এই সংগ্রহে পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের আকর্ষণীয় যত ছবি আছে সেগুলো তুলা হয়েছিল আজ থেকে একশো বছরেরও বেশি আগে, ১৯১৫ সালে। ছবির পটভূমিতে ছিল মাউন্ট তাবোর, মাউন্ট কারমেল, মাউন্ট অফ অলিভস, মাউন্ট নেবো এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্কের ছবি। ছবিগুলো ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির ভিজ্যুয়াল ইন্সট্রাকশন বিভাগ থেকে পাওয়া এবং ছবিগুলো অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনের শেষ দিকের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে।
পবিত্র ভূমি জেরুজালেম জর্ডান নদী এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত। এলাকাটি ইসরায়েল, পশ্চিম তীর, জর্ডান এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে বিস্তৃত। এই পবিত্র ভূমিকে কেন্দ্র করে ইহুদি, খ্রিস্টান এবং ইসলামের ইতিহাসের অনেক ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল।
ছোট্ট এই অঞ্চলটিতে বরফে আবৃত পর্বত (হার্মোন পর্বত), অনুর্বর মরুভূমি (জুডিয়ান মরুভূমি), একটি বড় মিঠা পানির হ্রদ (গ্যালিলি সাগর) এবং একটি লবণ সমুদ্র (মৃত সাগর)মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।
যুগে যুগে, পবিত্র এই জমিকে দখল করা নিয়ে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যকার সংঘাতে প্রাণ ঝরেছে বহু। আব্রাহামিক তিনটি ধর্ম— ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম এই তিনটি ধর্মের শিক্ষার কেন্দ্রস্থল ছিল এই পবিত্র ভূমি জেরুজালেম। জেরুজালেম দখলকে কেন্দ্র করে তিনটি ধর্মের অনুসারীরা নানা সময়ে সংঘাতে লিপ্ত ছিল এবং মূল্যও দিতে হয়েছিল অনেক।
উসমানীয়রা ১৫১৬ সালে এই অঞ্চলটি দখল করে এবং ১৮৩২ সালে মিশর দখল না হওয়া পর্যন্ত এটি শাসন করে। আট বছর পরে, যুক্তরাজ্যের হস্তক্ষেপে অটোম্যানরা জমিটি আবার ফিরে পায়।
১৮ শতকে এই অঞ্চলে যাযাবর কৃষকরা এসে চাষাবাদ করতেন যা দীর্ঘমেয়াদি করার কোনো আগ্রহ ছিল না তাদের। ফলে তখন অঞ্চলটিতে এক অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা যায়। এর ফলে অঞ্চলটি ক্রমে মরুভূমিতে রূপান্তরিত হতে থাকে। তখন নানা কারণে অঞ্চলটি থেকে গাছ কেটে ফেলা হতো। বলতে গেলে, অঞ্চলটি নিয়ে কারোরই অর্থনৈতিক অগ্রসরতার চিন্তা ভাবনা ছিল না। অঞ্চলটির প্রতি এই অবহেলা চলেছিল আঠারো শতকের শেষ সময় পর্যন্ত। পরে যখন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের খ্রিস্টানরা এই অঞ্চলে তাদের প্রত্নতাত্বিক ও পর্যটক পাঠাতে শুরু করে তখন এর আন্তর্জাতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে।
অঞ্চলটিতে উনবিংশ শতাব্দীতে এবং দ্রুজ, সার্কাসিয়ান, বেদুইন উপজাতিদের আঞ্চলিক অভিবাসনের সময় জনসংখ্যাগত উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছিল। জায়নবাদের উত্থানে ইউরোপ থেকে অনেক ইহুদি অভিবাসী আসতে শুরু করে এবং অঞ্চলটিতে হিব্রু ভাষার পুনরুজ্জীবন ঘটতে থাকে।
লেখা ও ছবি: https://rarehistoricalphotos.com/
এসডব্লিউ/কেএইচ/১৯০০
আপনার মতামত জানানঃ