স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
২ ডিসেম্বর ২০২০, বুধবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
—–
সিলেটে পুলিশের গায়ে লাগল ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’
ইত্তেফাক
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
সিলেটে ট্রাফিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও সমন্বয় বাড়াতে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ সংযুক্ত করা হয়েছে। ১ ডিসেম্বর ২০২০ ট্রাফিক পক্ষ শুরুর দিনে বিশেষ এই ক্যামেরা পেলেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগের ১০ সার্জন। মঙ্গলবার সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মুক্তমঞ্চে ট্রাফিক পক্ষ ২০২০ উদ্বোধন শেষে সার্জনদের গায়ে এই ক্যামেরা সংযুক্ত করেন এসএমপি কমিশনার নিশারুল আরিফ।
বডি ওর্ন ক্যামেরা প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেন, বডি ওর্ন ক্যামেরার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে সরাসরি সার্জনের কার্যক্রম মনিটর করা যাবে। এতে ট্রাফিক পুলিশের সেবার মান বাড়াবে; উপকৃত হবে সাধারণ জনগন। প্রাথমিকভাবে এসএমপির ১০ জন ট্রাফিক সার্জনকে এ ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের উন্নয়নের নানামুখী উদ্যোগের কথাও জানান তিনি। এছাড়াও করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের আরও সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।এর আগে ট্রাফিক পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নগর পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।
বাউল শিল্পী রিতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আমাদের সময়
বিভাগ: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাউল শিল্পী রিতা দেওয়ানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। মামলার বাকি দুই আসামি হলেন শাজাহান ও ইকবাল।
২ ডিসেম্বর ২০২০, বুধবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)র তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন বুধবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এ আদেশ দেন। তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা’ পাওয়া গেছে জানিয়ে গত ২৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান।
এ বছরের শুরুর দিকে একটি পালা গানের আসরে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে গিয়ে রিতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে আল্লাহকে নিয়ে ‘কটূক্তিমূলক বক্তব্যের অভিযোগ ওঠে।
৩১ জানুয়ারি ২০২০ রিতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে রিতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো: ইমরুল হাসান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এরপর পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বিচারক।
লক্ষ্মীপুরে ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
বিডিনিউজ২৪ ডটকম
বিভাগ: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়ছে। রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, রায়পুর পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খোকন বাদি হয়ে এই মামলা করেছেন শনিবার রাতে। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে।
আসামিরা হলেন- লক্ষ্মীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলার মুকুল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক একেএম মিজানুর রহমান মুকুল, নির্বাহী সম্পাদক আফরোজা আক্তার রাঙা, স্থানীয় সাংবাদিক এস এন উদ্দিন রিয়াদ ও জহিরুল ইসলাম টিটু।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বাংলার মুকুল পত্রিকায় ‘রায়পুরে ডাকাতিয়া নদী এখন খোকন ডাকাতের কবলে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে বাদীর সম্মানহানি করা হয়েছে। তবে পত্রিকাটির সম্পাদক মিজানুর রহমান ‘ডাকাত’শব্দটি ভুলবশত মুদ্রিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
সম্মিলিত ইসলামী জোট সভাপতির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
কালের কন্ঠ
বিভাগ: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
ইসলাম ধর্ম নিয়ে অপব্যাখ্যা করার অভিযোগে সম্মিলিত ইসলামী জোট সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২ ডিসেম্বর ২০২০, বুধবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসলাম জগলুল হোসেনের আদালতে আরিফুর রহমান নামের এক সাংবাদিক মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, নিউজ টোয়েন্টিফোর চ্যানেলের টক শোতে আসামি বলেন, ‘আমাদের কাবা শরিফ যেটা বায়তুল্লাহ শরিফ, সেটাও কিন্তু একটা স্ট্যাচু। আমরা সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করি। তারপর আমরা শয়তানকে যে পাথর নিক্ষেপ করি, সেখানে কিন্তু শয়তান থাকে না। সেখানে আমরা ঘৃণা প্রদর্শন করি।’ আসামির এরূপ বক্তব্য রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সম্পর্কে মনগড়া ব্যাখ্যা ও বিভিন্ন মিথ্যা কাহিনি সৃষ্টি করে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে।
