দেশে মহামারি করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। প্রতিদিন ভাঙছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড। করোনা মহামারির এই আতঙ্কের মধ্যে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে ডেঙ্গু।
গত কয়েক বছরে ডেঙ্গুর কারণেও কম ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি আমাদের। বছরের এই সময়টায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। এবারও ব্যতিক্রম নয়, এরই মধ্যে হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর পাশাপাশি বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীও। চলতি মাসে রাজধানীতে ৪২৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার (১২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) সহকারী পরিচালক ও হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদনে এই তথ্য এসেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০ জন ডেঙ্গু রোগী রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত দুদিনে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২৩ জন।
বর্তমানে রাজধানীসহ সারা দেশে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২০৯ জন। তাদের মধ্যে ২০৮ জনই রাজধানী ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশে সর্বমোট ৭৯৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
তার মধ্যে জানুয়ারিতে ৩২ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৯ জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে তিনজন, মে’তে ৪৩ জন, জুনে ২৭১ জন এবং ১২ জুলাই পর্যন্ত ৪২৫ জন রোগী ভর্তি হন।
করোনাপূর্ববর্তী বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত বিষয় ছিল ডেঙ্গু। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবে এক লাখেরও বেশি। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৪৮ জন। যদিও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের কাছ থেকে আড়াইশর বেশি মানুষের এই রোগে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এত রোগী কখনই হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্যমতে, ২০১৮ সালে দেশে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ১৪৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ১৯ বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট রোগী ৫০ হাজার ১৭৬ জন। ২০০০ সালে দেশে প্রথম ব্যাপকভাবে ডেঙ্গু রোগী দেখা যায়। সেই সময় ৫ হাজার ৫১১ রোগী ভর্তি হয়েছিল, আর মারা যান ৯৩ জন। ওই বছরই রোগটি প্রথম ভয়াবহ আকার নেয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০ জন ডেঙ্গু রোগী রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত দুদিনে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২৩ জন।
এর পর ধারাবাহিকভাবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ও এতে মৃত্যু কমে আসে। ২০০৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বছরে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারের নিচে থাকে, মৃতের সংখ্যাও ছিল খুব কম। ২০১৬ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়ালেও পরের বছর আবার কমে যায়। এর পর আবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে ২০১৮ সালে, ১০ হাজার ১৪৮ জন আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৬ জন। আর গত বছরে প্রাদুর্ভাব বেড়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নতুন নতুন রেকর্ডের জন্ম দেয়। ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ৫০ হাজার ১৪৮ জনের ডেঙ্গুর চিকিৎসা নেওয়ার তথ্য নথিভুক্ত রয়েছে সরকারের খাতায়। সেখানে গত বছরের আগস্টেই আক্রান্ত হয়েছে ৫২ হাজার ৬৩৬ জন।
মশার উপদ্রব বাড়ছে রাজধানীতে
এদিকে মশার উপদ্রব বাড়ছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। অনেক স্থানে দিনের বেলায়ও মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তারা বলছেন, গত এক মাস ধরে মশার উপদ্রব বেড়েছে। দুই বেলা মশার ওষুধ ছিটানোর কথা থাকলেও অনেক স্থানে নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো হয় না। কোথাও কোথাও সপ্তাহে একবার মশার ওষুধ ছিটানো হয়। অনেক স্থানে নামকাওয়াস্তে প্রধান সড়ক ধরে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়িয়েই দায়িত্ব শেষ করেন মশককর্মীরা।
জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব গ্রহণের পরেই মশক নিধন কার্যক্রমকে ঢেলে সাজান। এর অংশ হিসেবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রতিদিন চার ঘণ্টা প্রতি ওয়ার্ডে নির্ধারিত আটজন মশককর্মী বিভিন্ন স্থানে লার্ভিসাইডিং চালু করেন। অন্যদিকে দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এডাল্টিসাইডিং করা হয়।
তবে সরেজমিন বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে সংবাদকর্মীরা জেনেছেন, গত কয়েক মাস ধরে মশক নিধন অভিযানে গাফিলতি এসেছে। শুরুর দিকে মশককর্মীরা নিয়মিত ওষুধ ছিটালেও বর্তমানে সেভাবে ওষুধ ছিটানো হয় না। ফলে মশার উপদ্রব আবার বেড়েছে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-২ ও অঞ্চল ৪-এর আওতাধীন এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খাতাকলমে প্রতি ওয়ার্ডে আটজন মশককর্মী কাজ করার কথা থাকলেও বাস্তবে তেমন দেখা মেলেনি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেও বিষয়টির সত্যতা মিলেছে।
এদিকে মশক প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে চলছে মোবাইল কোর্ট। করপোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলেই এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
