State Watch
    Facebook Twitter Instagram
    সর্বশেষ প্রকাশিত
    • ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল জনতা
    • ১৫ থেকে ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত পিকাসোর নিজের আঁকা আত্মপ্রতিকৃতি(সেলফ-পোর্ট্রেট)
    • পৃথিবীতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ শরণার্থী হয়েছে, নেই কোনো সমাধান
    • মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব বনাম বিজেপি: ধর্মীয় বিদ্বেষে কে কতটা জয়ী?  
    • রাজনৈতিক অস্থিরতা আর যুদ্ধের পরিণতি: না খেয়ে থাকবে ৮১ কোটি মানুষ
    • ক্ষমতাসীনদের দাপটে পিষ্ট সাংবাদিকরা: যে যেভাবে পারছে মারছে, মামলা করছে 
    • কেন ঢাকায় প্রতিদিন ৩৮টি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে?
    • বিশ্বে নতুন করে ৫৭৩ জন বিলিয়নিয়ার হয়েছে, চরম দরিদ্র্য হয়েছে ২৬ কোটির বেশি  
    State Watch
    • প্রধান পাতা
    • আইনপ্রয়োগ
      1. গুম-অপহরণ
      2. গ্রেপ্তার-নিপীড়ন
      3. নিপীড়নমূলক আইন
      4. প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি
      5. বিচার বহির্ভূত হত্যা
      6. রাষ্ট্রীয় বাহিনী
      Featured
      মে ১০, ২০২২

      বাকস্বাধীনতায় নতুন হুমকি ডিজিটাল মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে নতুন তিন আইন

      Recent
      মে ২২, ২০২২

      মামলার তদন্তে গিয়ে বাদীর মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এসআই

      মে ২১, ২০২২

      ১২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করে চেপে গিয়ে এসপি করেন মাদক মামলা, খোয়ালেন চাকরি

      মে ১৮, ২০২২

      রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪ মাসে প্রাণ গেছে ৪১ জনের, পুলিশ হেফাজতে ৮ জনের

    • আক্রান্ত জনগোষ্ঠী
      1. আদিবাসী
      2. গণমাধ্যম
      3. ধর্মীয় সংখ্যালঘু
      4. নারী ও শিশু
      5. প্রাণ-প্রকৃতি-কৃষি
      6. ভিন্ন মতাবলম্বী
      7. রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ
      8. শ্রমজীবী
      Featured
      মে ৪, ২০২২

      মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে (২০২২) ১৬২ তম বাংলাদেশ: পতনের এক দশক

      Recent
      মে ২৩, ২০২২

      ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল জনতা

      মে ২৩, ২০২২

      মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব বনাম বিজেপি: ধর্মীয় বিদ্বেষে কে কতটা জয়ী?  

      মে ২৩, ২০২২

      ক্ষমতাসীনদের দাপটে পিষ্ট সাংবাদিকরা: যে যেভাবে পারছে মারছে, মামলা করছে 

    • বিশেষায়িত
      1. করোনাভাইরাস
      2. ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
      3. নির্বাচন
      4. বিশ্ব
      5. মানবাধিকার
      6. রোহিঙ্গা জাতি
      7. সীমান্ত ইস্যু
      Featured
      মে ১৯, ২০২২

      ৪০ বছরে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি যুক্তরাজ্যে: কম খাচ্ছে প্রায় ২৫ শতাংশ নাগরিক

      Recent
      মে ২৩, ২০২২

      পৃথিবীতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ শরণার্থী হয়েছে, নেই কোনো সমাধান

      মে ২৩, ২০২২

      মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব বনাম বিজেপি: ধর্মীয় বিদ্বেষে কে কতটা জয়ী?  