দেশে প্রদর্শিত হচ্ছে অনুমোদনহীন শতাধিক টেলিভিশন চ্যানেল
মানব জমিন
বিভাগ: গণমাধ্যম
সরকারের অনুমোদন ছাড়াই দেশে সম্প্রচারিত হচ্ছে দুই শতাধিক বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল। ক্যাবল ও ফিড অপারেটরা এসব চ্যানেল বেআইনিভাবে সম্প্রচার করছেন।
বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল প্রদর্শন করছে কয়েকটি বিদেশি ডিটিএইচ কোম্পানি এবং দেশীয় ক্যাবল ও ফিড অপারেটর। এর ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
তথ্য মন্ত্রণালয় এবং খাত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশি ও বিদেশি চ্যানেল মিলিয়ে দেশে প্রায় ১৩০টির মতো চ্যানেল প্রদর্শনের অনুমতি রয়েছে। দেশীয় চ্যানেলের বাইরে অনুমোদিত বিদেশি চ্যানেলের সংখ্যা ৯০টি। কিন্তু অনেক ক্যাবল অপারেটর ও ডিস্ট্রিবিউটর ৩০০টির বেশি চ্যানেল প্রদর্শন করছে। অর্থাৎ অনুমোদন না থাকা প্রায় ২০০টি চ্যানেল তারা দেশে প্রদর্শন করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশে ক্যাবল অপারেটররা বছরে ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করেন। এর বড় অংশই করছে অবৈধ চ্যানেলগুলো। এ আয়ের ওপর সরকার ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৩৫ শতাংশ কর্পোরেট করসহ বছরে ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পাওয়ার কথা। অথচ অপারেটররা দিচ্ছেন মাত্র ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা।
যেহেতু বিদেশি মূল এজেন্ট দ্বারা ব্যবসাটি নিয়ন্ত্রতি হচ্ছে তাই আয়ের একটি বড় অংশই পাচার করে পাঠানো হচ্ছে মূল এজেন্টের কাছে। এ হিসাবে বছরে গড়ে লাইসেন্স ফি, দেশে বিজ্ঞাপন খাতে আয় বিদেশে পাঠানো ও বিদেশি বিজ্ঞাপনের অর্থ দেশে না আসায় এসব মিলে বছরে শত শত কোটি টাকা পাচার হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, তাদের এক মূল্যায়নে দেখা যায় অনুমোদনহীন এবং অবৈধ চ্যানেল প্রদর্শন করে ক্যাবল অপারেটররা বছরে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়। এছাড়া নানা অবৈধ উপায়ে দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
Arrest order issued for Baul singer Rita Dewan in digital security case
The Financial Express
Category: Digital Security Act
A court has issued an arrest order for Baul singer Rita Dewan who is facing charges of hurting religious sentiments in a case under the Digital Security Act.
Bangladesh Cyber Tribunal Judge Jaglul Hossain executed the warrant after taking into account a report over the matter by the Police Bureau of Investigation (PBI) on Wednesday, reports bdnews24.com.
Rita and two others were sued for allegedly making derogatory comments about Islam during the performance of a song. PBI Inspector Mizanur Rahman submitted a report to the tribunal on Oct 29 on the basis of finding “preliminary evidence” against the three over the charges.
Dhaka Bar Association member Md Imrul Hasan started the lawsuit under the non-bailable section 28 of the Digital Security Act on Feb 2.
The judge subsequently tasked the PBI with investigating the allegations.
The case alleges that Rita made “bold and vulgar” remarks about ‘Allah’ while competing in a ‘Pala gaan’ (musical duel) event.
The song purportedly hurt the religious sentiments of the “Muslim community” when it later went viral on YouTube, according to Hasan.
Raipur Municipality Mayor Md Ismail Khokon filed the case on Saturday
Dhaka tribune.com
Category: Digital Security Act
A case has been filed against four journalists in Lakshmipur under the Digital Security Act (DSA) for publishing a report in a local daily and sharing it on social media.
Raipur Municipality Mayor Md Ismail Khokon, also the general secretary of Raipur upazila unit Awami League, filed the case on Saturday.
Raipur police station Officer-in-Charge (OC) Abdul Jalil confirmed the matter. The accused are AKM Mizanur Rahman, editor and publisher of Daily Banglar Mukul, its Executive Editor Afroza Akter Ranga, SN Uddin Riad, Raipur (Lakshmipur) correspondent of Mohona TV, and Jahirul Islam Titu, Raipur (Lakshmipur) correspondent of Asian TV.
According to the case statement, a report published in the newspaper on October 28 involving the mayor is false and fabricated.
The report also tarnished his reputation, it said. The editor of the daily said: “There was a typo in the report and we corrected it the next day. We also apologized for it. Even then the case was filed intentionally.”
এসডাব্লিউ/আরএন/ফাআ/আরা/২৩০০
আপনার মতামত জানানঃ