সর্বাধিক সুন্দর গোড়ালির জন্য প্রথম প্রতিযোগিতা ২০ শতকের প্রথম দশকে রেকর্ড করা হয়েছিল। তারপরে তারা নারী অ্যাথলেটদের প্রতিযোগিতার অংশ ছিল। কিছু টুর্নামেন্টগুলি কাঁধ, বাহু এবং পাগুলির সৌন্দর্যও মূল্যায়ন করে।
এই জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা একটি পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকে, মূল্যায়নের জন্য কেবল গোড়ালি প্রদর্শন করে। প্রায়শই এই জাতীয় শো হোসিয়ারি সংস্থাগুলি দ্বারা অনুষ্ঠিত হত এবং তাদের বিজয়ীরা অনুষ্ঠানের স্পনসরদের কাছ থেকে কেবল বিনামূল্যে স্টকিংসই পায় না, খ্যাতি এবং সর্বজনীন প্রেমও অর্জন করেছিল।
এসব প্রতিযোগিতায় এমনকি বয়স্ক নারীদেরও উৎসাহিত করা হত। ১৯২৭ সালে এক সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল যে— প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে বয়স্ক নারীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তারা তাদের মেয়েদের মতই সুযোগ-সুবিধা পাবে।
বিচারক একজন পুলিশ কিংবা কেরানিকে সাথে নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের গোড়ালি হেঁটে হেঁটে দেখেন। তখনকার সময়ে, বিশেষ করে ১৮০০ শতাব্দীতে নারীর গোড়ালি আকাঙ্ক্ষিত এক ব্যাপার ছিল। গোড়ালি সুন্দর হলেই নারীকে সৌন্দর্যের অধিকারী বলে মনে করা হত। এমনকি তখনকার বিভিন্ন বিজ্ঞাপনেও— ‘গোড়ালিই সুন্দর’ শ্লোগানও ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ‘সুন্দর গোড়ালি প্রতিযোগিতা’ মূলত তখনকার ফ্যাশনের বাইরে চলে যায়। ফলে প্রতিযোগিতাটিতে মানুষের আগ্রহ ক্রমশ কমে আসতে থাকে। গোড়ালি প্রতিযোগিতা এখন দেখা না গেলেও আদি কুসংস্কারমনা কিছু মানুষের নিকট নারীর গোড়ালি এখনও বিচারের ব্যাপার।
লেখা ও ছবি: https://rarehistoricalphotos.com/
এসডব্লিউ/কেএইচ/১৮২৯
আপনার মতামত জানানঃ