State Watch
    Facebook Twitter Instagram
    সর্বশেষ প্রকাশিত
    • টোরাজাদের ‘মানেনে’ প্রথা: মৃতদেহ সৎকার না করে ঘরে রাখে, যত্ন করে শিশুর মতো
    • নারীর গৃহস্থালি কাজের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও আর্থিক মূল্য নিরূপণ করার দাবি
    • পাকিস্তানে অনার কিলিংয়ের শিকার নারীরা বিচার পান না
    • নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিসহ নানা সংকটে বিপর্যস্ত মিয়ানমার
    • বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগ সীমিত: যুক্তরাষ্ট্র
    • আমাজনের গভীর জঙ্গলে প্রাচীন রহস্যময় নগর-সভ্যতার খোঁজ পাওয়া গেল
    • করোনা ও মাঙ্কিপক্সের মাঝে ‘অজানা হেপাটাইটিস’, আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা
    • বিশ্বে প্রতি দিন ৮০০ মায়ের মৃত্যু: কেন ঘটে এইসব মাতৃমৃত্যু?
    State Watch
    • প্রধান পাতা
    • আইনপ্রয়োগ
      1. গুম-অপহরণ
      2. গ্রেপ্তার-নিপীড়ন
      3. নিপীড়নমূলক আইন
      4. প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি
      5. বিচার বহির্ভূত হত্যা
      6. রাষ্ট্রীয় বাহিনী
      Featured
      মে ২৮, ২০২২

      ৫১ শতাংশের মালিক হলেও ‘নগদ’ এর বোনাস শেয়ারে নেই ডাক বিভাগ

      Recent
      মে ২৮, ২০২২

      ৫১ শতাংশের মালিক হলেও ‘নগদ’ এর বোনাস শেয়ারে নেই ডাক বিভাগ

      মে ২৬, ২০২২

      ৬৬টি গুমের ব্যাপারে ওয়ার্কিং গ্রুপের কাছে বাংলাদেশ সরকার পর্যাপ্ত তথ্য দেয়নি

      মে ২৫, ২০২২

      পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা বেড়েছে

    • আক্রান্ত জনগোষ্ঠী
      1. আদিবাসী
      2. গণমাধ্যম
      3. ধর্মীয় সংখ্যালঘু
      4. নারী ও শিশু
      5. প্রাণ-প্রকৃতি-কৃষি
      6. ভিন্ন মতাবলম্বী
      7. রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ
      8. শ্রমজীবী
      Featured
      মে ২৭, ২০২২

      মুক্ত সাংবাদিকতা: যেখানে আ’লীগ তালিবানের চেয়েও কট্টরপন্থী

      Recent
      মে ২৮, ২০২২

      নারীর গৃহস্থালি কাজের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও আর্থিক মূল্য নিরূপণ করার দাবি

      মে ২৮, ২০২২

      পাকিস্তানে অনার কিলিংয়ের শিকার নারীরা বিচার পান না

      মে ২৮, ২০২২

      করোনা ও মাঙ্কিপক্সের মাঝে ‘অজানা হেপাটাইটিস’, আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

    • বিশেষায়িত
      1. করোনাভাইরাস
      2. ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
      3. নির্বাচন
      4. বিশ্ব
      5. মানবাধিকার
      6. রোহিঙ্গা জাতি
      7. সীমান্ত ইস্যু
      Featured
      মে ২৭, ২০২২

      মুক্ত সাংবাদিকতা: যেখানে আ’লীগ তালিবানের চেয়েও কট্টরপন্থী

      Recent
      মে ২৮, ২০২২

      পাকিস্তানে অনার কিলিংয়ের শিকার নারীরা বিচার পান না

      মে ২৮, ২০২২

      নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিসহ নানা সংকটে বিপর্যস্ত মিয়ানমার

      মে ২৮, ২০২২

      আমাজনের গভীর জঙ্গলে প্রাচীন রহস্যময় নগর-সভ্যতার খোঁজ পাওয়া গেল

    • রাজনীতি-প্রশাসন
      1. অর্থনীতি ও বাণিজ্য
      2. আইন-আদালত
      3. ক্ষমতাসীন দল
      4. জাতীয় সংসদ
      5. রাজনীতি
      6. রাষ্ট্র-সরকার
      Featured
      মে ২৮, ২০২২

      ৫১ শতাংশের মালিক হলেও ‘নগদ’ এর বোনাস শেয়ারে নেই ডাক বিভাগ

      Recent
      মে ২৮, ২০২২

      নারীর গৃহস্থালি কাজের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও আর্থিক মূল্য নিরূপণ করার দাবি

