁচটি মর্ডান পোস্টমর্টেম ইক্যুইপমেন্ট কিনবে, তবে এজন্য প্রতিটির বাজেট ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। গত বছরের জুলাইয়ে ট্রেড ভিশন লিমিটেডের মাধ্যমে ৩০টি হাইড্রোলিক ওটি টেবিল (গাইনি) কেনে সিএমএসডি, যার প্রতিটির মূল্য ছিল প্রায় সোয়া ১৫ লাখ টাকা। চলতি বছর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সেই একই হাইড্রোলিক ওটি টেবিল কিনতে (প্যাকেজ: এইএসএম, জিডি ২১৫৬-২১৫৭) প্রতিটির মূল্য ধরেছে ২২ লাখ টাকা। এবার ৭০টি ওটি টেবিল কেনা হবে।
গত বছর সিএমএসডি ৫০টি ওটি লাইট (ওটি লাইট, সেলিং মাউন্টেড, ডাবল ডোম, এলইডি) কেনে, এর প্রতিটির দাম ছিল প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা। এ বছর এইচএসএম জিডি ২১৫৪ প্যাকেজের আওতায় ওটি লাইট কিনতে বাজেট ধরা হয়েছে ২০ লাখ টাকা করে। চলতি বছর আরও ৩০টি ওটি লাইট কেনা হবে। এছাড়া গত বছর সাড়ে তিন লাখ টাকার একটু বেশি দামে ১০টি পোর্টেবল ওটি লাইট কেনা হয়। এ বছর আরও ২০টি পোর্টেবল ওটি লাইট কেনা হবে, তবে এক্ষেত্রে প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে ৫ লাখ টাকা।
জানা গেছে, পছন্দের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে অভিনব কৌশল নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সিএমএসডির ক্রয় কমিটি। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের লাইন ডিরেক্টর মাজহারুল ইসলাম তপন এই ক্রয় কমিটির প্রধান। এ ছাড়া তিনি টেকনিক্যাল কমিটিতেও আছেন। এমনকি সিএমএসডির ক্রয় কমিটিতেও রাখা হয়েছে তাকে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ হাসপাতাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কেনার জন্য যেসব টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন বা যন্ত্রের বিবরণ দিয়েছে, তার সঙ্গে ইকোডাস নামে ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রের বিবরণের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি সিএমএসডি ব্লাড ইরেডিয়েটর কেনার জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করে। ওই দরপত্রে বিদেশি প্রতিষ্ঠান রেড সোর্স এক্স-রে এর ‘আরএস ৩৪০০ মডেলের’ ব্লাড ইরেডিয়েটরের টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন তুলে দেওয়া হয়েছে। যাতে রেড সোর্সের বাংলাদেশি এজেন্ট ছাড়া অন্য কেউ এই যন্ত্র সরবরাহ করতে না পারে সে জন্যই কৌশলে এটি করা হয়েছে। জানা গেছে, সারা দুনিয়ায় ইউএস এফডিএ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনেস্ট্রেশন) অনুমোদিত ব্লাড ইরেডিয়েটর তৈরি করে মাত্র তিনটি কোম্পানি।
এসব বিষয়ে জানতে গত সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের লাইন ডিরেক্টর মাজহারুল হক তপনের সঙ্গে গণমাধ্যম একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সিএমএসডির পরিচালক মোখলেসুর রহমান সরকার বলেন, টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশনের ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি এলে এ বিষয়ে সাধারণত পুনরায় বৈঠক করে পুনর্বিবেচনা করা হয়। আমরা প্রত্যেকটা বিষয় আমলে নিয়ে কাজ করছি।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, মহামারির শুরুতে ভুল তথ্য, গুজব, অতিরঞ্জিত ও মিথ্যা সংবাদ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। চিকিৎসাসামগ্রী সংগ্রহ ও রোগনির্ণয়ে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো ছিল বিতর্কিত। রোগীর জন্য জিনিসপত্র সংগ্রহ, নমুনা পরীক্ষার কিট কেনা, কোভিড–১৯ হাসপাতাল স্থাপন থেকে শুরু করে সাধারণ ওষুধ কেনা পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে ছিল দুর্নীতি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে স্পষ্টতই প্রমাণিত হচ্ছে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনা নিয়ে আবার লুটপাটের পাঁয়তারা চলছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনা নামে যা করছে এটি আসলে মেনে নেওয়া যায় না। এগুলোতে আরও বেশি নজরদারী করতে হবে এবং দেশের মানুষের টাকা যেনো দেশের উপকারে লাগে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৪৫৭
আপনার মতামত জানানঃ