আরবের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ইয়েমেন। এর ওপর মধ্যপ্রাচ্যের মোড়ল সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট গত ছয় বছর ধরে দেশটির ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আধিপত্য বিস্তারের এই লড়াইয়ে ইয়েমেনের কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩৬ লাখ মানুষ। দেশটির অবকাঠামো খাত প্রায় ধ্বংসের মুখে। এদিকে ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিভিন্ন রকম হামলা অব্যাহত রয়েছে।
বলা হয়ে থাকে, ইয়েমেনের যুদ্ধের আড়ালে আদতে লড়াই চলছে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে। ওদিকে আবার সৌদি আরব ও ইরানের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের মতো পরাশক্তিরা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র হিসাবে মধ্যপ্রাচ্যে রাজনীতির কলকাঠি নাড়ছে ইসরায়েল। ইয়েমেনের হাউছি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নেতা আবদুল মালিক আল-হাউছির দাবি, সৌদি আরব ও আরব আমিরাত নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের দেশগুলো গোপনে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিত্রতা করছে। তারা মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে সঙ্ঘাতে লিপ্ত। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে সৌদি আরবের শাসকরা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে জোট করেছে।
এবার ইয়েমেন প্রশ্নে সৌদি আরবকে বড় রকমের সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আরবকে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৬৫০ মিলিয়ন অর্থ্যাৎ ৬৫ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে বাইডেন প্রশাসন। উপসাগরীয় দেশটির কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রিতে ইতিমধ্যে অনুমোদনও পেয়েছে। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম সৌদিকে বিপুল অস্ত্র দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর বিবৃতিতে জানায়, ড্রোন হামলা ঠেকিয়ে সৌদি আরব যাতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারে, সে জন্য রিয়াদের কাছে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য এ ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর।
পেন্টাগন জানিয়েছে, নিজস্ব নিরাপত্তা জোরদারে সৌদি আরব এ অস্ত্র কিনছে। মিত্র রিয়াদকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় সহযোগিতার জন্য এ পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন।
২৮০টি অত্যাধুনিক মাঝারি পাল্লার এআইএম-১২০সি ক্ষেপণাস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি কিনতে পারবে সৌদি। খবরে বলা হয়, মধ্য পালার এআইএম-১২০সি-৭/সি-৮ মডেলের এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৬৫ কোটি ডলারে বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৫ হাজার ৫৭৬ কোটি ৪০ লাখের বেশি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির নতুন সিদ্ধান্তের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২৮০টি অত্যাধুনিক মাঝারি পাল্লার এআইএম-১২০সি ক্ষেপণাস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি কিনতে পারবে সৌদি আরব।
ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। হুতি বিদ্রোহীদের ড্রোনসহ সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি ইরান সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ মার্কিন কর্মকর্তাদের।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেন, সৌদি ও মার্কিন বাহিনীর জন্য হুমকিস্বরূপ ড্রোন, বিশেষ করে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া ড্রোন রুখে দিতে ইতিমধ্যে এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের সক্ষমতা অর্জন করেছে রিয়াদ।
সৌদি আরবকে লক্ষ্য করে ইয়েমেন থেকে ড্রোন হামলা প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই মুখপাত্র বলেন, গত বছর সৌদির বিরুদ্ধে আন্তসীমান্ত হামলার সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর সৌদি আরবকে সমর্থনের ক্ষেত্রে তার প্রশাসন সতর্কতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদির কঠোর নীতিসহ দেশটির মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় এ অবস্থান নেয় ওয়াশিংটন। এমন প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির ঘোষণা এল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের ভাষ্যমতে, যে ক্ষেপণাস্ত্র সৌদির কাছে বিক্রি করা হচ্ছে, তা স্থলভাগের নিশানায় আঘাত হানার জন্য ব্যবহার করা যাবে না। এগুলো শুধু আকাশ থেকে আকাশে ব্যবহার করতে হবে।
ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। হুতি বিদ্রোহীদের ড্রোনসহ সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি ইরান সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ মার্কিন কর্মকর্তাদের।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ইয়েমেন প্রশ্নে বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের কূটনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে সংগতি রেখেই সৌদির কাছে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইয়েমেন চলমান সংঘাত অবসানে কূটনৈতিক তৎপরতা এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে মার্কিন প্রশাসনের অবস্থান। পাশাপাশি ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের হামলা থেকে সৌদি আরব যেন নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারে, তা–ও নিশ্চিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-সামরিক ব্যুরো বলছে, রিয়াদকে যে অস্ত্র দেয়া হচ্ছে, তা স্থল অভিযানে ব্যবহারযোগ্য নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ব্যুরোর পক্ষ থেকে লেখা হয়, ‘গত এক বছরে সীমান্তের ওপার থেকে সৌদি ভূখণ্ডে হামলা বেড়েছে। এসব হামলা পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থানরত আমেরিকান সেনা এবং সৌদি আরবে বসবাসরত ৭০ হাজারের বেশি আমেরিকান নাগরিকের জন্যও হুমকি। এ হুমকি ঠেকাতে সহায়ক হবে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত।’