      মে ২৩, ২০২২

      বিশ্বে নতুন করে ৫৭৩ জন বিলিয়নিয়ার হয়েছে, চরম দরিদ্র্য হয়েছে ২৬ কোটির বেশি  

    • রাজনীতি-প্রশাসন
      1. অর্থনীতি ও বাণিজ্য
      2. আইন-আদালত
      3. ক্ষমতাসীন দল
      4. জাতীয় সংসদ
      5. রাজনীতি
      6. রাষ্ট্র-সরকার
      Featured
      মে ২০, ২০২২

      পি কে হালদার: দেশের অন্যতম বড় অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িত যে রাঘববোয়ালেরা

      Recent
      মে ২৩, ২০২২

      ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল জনতা

      মে ২৩, ২০২২

      ক্ষমতাসীনদের দাপটে পিষ্ট সাংবাদিকরা: যে যেভাবে পারছে মারছে, মামলা করছে 

      মে ২২, ২০২২

      মামলার তদন্তে গিয়ে বাদীর মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এসআই

    • মতামত
      • বিশ্লেষণ
      • সম্পাদকীয়
      • সাক্ষাৎকার
    • গবেষণা ও প্রতিবেদন
      1. বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন
      2. চলতি প্রবণতা
      3. নীতি নির্দেশনা
      Featured
      মে ১৪, ২০২২

      বিলুপ্ত হতে চলেছে কুমির এবং কাছিমের ৫০ শতাংশ প্রজাতি

      Recent
      মে ২৩, ২০২২

      পৃথিবীতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ শরণার্থী হয়েছে, নেই কোনো সমাধান

      মে ২৩, ২০২২

      রাজনৈতিক অস্থিরতা আর যুদ্ধের পরিণতি: না খেয়ে থাকবে ৮১ কোটি মানুষ

      মে ২৩, ২০২২

      কেন ঢাকায় প্রতিদিন ৩৮টি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে?

    • আর্কাইভ
    State Watch
    এডিটর পিক

    রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের মৃত্যু

    ডেস্ক রিপোর্টBy ডেস্ক রিপোর্টঅক্টোবর ১৯, ২০২১No Comments6 Mins Read
    ছবি: ডয়েচে ভেলে

    স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ধর্ম পালনের মৌলিক অধিকারের দাবি জানাচ্ছে। অথচ সংবিধান ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে বাংলাদেশের সব নাগরিকের সমানাধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। কিন্তু পতিস্থিতি বলছে ভিন্ন কথা। দেশের বেশ কিছু জেলায় দুর্গাপূজা চলাকালীন মন্দির ও প্রতিমার ওপর হামলাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, তাদের ধর্ম পালনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ধর্মান্ধ মোল্লাদের চালানো আক্রমণ দেশের ভাবমূর্তি এবং আইনের শাসনেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। এই বর্বরোচিত হামলাগুলো প্রমাণ করে দেয় যে, সংবিধানকে রক্ষা ও সমুন্নত রাখতে রাষ্ট্র ব্যর্থ।

    দেশের ৩৫টি জেলার নিরাপত্তায় বিজিবিসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের মোতায়েনও এই ব্যর্থতা ঢাকতে পারেনি। ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায়, যেকোনো মুহূর্তে আক্রমণের আশঙ্কা মনে নিয়ে হিন্দুরা শারদীয় উৎসব পালন করেছে। গৃহহীন হচ্ছে, প্রাণভয়ে লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে, সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হচ্ছে।

    অথচ সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট ভাষায় বর্ণনা রয়েছে ধর্মীয় স্বাধীনতার। সেখানে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে; প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে।’

    নৃতাত্ত্বিক দিক বিবেচনায় এই বঙ্গে হিন্দু জাতির বাস ছিল গৌতম বুদ্ধের জন্মেরও আগে থেকে। ঋগ্বেদের ঐতরেয় আরণ্যকে তিনটি জাতিগোষ্ঠীর নাম পাওয়া যায়। ‘বঙ্গ’, ‘বগধ’ ও ‘চের’। হিন্দু ধর্মের সক্রিয়তায় এসব জাতিগোষ্ঠীর জীবনাচরণে পূজাপার্বণ, উৎসব-অনুষঙ্গ ছিল নিত্য। হিন্দু ধর্মের এই প্রভাব ছিল প্রাচীন পুন্ড্র-গৌড়-সুহ্ম-রাড়-তাম্রলিপি-সমতট-বঙ্গ-বঙ্গাল-হরিকেল প্রভৃতি ভৌগলিক ও রাষ্ট্রিয় অবস্থানে।

