মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল তাদের একজন নারী কর্মীকে বরখাস্ত করেছে। ওই কর্মী প্রাতিষ্ঠানিক যৌন হয়রানি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। হয়রানি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সবাইকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে নেতৃত্বও দিয়েছেন। গত শুক্রবার নিজেই তার চাকরি হারানোর কথা সিএনএনকে জানান।
প্রাতিষ্ঠানিক যৌন হয়রানি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ওই নারী কর্মীর নাম জেনেকে পারিস। পারিস অ্যাপলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ছিলেন।
সূত্র মতে, যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া #মিটু আন্দোলনের মতো #অ্যাপলটু আন্দোলনের একজন সংগঠক ছিলেন পারিস। গত সপ্তাহে তাকে বরখাস্ত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ছিল তার শেষ কর্মদিবস।
There are consequences for speaking out. There are consequences for doing the right thing.
But we do the right thing because it is the right thing to do. #AppleToo is about asking Apple to do better, to end systemic discrimination, abuse, and pay inequity.
Do the right thing. https://t.co/nhxFlflSvR
— Janneke Parrish (@JannekeParrish) October 15, 2021
শুক্রবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পারিস বলেন, অ্যাপল তাকে জানিয়েছে যে, অফিসের তথ্য গণমাধ্যমকে দেওয়ার অভিযোগে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। তিনি কোম্পানির কাছে তার ব্যবহৃত কম্পিউটার–ল্যাপটপ হস্তান্তরের আগে অনেক ফাইল মুছে ফেলেছেন। তাই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অ্যাপলের কর্মীরা কোম্পানির ‘ঐতিহ্যবাহী’ গোপনীয়তার নীতি ভেঙে বিতর্কিতভাবে কর্মী নিয়োগ, মজুরি–অসমতা ও দূরবর্তী অফিসনীতি নিয়ে মুখ খোলেন। এ নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে অ্যাপলের সম্পর্কের অবনতি হয়। দিন দিন তা আরও বেড়েছে। এরই বিতর্ককে উস্কে দিয়ে একজন কর্মীকে বরখাস্ত করার এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
গত আগস্টে শের স্কারলেট নামে এক সহকর্মীকে নিয়ে #অ্যাপলটু শুরু করেন পারিস। তাদের ওয়েবসাইটে লেখা ‘নিজেদের সুরক্ষিত করার জন্য সংগঠিত করা’ই লক্ষ্য। এ জন্য বর্ণবাদ, যৌনতা, বৈষম্যসংক্রান্ত যেসব বিষয়ের মুখোমুখি হয়েছেন, তা জানাতে তাদের অন্য সহকর্মীদের আহ্বান জানান। তাদের এ আহ্বানে সহকর্মীরা ব্যাপক সাড়া দেন।
এ প্রসঙ্গে পারিস গত শুক্রবার সিএনএনকে বলেন, এরপর থেকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারা তাদের অন্য সহকর্মীদের কাছ থেকে শত শত অভিযোগ পেতে শুরু করেন। এর মধ্যে অফিসের অন্য সহকর্মীর কাছ থেকে যৌন ইঙ্গিতবহ আচরণ ও বয়স নিয়ে কটুকথা যেমন ছিল, তেমন ছিল ধর্ষণ ও আত্মহত্যার মতো আরও কিছু বিষয়।
পারিসকে বরখাস্ত করার ব্যাপারে অবশ্য নির্দিষ্ট করে কোনো মন্তব্য করেনি অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। অ্যাপলে কর্মরত স্কারলেটও এ ব্যাপারে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
এসডব্লিউ/এসএস/১৯০৮
আপনার মতামত জানানঃ