‘সমাজে খারাপ’ অপবাদ দিয়ে রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁওয়ে শ্রমজীবী এক নারীকে শারীরিক নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় জড়িত আলম (৫২) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (০৭ নভেম্বর) সদর উপজেলার হরিহরপুর খালপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার রাতে আলমসহ আরও ৭ জন ওই নারীকে বাসায় ডেকে নেয়। এরপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। নির্যাতন করা হয়। এরপর একপর্যায়ে তার মাথার সব চুল কেটে দেয় অভিযুক্তরা। কাতরভাবে আকুতি মিনতি করেও রক্ষা পাননি তিনি।
নির্যাতিত নারীর স্বজন ও স্থানীয়রা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি জানিয়েছেন। তারা জানান, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মাকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় শ্রম দিয়ে দিন যাপন করে আসছিলেন ওই নারী। অভিভাবকহীন পরিবারটিকে বিভিন্ন সময়ে নানা উপায়ে অপবাদ দিয়ে আসছে স্থানীয় আলম ও তার লোকজন।
গতকাল শনিবার রাতে আলম ওই নারীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যানের পর তার মাথার চুল কেটে দেয়। ঘটনাটি আজ রোববার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি জানার পর এলাকাবাসী ও মানবাধিকারকর্মীরা নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
তারা জানান, নির্যাতিতা নারীর কোনো অপরাধ করে থাকলে সমাজিকভাবে তার সমাধান করা যেত। সে সুযোগ না দিয়ে তাকে নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে দেয়া অন্যায়। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার খবর পাওয়ার পর ওই এলাকা থেকে নির্যাতন ও চুল কাটার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে।
এসডব্লিউ/এসএস/২৩২২
আপনার মতামত জানানঃ