২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান রাজ্য থেকে সারা বিশের ছড়িয়ে পড়েছে মহামারি কভিড-১৯। গত এক বছরে এ ভাইরাসে এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৪ জন মারা গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ৬ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে করোনা প্রতিষেধকের জন্য- ‘কবে আসবে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন’?
এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের কার্যকর সফলতা দাবী করা হচ্ছে ৪টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। ডিসেম্বরে ২০২০ এর মধ্যে ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনটি প্রতিষ্ঠান। ৪টি প্রতিষ্ঠানের আবিষ্কৃত কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তুলনামূলক পরিস্থিতি ছবিঘরে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা হল।
কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তুলনামূলক পরিস্থিতি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে সঙ্গে নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই টিকা তৈরি করেছে। ২ ডোজে এই টিকা ৬২% থেকে ৯০% কার্যকর দাবী অক্সফোর্ড বিজ্ঞানীদের। রেফ্রিজারেটরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এটি সংরক্ষণযোগ্য।
কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তুলনামূলক পরিস্থিতি মডার্না যুক্তরাষ্ট্রের জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মডার্না এই টিকা তৈরি করেছে। ২ ডোজে এই টিকা ৯৫% কার্যকর বলে তারা দাবী করেছেন। মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটি সর্বোচ্চ ৬ মাস সংরক্ষণযোগ্য।
কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তুলনামূলক পরিস্থিতি ফাইজার বায়োএনটেক যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজার এবং জার্মানির জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক যৌথভাবে এই টিকা তৈরি করেছে। ২ ডোজে এই টিকা ৯৫% কার্যকর বলে তারা দাবী করেছেন। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটি সর্বোচ্চ ৬ মাস সংরক্ষণযোগ্য।
কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তুলনামূলক পরিস্থিতি স্পুটনিক ৫ রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) এই টিকা তৈরি করেছে। আগস্টে রাশিয়া প্রথম ‘স্পুটনিক-৫’ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়। এটি বিশ্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদন পাওয়া প্রথম করোনা ভ্যাকসিন। ২ ডোজে এই টিকা ৯২% কার্যকর দাবী রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের। রেফ্রিজারেটরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এটি সংরক্ষণযোগ্য।
We use cookies to ensure that we give you the best experience on our website. If you continue to use this site we will assume that you are happy with it.AcceptPrivacy policy