অন্যদিকে উত্তর সিটি করপোরেশনের নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে আজ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত শুক্রবার ব্যতীত ৮ দিনব্যাপী মশক নিধনে চিরুনি অভিযান পরিচালিত হবে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই মশক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। নতুন কোনো উদ্যোগ না থাকলেও মশককর্মীদের কাজ কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি সব ওয়ার্ডে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।
উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে নগরবাসীর প্রতি আমার আহ্বান ‘তিন দিনে একদিন, জমা পানি ফেলে দিন’।
তিনি বলেন, ডিএনসিসি এলাকার যেসব ডেঙ্গু কিংবা চিকুনগুনিয়া রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, সেই তথ্য ডিএনসিসিতে সরবরাহ করা হলে সংশ্লিষ্ট রোগীর বাড়ি ও তার আশপাশে মশার ওষুধ স্প্রে করা হবে।
ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক নয়: তাজুল ইসলাম
ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও তা নিয়ে আতঙ্কগ্রস্থ না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগের আয়োজনে সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার দশম আন্তঃমন্ত্রণালয় অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
সভায় রাজধানীবাসীকে ডেঙ্গু নিয়ে এখনই আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা বিস্তার বা প্রজননের সকলক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এডিস, অ্যানোফিলিস বা কিউলিক্স মশা যে মশাই হোক না কেন এগুলো নিধনের জন্য কি করতে হবে তা সবারই জানা।
করোনার মধ্যে যেন ডেঙ্গু মাথা ব্যথার কারণ না হয় সেটি লক্ষ্য রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন তিনি।
রাজধানীতে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিস্তার রোধ করতে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জেল, জরিমানার বিধান জারির পরও রাজধানীবাসী সতর্ক হচ্ছেন না। এতে চটেছেন মন্ত্রী।
‘জেল-জরিমানা করার পরও ঐসব বাসা-বাড়ি অথবা ভবনে পুনরায় মশার লার্ভা পাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে । ইচ্ছাকৃতভাবে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করা গুরুতর অপরাধ। আর এই অপরাধের সাথে কেউ সম্পৃক্ত হলে তাকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জেল-জরিমানা করার পরও ঐসব বাসা-বাড়ি অথবা ভবনে পুনরায় মশার লার্ভা পাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে । ইচ্ছাকৃতভাবে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করা গুরুতর অপরাধ। আর এই অপরাধের সাথে কেউ সম্পৃক্ত হলে তাকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
প্রত্যেক ওয়ার্ডকে দশটি সাব জোন ভাগ করে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে নিয়ে গঠিত কমিটিকে স্থায়ী রুপ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ত্রাণ বিতরণ, মশা নিধন, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দুর্যোগ-দুর্বিপাকসহ যেকোন সমস্যা দ্রুত সমাধানে এই কমিটিকে কাজে লাগানো সম্ভব।
মশা নিধনে অর্পিত নাগরিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা বা ঘাস কাটা বছর ভিত্তিক অথবা কোয়ার্টালি না করে নিয়মিত করতে হবে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রেলওয়ে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং সিভিল এভিয়েশনসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অধিক্ষেত্রে মশকের বিস্তার রোধে নিজ নিজ উদ্যোগে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দায়িত্ব পালনে অবহেলার কোনো সুযোগ নেই।’
ডিএনসিসির ডেঙ্গু অভিযানে ২ লাখ ৯১ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসি এলাকায় এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিস্তার রোধকল্পে মোবাইল কোর্টে ১৪টি মামলায় সর্বমোট ২ লাখ ৯১ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ডিএনসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সোমবার ডিএনসিসির ১ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ৪টি মামলায় ৩১ হাজার ৫০০ টাকা, ২ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ. এস. এম. সফিউল আজম পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ৫টি মামলায় ২ লাখ ৫ হাজার টাকা, ৩ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ২টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা এবং ৬ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিন পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ৩টি মামলায় ২৫ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এভাবে মোট ১৪টি মামলায় আদায়কৃত জরিমানার সর্বমোট পরিমাণ ২ লাখ ৯১ হাজার ৭০০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকে। ফলে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী অ্যাডিস মশার প্রজনন বেশি হয়। তাই তিন দিনের বেশি পরিষ্কার পানি কোথাও জমে থাকলে তা ফেলে দিতে পরামর্শ তাদের।
তারা বলেন, ডেঙ্গুর অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। ঢাকা ও আশপাশে অনেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। আমাদের ধারণা, সামনের দিনে আরও বাড়তে পারে।
তারা বলেন, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ নিয়েছে। হয়তো কমতেও পারে। তবে শুধু অভিযানে নাগরিকদের জরিমানা করে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। কেবল বাসাবাড়িতেই এডিশ মশা জন্ম নেয় না। রাস্তাঘাট, টার্মিনালসহ নানা খোলা জায়গা রয়েছে, সেগুলো পরিষ্কারে মনোযোগ দিতে হবে। নাগরিকদের চাপ প্রয়োগের পাশাপাশি করপোরেশনের দায়িত্বও যথাযথ পালন করতে হবে।
তারা বলেন, মহামারি চলার সময় একটা দিকে বেশি খেয়াল থাকে, পাশ দিয়ে অনেক কিছু হয়ে যায়। করোনার মধ্যে ডেঙ্গুও এমন একটা বিষয়। মশক নিধনে দুই সিটি করপোরেশনের তৎপরতা চোখে পড়ছে না। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে জনগণের সচেতনতাও জরুরি।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/২০২৯
আপনার মতামত জানানঃ