করোনার টিকা আবিষ্কার হওয়ার সাথে সাথে ধনীদেশগুলো টিকা সংগ্রহে হামলে পড়েছিল। যে যত পারে সংগ্রহ করার নীতি মেনে ধনীদেশগুলোর এহেন আগ্রাসী ভূমিকা তখন নিন্দার কারণ হয়ে উঠেছিল। সেই অবস্থান থেকে ধনীদেশগুলো এখনো সরে আসেনি। নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় মহামারি এই করোনার সময়েও গোয়ার্তমী করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি বিশ্বে টিকা সংকটের কথা উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকার বুস্টার ডোজ স্থগিত করার আহ্বান জানায় ধনীদেশগুলোর প্রতি। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই আহ্বান তারা কানে তুলতে নারাজ। তাই বুস্টার ডোজও চলছে এবং চলবে নীতিতে চলছে দেশগুলো।
করোনা সংক্রমণ রুখতে টিকার তৃতীয় ডোজ তথা বুস্টার শট প্রয়োজন— কোনও কোনও দেশ এমনই মনে করছে। কিন্তু একদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ধনী দেশগুলোকে আহবান জানিয়ে বলে, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা যেন করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া স্থগিত রাখে।
কিন্তু তাদের সেই আহ্বানে সাড়া না দিয়ে জার্মানি ও ফ্রান্স জানিয়ে দিল তারা সেপ্টেম্বর থেকেই টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করবে।
সদ্যই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ফাইজারের তৃতীয় ডোজ কোভিড টিকা দিয়েছে ইসরায়েল। পাঁচ মাস আগে যারা দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছিলেন, কেবলমাত্র তাদেরকেই টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে সেখানে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দেয়া বন্ধ রাখার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে৷ যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ রেখে অন্য দেশের পাশে দাঁড়ানো একটি ‘ভুল পছন্দ’৷
বুধবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পিসাকি বলেন, ‘‘ আমরা মনে করি আমরা (অন্য দেশের পাশে দাঁড়ানো এবং নিজের দেশের মানুষদের বুস্টার ডোজ দেয়া) দুটো কাজই করতে পারি, তাই আমাদের সেই পছন্দ অনুযায়ী কাজ করার দরকার নেই৷”
বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাজ্যসহ আরও কয়েকটি দেশ।
ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকাদানের ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে। আর তা কমিয়ে আনতেই বুস্টার ডোজের প্রয়োগ বন্ধ রাখার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় টিকার বুস্টার ডোজ প্রয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। আর সেই সময়েই তা প্রয়োগ বন্ধ রাখার তাগিদ দিয়েছিল ডব্লিউএইচও।
কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন আবেদনে পাত্তা না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশগুলো শুরু করতে চলেছে করোনার বুস্টারের প্রয়োগ। মূলত বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণদের ক্ষেত্রেই আপাতত এটি ব্যবহার করা হবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানান, বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ প্রয়োগের জন্য কাজ করছে ফ্রান্স। তিনি বলেন, তৃতীয় একটি ডোজ হয়তো প্রয়োজনীয়। কিন্তু তা সবার জন্য না। সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ও বয়স্কদের জন্য।
এদিকে জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়া খুব বয়স্ক ও নার্সিং হোমের বাসিন্দাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কিন্তু স্বাস্থ্য গবেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন, ধনী দেশগুলোর এ সিদ্ধান্ত মহামারিকে কেবল দীর্ঘায়িতই করবে। তারা বলেছেন, বাড়তি এই টিকাগুলো নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে দেওয়া যেতে পারত। এই দেশগুলোর বেশিরভাগ মানুষই এখনও টিকাবঞ্চিত। ফলে দেখা দিতে পারে করোনার নতুন নতুন ধরন, বাড়তে পারে বিপদ।
