রংপুরের পীরগঞ্জে তুলারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের লিনটেন ঢালাইয়ের একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। পরে কাজ ফাঁকির অভিযোগ এনে পুরো লিনটেন ঢালাই ভেঙে দেয় প্রকৌশল বিভাগ।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দরপত্রের মাধ্যমে পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় ৯৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা ব্যয়ে তুলারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ তলার ভিত্তিসহ প্রথম তলার কাজ সম্পন্নের কার্যাদেশ দেয়া হয়। রংপুরের মেসার্স তাহিদী কন্সট্রাকশন ওই ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পায়।
কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি স্থানীয় টিওরমারী গ্রামের আব্দুল লতিফ মাস্টারের ছেলে এনামুল হক নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। ক্রয়কারী সাব-ঠিকাদার এনামুল হক শিডিউল বহির্ভূত কাজ করায় এলাকাবাসী দফায় দফায় বিভিন্ন দফতরে একের পর এক অভিযোগ করেন। কানে তোলেনি কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, লিনটেন ঢালাইয়ে ১২ এমএম আকৃতির চারটি করে রড ব্যবহার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। মিস্ত্রির ভুল করে দুটি করে ১০ এমএম রড দেওয়ায় ঢালাইটি লোড নিতে পারেনি।
একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সাটারিং সরানোর সময় সামনের একটি লিনটেন ভেঙে পড়ে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। যদিও সাব-ঠিকাদার এনামুল হক দোষ মিস্ত্রিদের ঘাড়ে চাপিয়ে বলেন, ‘মিস্ত্রির ভুলের কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে।’
তিনি বলেন, লিনটেন ঢালাইয়ে ১২ এমএম আকৃতির চারটি করে রড ব্যবহার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। মিস্ত্রির ভুল করে দুটি করে ১০ এমএম রড দেওয়ায় ঢালাইটি লোড নিতে পারেনি।
এ বিষয়ে তদারকি কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘অফিসকে না জানিয়ে সাব ঠিকাদার নিজের ইচ্ছা মাফিক লিনটেন ঢালাই দেয়। সাটারিং খোলার সময় সামনের একটি লিনটেন ভেঙে পড়ে। খবর পেয়ে আমরা গত শুক্র ও শনিবার ওই ঢালাই ভেঙে দিই।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, ‘স্পেসিফিকেশন বহির্ভূত কাজ হওয়ায় এবং প্রকৌশল অফিসকে না জানিয়ে কাজ করায় তা ভেঙে ফেলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে রংপুর এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল হক বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৬৩৭
আপনার মতামত জানানঃ