বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের ধকল কাটিয়ে স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরছে পোশাকশিল্প; রপ্তানিও বাড়ছে দিন দিন। এখন নতুন বাজারের সন্ধ্যানে পোশাক খাতসংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে পণ্যের বহুমুখীকরণেও উদ্যোগ নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন উদ্যমে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত পোশাকশিল্পে আবারও প্রাণ ফিরেছে। এমনকি বছরের প্রথম সাত মাসে পোশাক রপ্তানিতে প্রধান প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে ফের দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা জানান, বিপুলসংখ্যক মানুষকে করোনার টিকা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। তাই সেসব দেশের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান আগামী গ্রীষ্ম ও বসন্ত মৌসুমের জন্য করোনার আগের মতো ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। তা ছাড়া মিয়ানমারে সেনাশাসন ও ভারতে করোনার ভয়াবহতার কারণেও কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তর করা হচ্ছে। বড়দিনকে কেন্দ্র করেও প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে।
তার আগেই চীন থেকে কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে স্থানান্তর করেন ইউরোপ-আমেরিকার ক্রেতারা। সম্প্রতি ভিয়েতনামে করোনার লকডাউন থাকার কারণেও কিছু ক্রয়াদেশ আসছে। সব মিলিয়ে ২০১৯ সালের তুলনায় ১৫-২০ শতাংশ ক্রয়াদেশ বেশি এসেছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, ক্রেতা-দেশগুলো ভ্যাকসিন নিশ্চিত করায় জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। মার্কেট, শপিংমলগুলো খুলছে। ক্রেতারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। ফলে পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। বড় ব্র্যান্ডের ক্রেতারাও আগের তুলনায় অর্ডার বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এভাবে ক্রেতারা ঝুঁকলে আগের অবস্থানে ফিরে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না বলেও মনে করছেন তারা।
প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে; স্থানীয় মুদ্রায় যা ২৯ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা। তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ তথ্যানুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার (২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা)। আগের বছরে (২০১৯-২০ অর্থবছর) রপ্তানি হয়েছে ২৮ বিলিয়ন ডলার, (২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা)।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশের পোশাক খাত হুমকির মধ্যে পড়ে। ব্যাপকভাবে রপ্তানি কমতে থাকে। করোনার ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে পোশাক রপ্তানি হয় মাত্র ২৭ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। এর আগে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ৩৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। করোনায় পোশাক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৭ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় রপ্তানি কমে যায় ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ। তবে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হতে পারে বলে আশা করছে বিজিএমইএ।
এদিকে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) পোশাক খাতে ভিয়েতনামের চেয়ে ১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে বাংলাদেশ। ফলে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে বাংলাদেশ নিজের অবস্থান ফিরে পেয়েছে— এমনটাই দাবি করেছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
সংগঠনটি বলছে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ভিয়েতনাম পোশাক রপ্তানি করেছে ১৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ১৮ দশমিক ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ডেনিম এক্সপার্টের এমডি মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘ক্রয়াদেশ দিতে আগ্রহী ক্রেতাদের ফোন প্রতিদিনই পাচ্ছি। ক্রয়াদেশের এমন চাপ গত পাঁচ বছরে পাইনি। তবে বর্তমানে বড় সমস্যা হচ্ছে শ্রমিকের সংকট। চাহিদা অনুযায়ী লোক পাচ্ছি না। সে কারণে উৎপাদনক্ষমতাও বাড়ানো যাচ্ছে না।’