গবেষকরা বলছেন, টিকার বাড়তি ডোজ জীবন বাঁচায় এমন কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কেবল কিছু মানুষের দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে একটু শক্তিশালী করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১১টি ধনী দেশ যদি পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেয়, তাহলে বাড়তি ৪৪ কোটি ডোজ টিকার প্রয়োজন পড়বে। উচ্চ ও উচ্চ-মধ্য আয়ের সব দেশও যদি এই পথে হাঁটে, তবে সব মিলিয়ে বাড়তি টিকা লাগবে ৮৮ কোটি ডোজ।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে এসব বাড়তি টিকা যদি নিম্ন ও নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশগুলোতে সরবরাহ করা যায়, তবে বেশি উপকারে আসবে। এই দেশগুলোর ৮৫ শতাংশের বেশি মানুষ— প্রায় ৩৫০ কোটি— এখনও এক ডোজ টিকাও পায়নি।
আফ্রিকার মাত্র ২ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে। মহাদেশটিতে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণের হার।
তবে সবচেয়ে ভীতিকর তথ্য হচ্ছে, কম টিকা পাওয়া দেশগুলোতে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের আরও বিপজ্জনক ধরনের আবির্ভাবের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
১১টি ধনী দেশ যদি পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেয়, তাহলে বাড়তি ৪৪ কোটি ডোজ টিকার প্রয়োজন পড়বে। উচ্চ ও উচ্চ-মধ্য আয়ের সব দেশও যদি এই পথে হাঁটে, তবে সব মিলিয়ে বাড়তি টিকা লাগবে ৮৮ কোটি ডোজ।
বিশ্বের সব প্রাপ্তবয়স্কের জন্য যদি পর্যাপ্ত টিকা থাকত, তাহলে ধনী দেশগুলোতে তৃতীয় ডোজ দেওয়ার খবরে বিশেষজ্ঞরা এত আতঙ্কিত হতেন না। কিন্তু বৈষম্য ক্রমাগত বাড়ছেই। একটি স্বাস্থ্য সংগঠনের গত জুলাইয়ের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নিম্ন আয়ের দেশগুলো ২০২৩ সালের আগে পর্যাপ্ত টিকা পাবে না।
এ বছর মডার্না ও ফাইজার-বায়োএনটেকের উৎপাদিত সমস্ত টিকাই— ৩২০ কোটি ডোজ— ইতিমধ্যে কিনে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। যদিও এখান থেকে অল্প কিছু টিকা দরিদ্র দেশে দান করা হবে।
টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার অজুহাত হিসেবে ধনীগুলো বলছে, সবার আগে নিজের নাগরিকদের রক্ষা করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞের কাছেই এই অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের মতে, নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোকে চরম ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিতে দ্বিধা করছে না উন্নত বিশ্ব। ধনী দেশগুলোর এই স্বার্থপরতা ক্রমেই ক্ষোভ বাড়াচ্ছে বিশেষজ্ঞ ও দরিদ্র দেশগুলোর।
বৈষম্য
মহামারীটি আরো সাশ্রয়ী ও কার্যকরভাবে প্রতিরোধের জন্য বাণিজ্য সম্পর্কিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মেধাস্বত্ব চুক্তির (ট্রিপস) প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো সাময়িকভাবে স্থগিত করার জন্য উন্নয়নশীল দেশের প্রদত্ত প্রস্তাবে বিরোধিতা করে চলেছে বেশির ভাগ ধনী দেশগুলো।
প্রাসঙ্গিক ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা, চিকিৎসা, ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং প্রোফিল্যাকটিক ভ্যাকসিনগুলোর দ্রুত উৎপাদন বাড়াতে এবং সাশ্রয়ী অভিগমনের প্রয়োজনে ২০২০ সালের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের প্রস্তাব এখন ডব্লিউটিওর দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি সদস্যের দ্বারা সমর্থিত।
বাইডেন প্রশাসন কেবল ভ্যাকসিনের জন্যই এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের বিরোধিতা উল্টে দিয়েছে। প্রয়োজনীয় পরিপূরক ব্যবস্থা ব্যতীত এবং ইউরোপীয় সরকারগুলোর ক্রমাগত বিরোধিতার কারণে মার্কিন নীতির আংশিক পরিবর্তন এখন পর্যন্ত কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তাই বলেছেন, টিকা নিতে ‘কলঙ্কজনক বৈষম্য’ বিরাজ করায় মহামারিটি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ‘টিকাগুলো ন্যায়সংগতভাবে বিতরণের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ব্যর্থতা এ মহামারীকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলছে, যা এখন বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র এবং সবচেয়ে দুর্বল দেশ ও ব্যক্তিদের ওপর প্রভাব ফেলছে।’