    তবে কালের পরিক্রমায় এসব ভূখণ্ড এক হয়ে নিজ নিজ নাম বাদ দিয়ে এক বঙ্গ বা বাঙলা নামে অভিহিত হতে শুরু করে। আর প্রাচীনকাল থেকেই বহু মিশ্রণে-সংঘাতে-সংশ্লেষে-সমন্বয়ে এগিয়ে গেছে এই বাঙলার ইতিহাস। এরই মধ্যে বাঙলা ও বাঙালির জনজীবনে পড়েছে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের মিশ্রিত প্রভাবের সঙ্গে যোগ হয়েছে ইসলামের সুফি ধারার সমন্বিত প্রয়াস। যা বাঙালির জনজীবনে দিয়েছে ধর্ম-বর্ণ আর সংস্কৃতির পারস্পরিক সহাবস্থানের উদারনৈতিক এক দ্যোতনা। যা কারও চাপিয়ে দেওয়া নয়।

    তাই তো ধর্মের ভিত্তিতে গড়ে তোলা রাষ্ট্র পাকিস্তানকে প্রত্যাখ্যান করতে এতটুকু বেশি সময় লাগেনি এ দেশের সাধারণ মানুষের। পাকিস্তান জন্মের বছর না ঘুরতেই বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে শুরু করে ধর্মের নামে তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে নানাবিধ শোষণ-শাসন আর নিপীড়ন। ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে শাসন-শোষণের রাষ্ট্রিক প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে এল স্বাধীনতা। স্বাধীন বাংলাদেশ ছিল ধর্মনিরপেক্ষ।

    “বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। ধর্মনিরপেক্ষ মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান মুসলমানের ধর্ম পালন করবে। হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে। খ্রিস্টান তার ধর্ম পালন করবে। বৌদ্ধও তার নিজের ধর্ম পালন করবে। এ মাটিতে ধর্মহীনতা নাই, ধর্মনিরপেক্ষতা আছে। এর একটা মানে আছে। এখানে ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না। ধর্মের নামে মানুষকে লুট করে খাওয়া চলবে না। ধর্মের নামে রাজনীতি করে রাজাকার, আলবদর পয়দা করা বাংলার বুকে আর চলবে না। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।” [১৯৭২ সালের ৭ জুন রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া ভাষণ]

    আর ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে আলাদা করা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু বললেন: “সকলে জেনে রাখুন, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে। আর তার ভিত্তি কোনো বিশেষ ধর্মীয় ভিত্তিক হবে না। রাষ্ট্রের ভিত্তি হবে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।” [১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পর রেসকোর্সে দেওয়া ভাষণ]

    তবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা চাপে নিজ অবস্থান অনেকটাই ধরে রাখতে পারেননি বঙ্গবন্ধু। রাষ্ট্রিকভাবেই যোগ দেন লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে। প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামি ফাউন্ডেশন। গড়ে তোলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাতে অত্যন্ত নিঃশব্দে হলেও ভিত্তি পায় বাঙালির কাছে যারপরনাই ঘৃণিত-প্রত্যাখ্যাত ধর্মের রাষ্ট্রিক ব্যবহার। যদিও বাঙালির হাজার বছরের বহু ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী-সংস্কৃতিভিত্তিক জীবনাচরণের প্রতি অগাধ বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুর মনে ছিল। আর বিশ্বাসবোধ থেকে তিনি নিজেই বলেছিলেন:

    “রাজনৈতিক কারণে ধর্মকে ব্যবহার করা যাবে না। যদি কেউ ব্যবহার করে তাহলে বাংলার মানুষ তাকে প্রত্যাঘাত করবে। এ বিশ্বাস আমি করি।” [১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদে দেওয়া ভাষণ]

    আজকের পরিস্থিতির জন্য অনেক বিশেষজ্ঞই ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদাকে দায়ী করছেন। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম৷ অথচ শুরুতে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্মের কোনো বিধান ছিল না৷ বরং সংবিধানের চার মূলনীতির অন্যতম ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা৷ কিন্তু ১৯৮৮ সালে এরশাদের শানমালে সংবিধানের চরিত্র পাল্টে দেয়া হয়৷

    ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়, যা কার্যকর হয় ঐ বছরেরই ১৬ ডিসেম্বর থেকে৷ সেই সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার চারটি মূলনীতি ছিল— ১. জাতীয়তাবাদ, ২. গণতন্ত্র, ৩. সমাজতন্ত্র এবং ৪. ধর্মনিরপেক্ষতা৷ অর্থাৎ সংবিধানের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা৷

    তাছাড়া সংবিধানের ১২ নং অনুচ্ছেদেও বলা হয়েছে যে, ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার বিলোপ করা হবে।

    সংবিধানের ৩৮ নং অনুচ্ছেদে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন গঠনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর পথ হারায় বাংলাদেশ। প্রথম সামরিক শাসনামলে সংবিধান থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয় ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ১২ নং অনুচ্ছেদ। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ওপর যে সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা ছিল, তাও তুলে নেওয়া হয়।

    পঁচাত্তর থেকেই ‘বাঙালি’ হয়ে যায় ‘বাংলাদেশি’। বহু ধর্মের এই দেশের রাষ্ট্রিক সংগঠনে ভিত্তি করে নেয় বিশেষ একটি ধর্ম। পাশাপাশি, অন্য ধর্ম ও সম্প্রদায়ের সামাজিক জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও যাবতীয় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা অঘোষিতভাবেই বাতিল করে রাষ্ট্র। পরিকল্পিতভাবে বাঙালি মুসলমানের জনজীবনে প্রবিষ্ট করানো হয় ধর্মের নামে অন্য ধর্ম ও সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা, বিদ্বেষ আর সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প।

    পরে ১৯৮৮ সালে, আরেক স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেন। কাজটি তিনি করেছিলেন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য। নিজের শাসনের বিরুদ্ধে প্রবল গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও তার ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার ওই ফন্দি শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। নব্বইয়ের গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে তার পতন হয়। কিন্তু তার ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্মের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি পরবর্তী গণতান্ত্রিক সরকারের সময়ও বাতিল করা সম্ভব হয়নি।

    এরপর ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা হয়, ১২ নং অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করে নিষিদ্ধ করা হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের ব্যবহারও। কিন্তু ইসলাম এখনও রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা ভোগ করছে।

    মহানবী (সা.) মদিনা রাষ্ট্রে কখনও ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেননি। এমনকি খোলাফায়ে রাশেদীনের সময়েও ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। প্রশ্ন উঠতে পারে— মহানবীর (সা.) ও তার সাহাবিদের ইসলাম ধর্মের প্রতি ভালোবাসা কি স্বৈরশাসক এরশাদের চেয়ে কম ছিল? এরশাদ বুঝলেন, ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম করতে হবে; কিন্তু মহানবী (সা.) ও তার সাহাবিরা কেন বুঝলেন না? আগেই বলেছি, এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে সংবিধানে স্থান দিয়েছিলেন স্রেফ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৯৮৮ সালের আগে রাষ্ট্রধর্ম যখন ইসলাম ছিল না, তখনও এ দেশের মানুষ ধর্ম পালন করতেন৷ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার পরেও মানুষ ধর্ম পালন করেন৷ ধর্ম পালনে আগেও কোনো সমস্যা ছিল না, এখনও নেই৷ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষকে নিয়ে রাষ্ট্র৷ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম৷ তারা অধিকারও বেশি ভোগ করেন৷ আলাদা করে রাষ্ট্রের কোনো ধর্মীয় পরিচয়ের প্রয়োজন হয় না৷ রাষ্ট্রের ধর্মীয় পরিচয় না থাকলে, কোনো ক্ষতি হয় না৷ ধর্মীয় পরিচয় থাকলে, অন্য ধর্মের (সংখ্যায় তারা কম হলেও) মানুষ নিজেদের নিরাপত্তাহীন ভাবেন৷ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দায়িত্ব সংখ্যায় যারা কম তাদের দেখে রাখা৷ নিজের অধিকারের নামে তাদের মনে ভীতি তৈরি করা নয়৷ বর্তমানে বাংলাদেশে ভীতি তৈরির সংস্কৃতি চলছে৷

    এসডব্লিউ/এসএস/১২১১

    ছড়িয়ে দিনঃ

    আপনার মতামত জানানঃ

    State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
    Donate
    রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সাম্প্রদায়িকতা

    Related Posts

    দ্য মাইনোরিটি কার্ড: সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা

    ভারতে মুসলিম নারীদের অপহরণ ও ধর্ষণের হুমকি: কেন বাড়ছে সাম্প্রদায়িকতা?

