মামুনুল হকসহ আগের কমিটির অধিকাংশ নেতাকে বাদ দিয়ে ও অরাজনৈতিক প্রতিজ্ঞা নিয়ে হেফাজতে ইসলামের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের আমির পদে জুনায়েদ বাবুনগরীকে বহাল রেখে ৩৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মহাসচিব পদে থাকছেন নুরুল ইসলাম জিহাদী। কমিটিতে আছেন হেফাজতের প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীর বড় ছেলে ইউসুফ মাদানী। তিনি হয়েছেন সহকারী মহাসচিব। এ ছাড়া জহুরুল ইসলামও এই পদে স্থান পেয়েছেন।
আজ সোমবার(৭ জুন) সকাল ১১টায় রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করেন হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী।
এ কমিটিতে জায়গা হয়নি সংগঠনটির আলোচিত নেতা মামুনুল হকের। হেফাজতের আগের কমিটিতে তিনি যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।
নতুন কমিটিতে স্থান পাননি হেফাজতের আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদীও। তিনি সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।
নূরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, ভবিষ্যতে প্রত্যেক জেলা কমিটির সভাপতি পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ছাড়া জেলা কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারি অরাজনৈতিক ব্যক্তি হতে হবে।
কমিটি ঘোষণা করে আপনারা খুশি কি না— এই প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, ‘আমরা সবাই খুশি। অন্যদিকে আমাদের মনের মধ্যে একটা আশঙ্কা রয়েছে, আমরা ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করতে পারব কি না।’
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, ‘এখন যারা জেলে রয়েছে তারা কমিটিতে নেই। তবে তাদের বাদ রাখা হয়েছে এমন নয়। পরবর্তীতে তারা যুক্ত হতেও পারেন।’
কোনো ধরনের চাপে কমিটি বিলুপ্ত এবং তড়িঘড়ি করে নতুন কমিটি করা হচ্ছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কমিটি গঠন বা আমাদের সংগঠনের ওপর কোনো চাপ নেই। ২৫ এপ্রিল সকলের সাথে পরামর্শ করে মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী কমিটি বিলুপ্ত করেছিলেন। আর পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করেন। কথা ছিল এ ৫ সদস্যের কমিটি নতুন কমিটি গঠন করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের সকল সদস্য জেল থেকে মুক্তি পাক। এবং তাদের কোনো ধরনের নির্যাতন যেন না করা হয় সেজন্য আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছি।’
হেফাজতের নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যারা
আমির- আল্লামা মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী। নায়েবে আমির- মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা আবদুল হক (মোমেনশাহী), মাওলানা সালাহ উদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী (দেওনা পীর), মাওলানা মুহিব্বুল হক (গাছবাড়ী, সিলেট), মাওলানা ইয়াহইয়া (হাটহাজারী), মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (ফরিদাবাদ), মাওলানা তাজুল ইসলাম , মাওলানা মুফতি জসিমুদ্দীন (হাটহাজারী মাদরাসা)।
মহাসচিব- মাওলানা হাফেজ নূরুল ইসলাম (ঢাকা)। যুগ্ম মহাসচিব- মাওলানা সাজেদুর রহমান (ব্রাহ্মণবাড়িয়), মাওলানা আবদুল আউয়াল (নারায়ণগঞ্জ), মাওলানা লোকমান হাকিম (চট্টগ্রাম),মাওলানা আনোয়ারুল করীম (যশোর), মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী।
সহকারী মহাসচিব- মাওলানা জহুরুল ইসলাম, হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ মাদানী। সাংগঠনিক সম্পাদক- মাওলানা মীর ইদরিস (চট্টগ্রাম)। অর্থ সম্পাদক- মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ আলী মেখল। সহ-অর্থ সম্পাদক- মাওলানা মুফতি হাবীবুর রহমান কাসেমী (নাজিরহাট)।
প্রচার সম্পাদক- মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী (সাভার, ঢাকা)। সহ-প্রচার সম্পাদক- মাওলানা জামাল উদ্দীন (কুড়িগ্রাম), দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক- মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, (উত্তরা ঢাকা)। সহ-দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক- মাওলানা ওমর ফারুক (নোয়াখালী)।
সদস্য- মাওলানা মুবারক উল্লাহ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মাওলানা ফয়জুল্লাহ (পীর মাদানীনগর), মাওলানা ফোরকান উল্লাহ খলীল, মাওলানা মুশতাক আহমদ (খুলনা), মাওলানা রশীদ আহমদ (কিশোরগঞ্জ), মাওলানা আনাস (ভোলা), মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী ও মাওলানা মাহমুদুল আলম (পঞ্চগড়)।
৯ সদস্য বিশিষ্ট খাস কমিটি
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের ৯ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় একটি খাস কমিটিও ঘোষণা করা হয়।