বাড়ছে দাম
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন এ খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি জানান, পশ্চিমা ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে। পোশাকের আরও বেশি দাম পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। কারখানাগুলোকে কম দামে অর্ডার না নেয়ার আহ্বানও তিনি জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। প্রচুর অর্ডার আসছে। পোশাকের দামও বাড়ছে। সেইসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা পাওয়ার পথও সুগম হয়েছে। সবমিলিয়ে মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও পোশাক শিল্পে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে, তা ধরে রাখতে পারব বলে আশা করছি।’
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরে আমরা বড় বড় বায়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পোশাক কিনবেন তারা। আরও বেশি প্রাইস (দাম) দেবেন।
‘এ বিষয়ে আমি আমাদের পোশাক শিল্প মালিকদের আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন এখন আর কম দামে অর্ডার না নেন। যদি আমরা সবাই মিলে প্রাইসের ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে থাকি, তাহলে তা আরও বাড়বে। আর সেটা ধরে রাখতে পারলে আমরা লাভবান হব।’
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাকখাত আমাদের গর্ব। এই খাতকে ঘিরে আছে কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা। আগামী দিনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে ভিশন তৈরি করেছে, তা অর্জনে পোশাকখাতের গুরুত্ব অপরীসিম। আমাদের সম্ভাবনাও অনেক।
‘আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। প্রচুর অর্ডার আসছে। পোশাকের দামও বাড়ছে। সেইসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা পাওয়ার পথও সুগম হয়েছে। সবমিলিয়ে মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও পোশাক শিল্পে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে, তা ধরে রাখতে পারব বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমি দেশবাসীকে একটি সুসংবাদ দিতে চাই। আর সেই সুংবাদটি হচ্ছে, আমাদের অ্যাপারেল ডিপ্লোমেসির। ইউরোপ বাংলাদেশের প্রধান বাজার, যেখানে আমাদের মোট রপ্তানির ৬০ শতাংশ রপ্তানি হয়। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের মাধ্যমে এই বাজারটিতে আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় পরিবর্তন আসবে।
‘যদিওবা বর্তমান সুবিধা ২০২৯ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, এর পরও যেন আরও অন্তত ১২ বছর এই সুবিধা (ইবিএ) বহাল রাখা হয় তার জন্য সরকার এবং বিজিএমইএ একসঙ্গে কাজ করছে।’
বাড়ছে কর্মসংস্থান
ওভেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এখনও সঠিকভাবে কোনো তথ্য বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা বিজিএমইএ সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে যেটা আভাস পাচ্ছি, আগামীতে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে পোশাকশিল্পে। সব মালিক এখন ব্যস্ত। এমন ব্যস্ততা চার-পাঁচ বছরে চোখে পড়েনি।
‘সবচেয়ে ভালো খবর হচ্ছে, ক্রেতারা এখন বেশি দামে পোশাকের অর্ডার দিচ্ছে। প্রচুর অর্ডার মিলছে। এই বাড়তি অর্ডার বায়ারদের সময়মতো দিতে তো বাড়তি লোক লাগবেই। সে জন্যই কারখানার মালিকরা নতুন লোক নিয়োগ দিচ্ছেন।’
আগামী এক বছরে পোশাক কারখানার কী পরিমাণ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে, এমন প্রশ্নের উত্তরে রুবেল বলেন, ‘সেটা আসলে সঠিকভাবে বলার সময় এখনও আসেনি। আমরা বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে সার্ভে করছি। কিছুদিন পর বলতে পারব। তবে আমার নিজের কারখানার চাহিদা থেকেই বলতে পারি, প্রচুর কর্মী লাগবে আমাদের পোশাক খাতে।’
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, ‘২০১৯ সালের তুলনায় পোশাকের ক্রয়াদেশ ১০-১৫ শতাংশ বেশি আসছে। বাড়তি ক্রয়াদেশের ফলে ৫-৭ শতাংশ শ্রমিক নিয়োগ বাড়তে পারে। তাতে আড়াই লাখের কিছু কম-বেশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে।’
রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে কারখানা ও শ্রমিকের সংখ্যার সঠিক কোনো হিসাব নেই। তবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিইডি) ‘ম্যাপড ইন বাংলাদেশ’-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে রপ্তানিমুখী ৩ হাজার ৩৮৪ পোশাক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করেন ২৬ লাখ ৬৬ হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে ১১ লাখ ১৩ হাজার পুরুষ ও ১৫ লাখ ৫৩ হাজার নারী।
ম্যাপড ইন বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ও বিজিএমইএ-এর দাবি আমলে নিলে বাড়তি ক্রয়াদেশের কারণে ৫-৭ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ৩৩ হাজার থেকে ১ লাখ ৮৬ হাজার নতুন শ্রমিক নিয়োগ হতে পারে পোশাকশিল্পে। তবে ৩ হাজার ৩৮৪ কারখানার মধ্যে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-এর সদস্য নয়, এমন কারখানার সংখ্যা ৬৭৫। ফলে নতুন শ্রমিক নিয়োগের সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে। আবার করোনাকালে ছাঁটাই হওয়া অনেক শ্রমিকও আবার নিয়োগ পাচ্ছেন।
এ তথ্য নিয়ে বিজিএমইএ নেতা মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘আসলে বিজিএমইএ-বিকেএমইএ-এর সদস্যের বাইরেও এক হাজারের মতো কারখানা আছে, যেগুলোতেও ভালো মানের পোশাক তৈরি হয়; কাজও করেন অনেক শ্রমিক। এ ছাড়া পোশাকশিল্পের পশ্চাৎ সংযোগ অন্য কারখানাও আছে এক হাজারের মতো।’
সব মিলিয়ে শ্রমিকের সংখ্যা যোগ করলে ৪০ থেকে ৪২ লাখের মতো হবে বলে জানান রুবেল।
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী ১৯৯০-৯১ অর্থবছরে পোশাক কারখানায় শ্রমিক ছিল ৪ লাখের মতো। ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ লাখ। একইভাবে ২০০২-০৩ থেকে ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ২০ লাখ এবং ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এই শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ লাখে। আর বর্তমানে এই খাতটিতে নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রায় ৪৪ লাখ শ্রমিক কর্মরত। এর মধ্যে বেশির ভাগই (প্রায় ৭০ শতাংশ) নারী শ্রমিক। ৪৪ লাখ শ্রমিকের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যও জড়িয়ে গেছে।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ-এর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ক্রেতারা আগের চেয়ে কম লিড টাইমে পোশাকের ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। তাই অল্প সময়ে বেশি উৎপাদনের জন্য লোকবল নিয়োগ বেড়েছে। তাতে পুরো খাতে বর্তমান জনবলের চেয়ে ৫ শতাংশের বেশি নতুন কর্মসংস্থান হবে।’
কিছুদিনের মধ্যেই প্রধান দুই বাজার ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের দুই জোট অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার (এনপিটি) কঠোর নজরদারিতে আসে ছোট-বড় প্রায় সাত হাজার পোশাক কারখানা। শুরু হয় ব্যাপক সংস্কার অভিযান। সব কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক ত্রুটি শনাক্ত করা হয়। সংশোধনের অযোগ্য ত্রুটি থাকা এবং ব্যয়বহুল ব্যাপক সংস্কার কাজে তাল মেলাতে না পারায় অন্তত দুই হাজার কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্রেতাদের দুই জোট, সরকার, জাপান সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) কয়েকটি দাতা সংস্থা এবং পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর অংশগ্রহণ এবং তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া সংস্কার কার্যক্রম শেষ হয়। দুই জোটের পাঁচ বছরের চুক্তি শেষে আজীবন সংস্কারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সরকার রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) গঠন করেছে। অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স, সুশীল সমাজ, মালিক ও শ্রমিক— সবপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে আরসিসি গঠন করা হয়েছে। দীর্ঘ ধারাবাহিক এ সংস্কারের ফলে বাংলাদেশ এখন নিরাপদ পোশাক কারখানার বিশ্ব মডেল হিসেবে সম্মান পাচ্ছে। অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের সংস্কার মডেল অনুসরণ করতে চায়।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/২০১১
আপনার মতামত জানানঃ