    জামিন পাননি বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল: বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ কী!

    সর্বশেষ প্রকাশিত
    মে ২৩, ২০২২

    ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল জনতা

    মে ২৩, ২০২২

    ১৫ থেকে ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত পিকাসোর নিজের আঁকা আত্মপ্রতিকৃতি(সেলফ-পোর্ট্রেট)

    মে ২৩, ২০২২

    পৃথিবীতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ শরণার্থী হয়েছে, নেই কোনো সমাধান

    মে ২৩, ২০২২

    মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব বনাম বিজেপি: ধর্মীয় বিদ্বেষে কে কতটা জয়ী?  

    মে ২৩, ২০২২

    রাজনৈতিক অস্থিরতা আর যুদ্ধের পরিণতি: না খেয়ে থাকবে ৮১ কোটি মানুষ

    সর্বাধিক পঠিত
    • প্রাচীন ভারতে ছিল অবাধ যৌনতা, পুরুষকে সঙ্গমে বাধ্য করত নারীরা
      মে ২০, ২০২২
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      ভারতবর্ষের অতীতকালে সম্পর্ক বিষয়ে বিভিন্ন পুরাণ কাহিনি, ঋগবেদ এবং মহাভারত থেকে জানা যায়। যেখানে বিভিন্ন ঘটনা পরম্পরায় এমন কিছু সম্পর্কের...
    • ড. ইউনূসকে পদ্মায় চুবানো এবং শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় মাস্তানি: নেপথ্যে যা কিছু
      মে ১৯, ২০২২
      By বিশেষ প্রতিবেদক
      সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তার বিচারে শেখ মুজিবুর রহমানের চেয়ে অনেকগুণ এগিয়ে আছেন ইউনূস। এটাও কি তার শেখ হাসিনার রোষে পড়ার অন্যতম...
    • শ্রীলঙ্কার পথে আরও এক ধাপ বাংলাদেশ: বিদ্যুতের দাম ৫৮% বৃদ্ধির সুপারিশ
      মে ১৯, ২০২২
      By বিশেষ প্রতিবেদক
      আরেকটা শ্রীলঙ্কা হওয়ার পথে কি বাংলাদেশ? এই প্রশ্ন এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। যদিও আওয়ামীলীগ পন্থিরা তা মানতে নারাজ। বরং...
    • জিন্স-টপস পরায় রেল স্টেশনে তরুণীকে মারধর: কে দিয়েছে এই অধিকার?
      মে ২১, ২০২২
      By স্টেটওয়াচ ডেস্ক
      বাংলাদেশে মাঝে-মধ্যেই পোশাকের কারণে নারীদের বিব্রত হবার ঘটনার খবর গণমাধ্যমে আসে। এমনকি নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীকে উল্টো তার পোশাকের জন্য...
    • কেন কেউ জানে না আগামী নির্বাচন কেমন বা কীভাবে হবে?
      মে ১৮, ২০২২
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      আগামী ১৭ মাসের মধ্যে যে নির্বাচন হতেই হবে, তা নিয়ে কেউ কিছু জানে না, এটাই সবথেকে বড় বিস্ময়ের। বর্তমান সংসদের...
    আলোচিত ভিডিও
    https://www.youtube.com/watch?v=W7Wq7xdUWkI
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    স্টেট ওয়াচ, বাংলাদেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণামূলক একটি প্রয়াস।
    বিস্তারিত...

    ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

    Donate Us!
    statewatch.net (Karigor Media Network), Hamburg, Germany. Email: statewatch.sa@gmail.com © ২০২২ State Watch. Designed by @.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.