![](https://statewatch.net/wp-content/uploads/2020/11/us-300x167.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য নতুন পরীক্ষার নিয়ম হচ্ছে, যা আগের চেয়ে কঠিন হবে। নাগরিকত্ব গ্রহণের পরীক্ষায় আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন নিয়মে আবেদনকারীকে অনেক নতুন প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। অর্থাৎ প্রশ্নের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ছে। ১৩ নভেম্বর ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) নতুন এই নিয়মের কথা ঘোষণা করে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন এই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন মৌখিক পরীক্ষায় ১২৮টি প্রশ্ন থাকবে। এর আগে ২০০৮ সালে পরিবর্তন করা মৌখিক পরীক্ষার জন্য ১০০ প্রশ্ন ছিল। আগের প্রশ্ন থেকে নাগরিকত্ব গ্রহণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য ১০টির মধ্যে ৬টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার নিয়ম ছিল। ১ ডিসেম্বর থেকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারীকে ২০টি প্রশ্নের মধ্যে ১২টির সঠিক উত্তর দিতে হবে।
নাগরিকত্বের জন্য তিনটি বিভাগে প্রশ্ন থাকবে। এগুলো হলো, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতিমালা, সরকারপদ্ধতি, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অধিকার ও দায়িত্ব। পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস, নানা প্রতীক ও ফেডারেল ছুটি নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। আগের পরীক্ষা পদ্ধতিতে মার্কিন সরকারের তিনটির মধ্যে যেকোনো একটা শাখার নাম জিজ্ঞাসা করা হতো। নতুন নিয়মে আবেদনকারীকে তিনটি বিভাগের নামই বলতে হবে।
এধরনের নতুন একটি প্রশ্ন হচ্ছে, ইলেকটোরাল কলেজ কেন গুরুত্বপূর্ণ? এছাড়া আগের কিছু প্রশ্নের উত্তরও ভিন্নভাবে দিতে হবে। যেমন সিনেটররা কাদের প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন? আগে উত্তর দেওয়া হতো, অঙ্গরাজ্যের সব মানুষের। এখন উত্তর দিতে হবে, অঙ্গরাজ্যের সব নাগরিকের। ইউএসসিআইএস জানিয়েছে, ইংরেজি বলা ও লেখার পরীক্ষা আগের মতোই থাকবে। ইউসিআইএসের ডেপুটি পরিচালক জোসেফ এডলো বলেছেন, নাগরিকত্ব পরীক্ষার নতুন এসব প্রশ্নের মাধ্যমে অভিবাসীদের মার্কিন সমাজের একজন উৎকৃষ্ট সদস্য হিসেবে গড়ে তোলাই লক্ষ্য।
ইমিগ্রেশন বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নতুন মৌখিক পরীক্ষায় ১২৮টি প্রশ্ন থাকবে। এর আগে ২০০৮ সালে পরিবর্তন করা নিয়মাবলিতে এমন মৌখিক পরীক্ষার জন্য ১০০টি প্রশ্ন থাকত। আগের প্রশ্ন থেকে নাগরিকত্ব গ্রহণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য ১০টির মধ্যে ৬টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার নিয়ম ছিল। ১ ডিসেম্বর থেকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারীকে ২০টি প্রশ্নের মধ্যে ১২টির সঠিক উত্তর দিতে হবে।
ইমিগ্রেশন বিভাগের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, নাগরিকত্বের জন্য তিনটি ক্ষেত্রে প্রশ্ন থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতিমালা, সরকারপদ্ধতি, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অধিকার ও দায়িত্ব। পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস, নানা প্রতীক ও ফেডারেল ছুটি নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। ২০০৮ সালের নিয়মে নাগরিকত্বের আবেদনকারীকে মার্কিন সরকারের তিনটির মধ্যে যেকোনো একটা শাখার নাম জিজ্ঞাসা করা হতো। নতুন নিয়মে আবেদনকারীকে তিনটি বিভাগের নামই বলতে হবে। পরীক্ষায় নতুন কিছু প্রশ্নও যুক্ত করা হয়েছে।
ইউসিআইএসের ডেপুটি পরিচালক জোসেফ এডলো বলেছেন, নাগরিকত্ব পরীক্ষার নতুন এসব প্রশ্নের মাধ্যমে অভিবাসীদের আমেরিকার সমাজের একজন উৎকৃষ্ট সদস্য হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অভিবাসন নীতিমালাবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন ডাগ র্যান্ড। ১৩ নভেম্বর এক টুইট বার্তায় তিনি অভিবাসন বিভাগ কর্তৃক নাগরিকত্ব পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের এমন পরিবর্তনকে অপ্রয়োজনীয়, জটিল ও আদর্শিকভাবে এক নির্লজ্জ প্রয়াস বলে উল্লেখ করেন। অভিবাসীদের সামনে আরেকটি বাধা সৃষ্টি করাই এমন প্রশ্ন প্রতিবর্তনের উদ্দেশ্য বলে তিনি মনে করেন। তবে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর এসবের পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করছেন ডাগ র্যান্ড।
মিই/আরা/১৪২০
আপনার মতামত জানানঃ
![Donate](https://statewatch.net/wp-content/uploads/2021/06/xcard.jpg.pagespeed.ic.qcUrAxHADa.jpg)
আপনার মতামত জানানঃ