করোনা মহামারিকালে রাষ্ট্রের নানা সঙ্কটের মধ্যেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের’ ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ক্রসফায়ার বা কথিত বন্দুকযুদ্ধসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বছরের বিভিন্ন সময়ে। এ সময় করোনা মহামারির কারণে রাষ্ট্রের নানা সঙ্কটের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ ও গুমের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এমন অভিযোগ করেছে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিদায়ী ২০২১ সালের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি উপস্থাপনকালে এসব অভিযোগ করে আসক।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির ও সহকারী সমন্বয়কারী অনির্বাণ সাহা।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে মানবাধিকার সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসক।
এ সময় বক্তব্য দেন আসক নির্বাহী কমিটির মহাসচিব মো. নূর খান, নির্বাহী পরিচালক গোলাম মানোয়ার কামাল ও পরিচালক নীনা গোস্বামী।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৮০ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ৫১ জন।
ক্রসফায়ারের সমর্থনে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীদের বক্তব্যের সমালোচনা করে আসক বলে, ‘তাদের এ ধরনের বক্তব্য প্রকারান্তরে বিচারবহির্ভূত হত্যা বা ক্রসফায়ারকেই উৎসাহিত করে। এটা প্রকৃতপক্ষে দেশের সংবিধান প্রদত্ত মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার হরণসহ আইনে আশ্রয় লাভ সংক্রান্ত সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি। একইসাথে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থায় প্রদত্ত বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকারের সাথে সাংঘর্ষিক।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০২১ সালে নিহত হয়েছেন ৮ জন। এর মধ্যে গ্রেপ্তারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শারীরিক নির্যাতনে ৬ জন, হার্ট অ্যাটাকে ১ জন ও গ্রেপ্তারের আগে শারীরিক নির্যাতনে ১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় দেশের কারাগারগুলোতে অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে মারা গেছেন ৮১ জন। এর মধ্যে কয়েদি ২৯ জন, হাজতি ৫২ জন।
সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ, গুম ও নিখোঁজ হন ৭ জন। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১ জন।
২০২১ সালে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএসফের গুলিতে ১৮ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বছরজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ঘটনায় গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ২৮ জন।
করোনা মহামারির মধ্যে থেমে ছিল না ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, পারিবারিক নির্যাতন, সালিশ ও ফতোয়াসহ নারীর প্রতি বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার ঘটনা। নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর ও বিদ্বেষমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের কিছু বক্তব্যে। যার পরিপ্রেক্ষিতে জনক্ষোভের মুখে গত ৭ ডিসেম্বর তিনি মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
আসকের পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০২১ সালে সারাদেশে ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৩২১ জন নারী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ১২৮ নারী। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন ৭৭ পুরুষ। এ বছর উত্ত্যক্তের ঘটনায় আত্মহত্যা করেছেন ১২ নারী।
এ বছর পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৬৪০ জন; যার মধ্যে নির্যাতনের কারণে মারা যান ৩৭২ জন, আত্মহত্যা করেন ১৪২ জন। ২০২১ সালে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১০ নারী। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যার শিকার হন ৭২ নারী, আত্মহত্যা করেছেন ১৩ নারী। ২০২১ সালে সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে ১২ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
রাজনৈতিক সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আসক জানায়, এ বছর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ মোট প্রায় ৯৩২টি রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
২০২১ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ, গুম ও নিখোঁজ হন ৭ জন। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১ জন।
এসব রাজনৈতিক সংঘাতে ১৫৭ জন নিহত ও ১০ হাজার ৮৩৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও পৌর ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে ৮৩টি ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ৭৮৮ জন আহত হয়েছে। ২০২১ সালে ১৪৪ ধারা জারির ঘটনা ঘটেছে কমপক্ষে ২০ বার।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার পরিস্থিতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত উদ্বেগজনক ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নানা উস্কানিমূলক অপপ্রচারের মাধ্যমে সারাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ বছর দুর্গা পূজা চলাকালীন সময়ে কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পূজা মন্ডপে ও মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। নোয়াখালীতে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আসে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসক।