      মে ২৮, ২০২২

      বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগ সীমিত: যুক্তরাষ্ট্র

      মে ২৮, ২০২২

      ৫১ শতাংশের মালিক হলেও ‘নগদ’ এর বোনাস শেয়ারে নেই ডাক বিভাগ

    • মতামত
      • বিশ্লেষণ
      • সম্পাদকীয়
      • সাক্ষাৎকার
    • গবেষণা ও প্রতিবেদন
      1. বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন
      2. চলতি প্রবণতা
      3. নীতি নির্দেশনা
      Featured
      মে ২৫, ২০২২

      ঢাকা শহরের ৩০ ভাগ নারী গৃহকর্মী যৌন হয়রানির শিকার

      Recent
      মে ২৮, ২০২২

      বিশ্বে প্রতি দিন ৮০০ মায়ের মৃত্যু: কেন ঘটে এইসব মাতৃমৃত্যু?

      মে ২৮, ২০২২

      বিশ্ব ঝুঁকি সূচকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় বাংলাদেশ: ১১ কোটি মানুষ দুর্যোগের শিকার

      মে ২৭, ২০২২

      যে কারণে দাঁত হারাচ্ছে আফ্রিকার কুমিরেরা

    • আর্কাইভ
    State Watch
    এডিটর পিক

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাদ্রাসায় ‘ট্রেনিং সেন্টার’: সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ‘আরসা’র নেপথ্যে কোন দেশ?

    নিজস্ব প্রতিবেদকBy নিজস্ব প্রতিবেদকঅক্টোবর ২৩, ২০২১No Comments7 Mins Read
    ছবি: ডন

    কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ মাদ্রাসা’য় ট্রেনিং সেন্টার করতে চেয়েছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘আরসা’। একইসঙ্গে ওই গ্রুপটিতে মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যোগ দেওয়ারও চাপ ছিল সন্ত্রাসীদের।

    সূত্র মতে, প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকিতে আতংকে ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এমনটি অভিযোগ করছেন সন্ত্রাসীদের হাতে নিহতের স্বজন ও সাধারণ রোহিঙ্গারা।

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন সূত্র জানায়, রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার পর ক্যাম্প জুড়ে বিরাজ করছে অস্থিরতা। কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রাত হলেই ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এতে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।

    সূত্র মতে, রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন না থাকায় সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন রোহিঙ্গারা। তবে সন্ত্রাসীদের ভয়ে ক্যাম্পের বাসিন্দারা এ বিষয়ে কথা বলতে চান না, দেন না কোনও অভিযোগ।

    হত্যা আর নৃশংসতার আঁতুড়ঘর

    এর আগে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ’ মাদ্রাসায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হামলায় ছয় জন নিহতের ঘটনায় এ পর্যন্ত আট জনকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

    শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ভোর ৪টার সন্ত্রাসীদের হামলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১২, ব্লক-জে-৫ এর বাসিন্দা হাফেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ইদ্রীস (৩২), ক্যাম্প-৯ ব্লক-১৯ এর মৃত মুফতি হাবিবুল্লাহর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (২৪), ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এইচ -৫২ এর নুরুল ইসলামের ছেলে মাদ্রাসার ছাত্র আজিজুল হক (২২), একই ক্যাম্পের স্বেচ্ছাসেবী আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমীন (৩২), ‘এফডিএমএন’ ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এফ-২২ এর মোহাম্মদ নবীর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫), এফডিএমএন ক্যাম্প-২৪-এর রহিম উল্লাহর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক হামিদুল্লাহ (৫৫) নিহত হন।

    পুলিশ হামলাকারীদের সদস্য মুজিবুর নামের একজনকে দেশীয় লোডেড ওয়ান শ্যুটারগান, ছয় রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরিসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর নিহতদের লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিহতদের দাফন করা হয়।

    গত ২৯ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার পর ক্যাম্পজুড়ে বিরাজ করছে অস্থিরতা। সৃষ্টি হয়েছে ভীতিকর পরিস্থিতি। ক্যাম্পে কয়েকটি সশস্ত্র গ্রুপ মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসা করছে। এছাড়া অবৈধ দখলের মাধ্যমেও তারা বিভিন্ন দোকান পরিচালনা করছে। মানুষ হত্যা ও জিম্মির ঘটনাও ঘটছে। তাই, সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক এজেন্সি একত্রে কাজ করছে।

    কী বলছে নিহতদের স্বজনেরা?

