মার্কিন ফেডারেল ব্যাংকে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় গত চার বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখা। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে অর্থ চুরির মামলায় রবিবার আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য থাকলেও বরাবরের মত ব্যর্থ হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখা।
আগামী ১৩ জানুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরী এই আদেশ দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ৪৫ বার সময় দিয়েছে আদালত।
২০১৬ সালের অজ্ঞাতপরিচয় হ্যাকাররা ভুয়া ট্রান্সফার ব্যবহার করে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে সুইফটের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লক্ষ ডলার অর্থ হাতিয়ে নেয়।এর মধ্যে দুই কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কা এবং ৮ কোটি ১০ লক্ষ ডলার চলে যায় ফিলিপিনের জুয়ার আসরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঐ ঘটনাকে এই মূহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাংক তহবিল চুরির একটি বলে ধরা হয়।
ফিলিপিন্সের ব্যাংক ও জুয়ার বাজারে চলে যাওয়া আট কোটি দশ লক্ষ ডলার ফেরত আনার জন্য বিষয়টি এখন অনেকটাই স্থবির আছে। বাকি অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য কি করছে কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের উদ্যোগ নাই।
২০১৬ সালের ০৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোড জালিয়াতিরমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি যাওয়ার ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা অজ্ঞাতানামাদের আসামি করে একটি মামলা করেন। মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর আওতায় ওই মামলা দায়ের করা হয়।
আপনার মতামত জানানঃ