শিশু অধিকার বিষয়ে আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে শারীরিক নির্যাতনের কারণে মৃত্যু, ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা, অপহরণ ও নিখোঁজের পর হত্যাসহ বিভিন্ন কারণে ৫৯৬ জন শিশু নিহত হয়েছেন।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, প্রভাবশালী ব্যক্তি , জনপ্রতিনিধি, সন্ত্রাসী, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা শারীরিক নির্যাতন, হামলা, মামলা, হুমকি ও হয়রানিসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১০ জন সাংবাদিক।
আসক বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এ বছরও ভিন্নমতকে দমন করার লক্ষ্যে হয়রানিমূলক মামলা, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের নানা ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ছিল উল্লেখযোগ্য।
২০২১ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে ১১৩৪টি।
অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে মো. নূর খান বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের যতটুকু সহ্য করার ক্ষমতা থাকে, তা প্রায় অতিক্রম হতে চলেছে। বিদায়ী বছরে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে।’
আসকের মহাসচিব নূর খানের মতে, ২০২১ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করা যায়। সারাদেশ আজ ভয়ের চাদরে আবৃত। বিচারহীনতা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন, ধর্ষণসহ সমাজে এমন একটি অবস্থা তৈরি হয়েছে, যা ভীতিকর। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ নানা কারণে বছরজুড়ে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষক, নারী-অধিকারকর্মী, বিরোধী দল, সমালোচক ও আইনজীবীদের জন্য পরিস্থিতি প্রতিকূলে ছিল।
আসকের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী সভা-সমাবেশে যোগ দেওয়ার অধিকার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পুলিশ বা সরকার সমর্থক দলগুলোর নেতাকর্মীদের দ্বারা বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাধাদানের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ছিল গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া করার দাবিতে ২৩ নভেম্বর রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা। বিরোধীদলসমূহের কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগও ছিল অনেক।
মহামারিতে অভিবাসী শ্রমিকরা ব্যাপক বিপদ ও হয়রানির মুখে পড়েন। সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশের নাগরিকদের ঝুঁকিপূর্ণ সাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসী হওয়ার চেষ্টা এখনও অব্যাহত আছে।
২০২১ সালে কোভিড-১৯ এর ডেল্টা ভেরিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ ও মৃত্যুহারের ব্যাপকতা লক্ষ্য করা গেছে। জেলা হাসপাতালগুলো করোনা রোগীর চিকিৎসা প্রদানে হিমশিম খেয়েছে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও আইসিইউ-এর অভাবে অনেক করোনা রোগী সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে আসক বলে, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও বছর শেষে দেখা যাচ্ছে, জনসংখ্যার ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন, পূর্ণ দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন মাত্র ২৮ দশমিক ২ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে আসকের সহকারী সমন্বয়কারী অনির্বাণ সাহা মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির জন্য ১০টি সুপারিশ তুলে ধরেন। এর মধ্যে আছে- রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা, এ পর্যন্ত সংঘটিত সব ঘটনার তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা, নারীর সমানাধিকার নিশ্চিত করতে বিদ্যমান বৈষম্যমূলক আইনগুলোতে পরিবর্তন আনা, ইত্যাদি।
এ ছাড়া, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিজস্ব আচার-বিশ্বাস ও রীতি-চর্চার অধিকারসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া, শারীরিক ও মানসিকভাবে অক্ষম ব্যক্তি, আদিবাসী, দলিত, তৃতীয় লিঙ্গ এবং অন্যান্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও শ্রমজীবী মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯ সংশোধন করা, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলা এবং গ্রাম ও শহরের সব মানুষকে সমতার ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশও করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিগত এক দশকে দেশ এমন অবস্থার সাক্ষী যেখান থেকে গণতন্ত্র ক্রমেই সরে গেছে। এমন এক শাসনব্যবস্থার সাক্ষী হয়েছে, যা গণতন্ত্রের যেকোনো রূপ থেকেই অনেক দূরে। ক্ষমতাসীনরা বলপ্রয়োগের ওপরেই আরও নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। দেশ শাসনে এখন বলপ্রয়োগের বাহিনীগুলোই প্রাধান্য পাচ্ছে। বিগত দুই নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থায় জবাবদিহির বিষয়টি অনেক দূরে চলে গেছে। যদিও এগুলোকে ‘নির্বাচন’ বলা যায় কি না, তাও একটি প্রশ্ন।
আরও বলেন, সুষ্ঠূ ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহির যে প্রক্রিয়া, তা যখন কার্যত অবসিত হয়েছে, তখন আরও বেশি দরকার হয়ে পড়েছে রাষ্ট্রের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে জবাবদিহির চেষ্টা করা। কিন্তু, গুমের বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (এনএইচআরসি) কথা বলতে পারার ব্যর্থতার মাধ্যমেই জবাবদিহি না থাকায় তৈরি হওয়া সংকটের গভীরতা বোঝা যায়।
তারা বলেন, গুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার সময়ে এটা গুরুত্ব দেওয়া দরকার যে, গুমের বিষয়টি শাসনব্যবস্থা ও জবাবদিহির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত; আর এটা খুব স্পষ্টভাবে বলা যে, রাষ্ট্রকে অবশ্যই এর দায় নিতে হবে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/২০৫৫
আপনার মতামত জানানঃ