    ​শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিতে আসা নিহত রোহিঙ্গাদের কয়েকজন স্বজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত ‌‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ মাদ্রাসা’টিতে ‘আরসা’র পরিচয়ে কিছু সন্ত্রাসী ট্রেনিং সেন্টার করতে মাদ্রাসা সুপারকে চাপ দিচ্ছিল।

    তারা জানায়, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এতে রাজি না হওয়ায় রাতে হামলা চালানো হয়। এ সময় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক, ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবীসহ ছয় জন রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়। হামলায় আহত হন ১০-১২ জন।

    অভিযোগ রয়েছে, নির্মম এই ঘটনার পরও হামলাকারীরা ক্যাম্পের আশপাশেই বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সাধারণ রোহিঙ্গারা ভয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তা জানাতে পারছেন না। কারণ দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রাত হলে ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় সন্ত্রাসীদের হাতে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহত রোহিঙ্গার আরেক স্বজন অভিযোগ করেন, ‘ক্যাম্পে রাতের অবস্থা খুব ভয়াবহ। দিন শেষে সন্ধ্যা হলেই নিয়ন্ত্রণে নেয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ। এই গ্রুপটি মিয়ানমারের রাখাইনে সাধারণ রোহিঙ্গাদের যে জুলুম-নির্যাতন করে আসছিল, ঠিক একই কায়দায় ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন চালাচ্ছে। ক্যাম্পগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। রাত হলেই এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের বিচরণে ভয়ে রাত কাটে রোহিঙ্গাদের।’

    রোহিঙ্গাদের ভাষ্যমতে, ‘আরসা’র নামধারী মৌলভী আবু বক্কর, মৌলভী নুর হোছন, খালেক, ফজলুল কবির, ইকবালসহ অনেকেই উখিয়ার বালুখালী ২ নম্বর ক্যাম্পটি নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। এর জের ধরেই মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    কী বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী?

    ক্যাম্পে নিয়োজিত ১৪ নম্বর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ‘এপিবিএন’র অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. নাঈমুল হক জানান, রাতে ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এরপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর হবে। নিহত ছয় জনের হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাদ্রাসায় হামলার ঘটনায় এই পর্যন্ত ছয় জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলোর ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    রাতে ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নেয় কারা?

    বাইরের দিক থেকে শরণার্থী ক্যাম্পগুলো আপাতত শান্ত মনে হলেও ভেতরে-ভেতরে অস্থিরতা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। ক্যাম্পের ভেতরে দিনের বেলায় এক রকম চিত্র থাকলেও রাতের বেলায় চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন।

    রাতের আঁধার নামার সাথে সাথেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সশস্ত্র পদচারণা শুরু হয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। অন্যদিকে পর্যাপ্ত রাস্তাও নেই। ক্যাম্পের ভেতরে বড় কয়েকটি সড়ক তৈরি করা হয়েছে যেগুলো ‘আর্মি রোড’ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এসব রাস্তার মাধ্যমে সব জায়গায় পৌছনো যায়না।

    এমন অনেক জায়গা আছে যেকানে পৌঁছাতে পাহাড়ি উঁচু-নিচু রাস্তায় অনেকক্ষণ হাঁটতে হয়। ফলে যে কোন অপরাধ করে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব। রাতের বেলায় এসব জায়গায় যেতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও নিরাপদ বোধ করেন না।

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী ক্যাম্পের ভেতরে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, “ক্যাম্পের ভেতরে একটা কথা প্রচলিত আছে, ক্যাম্প দিনের বেলায় বাংলাদেশের আর রাতের বেলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর। এটা এখন ওপেন সিক্রেট।”

    কর্মকর্তারা বলছেন, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী চায় না যে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাক। তারা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রেখে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে চায়। এর মাধ্যমে সেই সশস্ত্র গোষ্ঠী মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্য চরিতার্থ করছে বলে মনে করেন সে কর্মকর্তা।

    সম্প্রতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেবার পর সে গোষ্ঠী অনেক রোহিঙ্গাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে যাতে তারা ফিরে যেতে রাজী না নয়। স্থানীয় প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

    রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও এখন অনেক বড় দুশ্চিন্তার কারণ। সূত্র মতে, ক্যাম্পের ভেতরে একটি অংশ আছে যাদের ‘কাফের’ বা বিশ্বাসঘাতক হিসেবে সন্দেহ করে অপরপক্ষ।