এর আগে সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবকে হেলিকপ্টার রক্ষণাবেক্ষণে সহযোগিতায় ৫০ কোটি ডলারের চুক্তিতে অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
অস্ত্র বিক্রয়ের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। তবে মার্কিন আইনপ্রণেতারা সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে একটি অসম্মতি বিল পাস করে এই চুক্তি আটকিয়ে দিতে পারেন। এর আগে, ইয়েমেনে নির্বিচারে হামলার জন্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
উল্লেখ্য, সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সঙ্গে ২০১৫ সাল থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। মার্কিন-সৌদি সমর্থনপুষ্ট সরকারকে হটিয়ে হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী দখল করে নিলে এই সংঘাত শুরু হয়। সৌদি জোট ইয়েমেনে বিমান হামলায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ রয়েছে। বেসামরিক মানুষের উপর বিমান হামলায় সৌদি জোট ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। পরবর্তীকালে জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দেয়।
২০১৫ সালের মার্চে থেকে শুরু হওয়া এই গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছে। শিয়া হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করে প্রেসিডেন্ট আবেদ রাব্বো মানসুর হাদিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলোর জোট সুন্নি শাসক হাদির পক্ষ নিয়ে হুথিদের বিরুদ্ধে লড়ছে। ইরান হুতিদের পক্ষে সমর্থন দিচ্ছে। গৃহযুদ্ধে ইয়েমেনের স্বাস্থ্য, পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর হিসাবে, কলেরায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ জন প্রাণ হারিয়েছে। যার এক-চতুর্থাংশই শিশু। দেশটিতে কলেরায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। পানিবাহিত এ রোগ সহজে নিরাময়যোগ্য হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে সবার জন্য চিকিৎসা নিশ্চিত করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
চলতি বছর এপ্রিলে ইয়েমেনে কলেরাকে মহামারি ঘোষণা করা হয়। কলেরার পাশাপাশি দুর্ভিক্ষের মতো মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে ইয়েমেন।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুতি বিদ্রোহীরা।
ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ‘ছায়াযুদ্ধ’ হিসেবে দেখা হয়। টানা গৃহযুদ্ধ ও সংঘাত চলার ফলে প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এবং এক সময়ের স্বচ্ছল এই দেশ। জাতিসংঘ বলছে, ইয়েমেনের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের গুরুতর সংকটে ভুগছেন।
ইয়েমেনের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে ইন্ধন জুগিয়েছিল আরব বসন্ত। ক্ষমতার পালাবদলের আগে ইয়েমেনের দীর্ঘকালের প্রেসিডেন্ট ছিলেন একনায়ক আলী আবদুল্লাহ সালেহ। প্রচণ্ড বিক্ষোভের মুখে ২০১১ সালে আবদ রাব্বু মনসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শুরু থেকেই নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছিলেন হাদি। একদিকে জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল, অন্যদিকে ইয়েমেনের দক্ষিণে বিস্তার লাভ করছিল বিচ্ছিন্নতাবাদ। আর হুতি বিদ্রোহীরা তো ছিলই।
ইয়েমেনে ওই সময় আরও কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যা ছিল। আগের প্রেসিডেন্টের প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের আনুগত্য ছিল বিব্রতকর। দুর্নীতি, খাদ্যাভাব ও বেকারত্বের উচ্চ হারের মতো বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে ইয়েমেন। এর মধ্যে শিয়া ধর্মাবলম্বী হুতিরা নতুন করে বিদ্রোহ শুরু করে। নতুন প্রেসিডেন্ট হাদির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে উত্তর ইয়েমেনের ‘সাদা’ প্রদেশ এবং এর আশপাশের এলাকা দখল করে নেয় হুতিরা।
এ সময় সুন্নিসহ অনেক সাধারণ ইয়েমেনি নাগরিকও হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছিল। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে সানা দখল করে নেয় হুতিরা। ফলে ইয়েমেনে দুটি পক্ষ দাঁড়িয়ে যায়। একটি সরকার পক্ষ, আরেকটি হুতি বিদ্রোহীরা। আলী আবদুল্লাহ সালেহর সমর্থক সেনারাও হাত মিলিয়েছিল হুতিদের সঙ্গে। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে এমন বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আবদ রাব্বু মনসুর হাদি।
শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের ইরান সহযোগিতা করছে— এমন অভিযোগ তুলে এর পরপরই দৃশ্যপটে আসে সৌদি আরব। সৌদিদের পক্ষে যোগ দেয় আরব বিশ্বের সুন্নিপ্রধান আরও ৮টি দেশ। শুরু হয়ে যায় হাদির পক্ষে জোটগত সামরিক অভিযান। এই জোটকে গোয়েন্দা তথ্য ও সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। সেই থেকে ইয়েমেনে হানাহানি চলছেই।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সংঘাতজর্জর দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যতদিন যাচ্ছে ততই ইয়েমেন সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। আর বিশ্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের ফলে দেশটি বর্তমানে ইতিহাসের চরম মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে। অচিরেই এই যুদ্ধ থামানো না গেলে বিশ্ব একটি মানব সভ্যতাকে চিরতরে হারিয়ে ফেলবে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৪৩৭
আপনার মতামত জানানঃ