কোভিড-১৯-এর নতুন, আরো সংক্রামক, এমনকি মারাত্মক রূপগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এখনো আসেনি। এরই মধ্যে টিকা উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো অভাবনীয় মুনাফা অর্জনের পথে রয়েছে। টিকা বিক্রি থেকে আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বে অন্তত নয়জন নতুন বিলিয়নেয়ার তৈরি হয়েছে। শেয়ারের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট টিকা উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা অতি ধনী হয়েছেন।
টিকা সহজলভ্য না হওয়ায় ক্ষতি হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতির
অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোতে যখন কোভিড পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে, তখন নিম্ন আয়ের দেশগুলোর অবস্থা খারাপ হচ্ছে ক্রমশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, এর পেছনে মূল কারণ করোনা ভাইরাসের টিকা সহজলভ্য না হওয়া। খবর ডয়চেভেলের।
অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোতে যখন কোভিড পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে, তখন নিম্ন আয়ের দেশগুলোর অবস্থা খারাপ হচ্ছে ক্রমশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, এর পেছনে মূল কারণ করোনা ভাইরাসের টিকা সহজলভ্য না হওয়া।
সংস্থার সর্বশেষ তথ্য বলছে, অগ্রসর অর্থনীতির দেশগুলো এরই মধ্যে গড়ে ৩৯.৭ শতাংশ মানুষকে টিকা দিয়েছে। উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো টিকা দিয়েছে ১১ শতাংশ মানুষকে। অন্যদিকে নিম্ন আয়ের দেশগুলো মাত্র ১.২ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে।
ধনী ও গরিব দেশগুলোর মধ্যে টিকা নিয়ে এ বৈষম্যই দীর্ঘায়িত করছে মহামারি। অগ্রসর অর্থনীতির দেশগুলোতে মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে ব্যাপক হারে অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো দেশে ২০২২ সাল পর্যন্ত এ সহায়তা বলবৎ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। অন্যদিকে বেশিরভাগ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোতে ২০২০ সালেই জনগণের জন্য আর্থিক সহায়তা শেষ হয়ে গেছে। আবার নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জনগণের কাছে তেমন একটা সহায়তাই পৌঁছেনি।
আইএমএফ বলছে, গত এপ্রিলের পর অগ্রসর অর্থনীতির দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ০.৫ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু উদীয়মান ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধি একই মাত্রায় নিম্নগামী হওয়ায় ২০২১ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ছয় শতাংশই থাকছে। তাই বিশ্বজুড়ে মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সম্ভব নয় বলেও মনে করেন আইএমএফের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গিতা গোপীনাথ।
বিভিন্ন দেশে মহামারির প্রথম ধাক্কার পর ধীরে ধীরে ব্যবসা-বাণিজ্য খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও অর্থনীতিতে যে ধাক্কা লেগেছে তার প্রভাবে বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক এবং রাজনীতিবিদরা মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা করছেন।
তবে আইএমএফের বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করছেন, মহামারি থেমে গেলে অগ্রসর অর্থনীতির দেশগুলোতে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে দীর্ঘদিন। একদিকে মূল্যস্ফীতি, অন্যদিকে মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে প্রবৃদ্ধি হুমকির মুখে পড়বে। অনিয়মিত পণ্য সরবরাহ এবং বাড়িভাড়া বৃদ্ধিও দীর্ঘমেয়াদে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলবে।
এসব কারণে টিকার বৈষম্য দ্রুত কমিয়ে ফেলার আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফ। বৈশ্বিক অর্থনীতিকে ধাক্কা সামলানোর অবস্থায় আনতে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বের সব দেশে অন্তত ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার আহ্বান সংস্থাটির। এ জন্য যেসব দেশে বাড়তি টিকা রয়েছে, তাদের অন্তত ১০০ কোটি ডোজ নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে দিতে হবে। টিকা উৎপাদন ও প্রস্তুতকারীদেরও টিকা সরবরাহ করতে হবে এসব দেশে আগে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৫৩৩
আপনার মতামত জানানঃ