    এসব ব্যক্তি এখনও ক্যাম্প থেকে মিয়ানমারের গোয়েন্দাদের তথ্য দেয় বলে তাদের প্রতিপক্ষের অভিযোগ। ক্যাম্পের ভেতরেই একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে যারা তাদের দৃষ্টিতে ‘কাফের’ চিহ্নিত করার কাজ করে।

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মুহাম্মদ ইউনুস দোভাষীর সাহায্যে আমাকে বলেন, যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা সবাই মোনাফেক। কোন ভালো মানুষকে হত্যা করা হয়নি। তিনি বলেন, ক্যাম্পের ভেতরে অনেকে আছে যারা মিয়ানমার বাহিনীর কাছে ‘তথ্য পাচার’ করে।

    পুলিশ বলছে, ক্যাম্পের ভেতরে রোহিঙ্গাদের নিজেদের মধ্যে গত দুই বছরে অন্তত ৪৫টি খুন হয়েছে, যার বেশকিছু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ক্যাম্পের ভেতরে তৎপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর কথা না শুনলে পরিণতি হয় ভয়াবহ।

    হত্যাকাণ্ডের আরেকটি কারণ আছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে গত দুই বছরে ক্যাম্পের ভেতরে যারা কিছুটা প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন তাদের বেশ কয়েকজনকে হত্যা কারা হয়েছে। কারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যেই অনেকে চায় না যে অন্য কেউ প্রভাবশালী হয়ে উঠুক।

    ‘আরসা’র নেপথ্যে কারা?

    আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) আগে ইংরেজীতে ‘ফেইথ মুভমেন্ট’ নামে তাদের তৎপরতা চালাতো। স্থানীয়ভাবে এটি পরিচিত ছিল ‘হারাকাহ আল ইয়াকিন’ নামে। মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিকে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী বলে ঘোষণা করে।

    মিয়ানমারের সূত্র মতে, এই গ্রুপটির নেতৃত্বে রয়েছে রোহিঙ্গা জিহাদীরা, যারা বিদেশে প্রশিক্ষণ পেয়েছে। তবে সংগঠনটি কত বড়, এদের নেটওয়ার্ক কতটা বিস্তৃত, তার কোন পরিস্কার ধারণা তাদের কাছেও নেই।

    মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের ধারণা, এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছে ‘আতাউল্লাহ’ নামে একজন রোহিঙ্গা। তার জন্ম করাচীতে, বেড়ে উঠেছে সৌদি আরবে। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ’ তাদের এক রিপোর্টে বলছে, সংগঠনটি মূলত গড়ে উঠেছে সৌদি আরবে চলে যাওয়া রোহিঙ্গাদের দ্বারা।

    মক্কায় থাকে এমন বিশ জন নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গা এই সংগঠনটি গড়ে তোলে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতে এদের যোগাযোগ রয়েছে। সংগঠনটির নেতা আতাউল্লাহ ‘আবু আমর জুনুনি’ নামেও পরিচিত। আতাউল্লাহর বাবা রাখাইন থেকে পাকিস্তানের করাচীতে চলে যান। সেখানেই আতাউল্লাহর জন্ম। তিনি বেড়ে উঠেছেন মক্কায়। সেখানে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন।

    ইউটিউবে তার একটি ভিডিও থেকে ধারণা করা হয়, রাখাইনের রোহিঙ্গারা যে ভাষায় কথা বলে সেটি এবং আরবী, এই দুটি ভাষাই তিনি অনর্গল বলতে পারেন। ২০১২ সালে আতাউল্লাহ সৌদি আরব থেকে অদৃশ্য হয়ে যান। এরপর সম্প্রতি আরাকানে নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর তার নাম শোনা যায়।

    আরাকানে যারা এই সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত, তাদের আধুনিক গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ আছে বলে মনে করা হয়। স্থানীয় রোহিঙ্গাদের মধ্যে এই সংগঠনটির প্রতি সমর্থন এবং সহানুভূতি আছে। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা ‘আরসা’ ২০১৭ সালের মার্চে এক বিবৃতিতে একেবারে খোলাখুলিই জানিয়েছিল, তারা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের অধিকার রক্ষায় কাজ করছে এবং তাদের ‘আত্মরক্ষা-মূলক’ হামলার মূল টার্গেট হচ্ছে মিয়ানমারের ‘নিপীড়নকারী শাসকগোষ্ঠী।

    আরসার প্রধান দাবি হচ্ছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব এবং সমান মর্যাদা দিতে হবে। ‘আরসা’ তাদের এই বিবৃতিতে আরও জানায়, তারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের সন্ত্রাসবাদী কাজে লিপ্ত নয়। তাদের অধিকার আদায়ের জন্যও তারা সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাসী নয়। বিশ্বের কোন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গেও তাদের কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি তারা রাখাইনের বিভিন্ন ধর্মের ও জাতির মানুষকে এবং তাদের ধর্মীয় উপাসনার স্থানের নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও দিচ্ছে।

    এসডব্লিউ/এসএস/১৫৩৭

    ছড়িয়ে দিনঃ

    আপনার মতামত জানানঃ

    State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
    Donate
    আরসা রোহিঙ্গা

    Related Posts

    হাজার কোটির অস্ত্র, বাংলাদেশে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা রোহিঙ্গাদের

    ইউক্রেন যুদ্ধে শরণার্থী বাড়ছে, বাড়ছে রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক সহায়তা কমার আশঙ্কা

    মালয়েশিয়ায় ডিটেনশন ক্যাম্পে দাঙ্গায় পালাল প্রায় ৬০০ রোহিঙ্গা, নিহত ৬ জন

    সর্বশেষ প্রকাশিত
    মে ২৮, ২০২২

    টোরাজাদের ‘মানেনে’ প্রথা: মৃতদেহ সৎকার না করে ঘরে রাখে, যত্ন করে শিশুর মতো

    মে ২৮, ২০২২

    নারীর গৃহস্থালি কাজের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও আর্থিক মূল্য নিরূপণ করার দাবি

    মে ২৮, ২০২২

    পাকিস্তানে অনার কিলিংয়ের শিকার নারীরা বিচার পান না

    মে ২৮, ২০২২

    নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিসহ নানা সংকটে বিপর্যস্ত মিয়ানমার

    মে ২৮, ২০২২

    বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগ সীমিত: যুক্তরাষ্ট্র

    সর্বাধিক পঠিত
    • আ’লীগের পাতানো নির্বাচনের কালচার কি থামাতে পারবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা?
      মে ২৪, ২০২২
      By বিশেষ প্রতিবেদক
      ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে বাংলাদেশের সর্বশেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই তিনটি নির্বাচনের মধ্যে কেবল ২০০৮ সালের নির্বাচনটিই...
    • ৫১ শতাংশের মালিক হলেও ‘নগদ’ এর বোনাস শেয়ারে নেই ডাক বিভাগ
      মে ২৮, ২০২২
      By বিশেষ প্রতিবেদক
      মাত্র তিন বছরের মধ্যেই দেশে মোবাইল ফোনে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে ‘নগদ’ এখন বেশ পরিচিত একটি নাম। বেশ প্রশংসনীয়ভাবেই নগদ বাজারের...
    • পদ্মাসেতু নিয়ে টিকটক করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যুবক গ্রেপ্তার
      মে ২৫, ২০২২
      By নিজস্ব প্রতিনিধি
      পদ্মা সেতু নিয়ে টিকটকে অপপ্রচার করার অভিযোগে হেলাল উদ্দিন ঢালী (২৩) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৪...
    • ধর্ম আগে না বিজ্ঞান আগে?
      মে ২৩, ২০২২
      By স্টেটওয়াচ ডেস্ক
      জাকির হোসেন ধর্মান্ধরা প্রায়ই বলে থাকে যে, ধর্মগ্রন্থ থেকেই বিজ্ঞানের জন্ম হয়েছে! আসলেই কি ধর্মগ্রন্থ হতে বিজ্ঞান আসেছে ? যারা বলে...
    • আরও কমল টাকার মান: কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বাড়ল, আরও সংকটে দরিদ্ররা
      মে ২৪, ২০২২
      By স্টেটওয়াচ ডেস্ক
      দেশের বাজারে মার্কিন ডলারের সংকটের কারণে হু হু করে বাড়ছে দাম। বিক্রি করেও ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার...
    আলোচিত ভিডিও
    https://www.youtube.com/watch?v=W7Wq7xdUWkI
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    স্টেট ওয়াচ, বাংলাদেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণামূলক একটি প্রয়াস।
    বিস্তারিত...

    ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

    Donate Us!
    statewatch.net (Karigor Media Network), Hamburg, Germany. Email: statewatch.sa@gmail.com © ২০২২ State Watch. Designed by @.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.