সংগঠনের মহাসচিব নূরুল ইসলাম জেহাদী বলেন, হেফাজতের এই খাস কমিটি “মজলিসে শুরা” হিসাবে বিবেচিত হবে। এ ছাড়া হেফাজতের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে, যারা সংগঠনের যে কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
ওই খাস কমিটিতে রয়েছেন, মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, জুনাইদ বাবুনগরী, আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, নূরুল ইসলাম, মিযানুর রহমান চৌধুরী (পীর সাহেব দেওনা), সাজেদুর রহমান, (ব্রাহ্মণবাড়িয়া),আল্লামা মুহিব্বুল হক (গাছবাড়ী, সিলেট), আব্দুল আউয়াল (নারায়নগঞ্জ), মুহিউদ্দীন রব্বানী, (সাভার ঢাকা)।
১৬ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি
এ ছাড়াও হেফাজতের ১৬ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটিও ঘোষণা করা হয়। এ কমিটির সদস্যরা হলেন- মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মুফতি আব্দুস সালাম (চাটগামী), সুলতান যওক নদভী, আব্দুল হালীম বোখারী (পটিয়া), নুরুল ইসলাম আদীব (ফেনী),আব্দুল মালেক হালীম, আব্দুর রহমান হাফেজ্জী (মোমেনশাহী), রশিদুর রহমান ফারুক বর্ণভী, নূরুল হক বটগ্রাম (কুমিল্লা), আবুল কালাম (মুহাম্মদপুর), শিব্বির আহমাদ (নোয়াখালী), জালাল আহমাদ (ভূজপুর), আল্লামা আশেক এলাহী (উজানী), হাবিবুল্লাহ বাবুনগরী, আব্দুর বাছীর (সুনামগঞ্জ), আফজালুর রহমান (ফেনী)।
শফীর ছেলে হেফাজতের কমিটিতে
হেফাজতে ইসলামের ৩৩ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহকারী মহাসচিব করা হয়েছে সংগঠনটির সাবেক আমির শাহ আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ মাদানীকে।
হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আহমদ শফীর বড় ছেলে ইউসুফ মাদানী আপনাদের কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে জানিয়েছেন, এই কমিটি মানেন না। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের সঙ্গে তার যে কথা হয়েছে, তিনি কমিটিতে থাকার কথা জানিয়েছেন। তিনি কমিটি মানেন না বলে যদি কোনো কথা বলে থাকেন, সেটা সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন। আমাদের এ রকম কিছু বলেননি।
হেফাজতের শফীপন্থিদের সঙ্গে বিভাজন দূর হয়েছে কি না,এমন প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম বলেন, হেফাজতে ইসলাম একটি। অন্য কোনো হেফাজত নেই। আর বিদ্রোহের কোনো খবর আমাদের কাছে নেই।
হেফাজতের প্রয়াত আমির ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান। এর পর নানান আলোচনার মধ্যে ১৫ নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে বাবুনগরীকে আমির করে হেফাজতের ১৫১ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। ১৫১ সদস্যের ওই কমিটিতে আহমদ শফীর অনুসারীরা কেউ জায়গা পাননি।
ওই কমিটিতে নূর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব করা হয়। তবে তিনি গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর মারা গেলে ২৬ ডিসেম্বর খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদীকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
তবে নতুন কমিটি গঠনের ছয় মাস পার হওয়ার আগেই নরেন্দ্র মোদির সফরকেন্দ্রিক বিক্ষোভ থেকে সহিংসতার ঘটনার পর পুলিশি অভিযানে চাপে থাকা হেফাজতের সেই কমিটি এ বছরের ২৫ এপ্রিল রাতে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
সেদিন রাতে হেফাজতে ইসলামের ফেসবুক পেজে এক মিনিট ২৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে কমিটি বিলুপ্তির কথা জানান জুনায়েদ বাবুনগরী। সে ভিডিওতেই নতুন একটি আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানান বাবুনগরী।
সেদিন রাতেই কমিটি বিলুপ্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। দুই দফার বিজ্ঞপ্তিতে হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির উপদেষ্টা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর নেতৃত্বে আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীকে রাখা হয়। সেখানে আগের কমিটির সালাহ উদ্দিন নানুপুরী ও মিজানুর রহমান চৌধুরীকে যুক্ত করে মোট পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়।
আহ্বায়ক কমিটি ‘অতি দ্রুত’ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করবে বলেও সেদিনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
তবে তা আর হয়নি। এ ঘটনার পর হেফাজতের শীর্ষ পর্যায়ের অর্ধ শতাধিক নেতা গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তাদের প্রায় সবাই কারাগারে রয়েছেন। এরপর কয়েক দফায় হেফাজত মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সেসব সাক্ষাতের পর সরকারের সঙ্গে হেফাজতের সমঝোতা চেষ্টাসহ নানান ধরনের খবর প্রচারিত হয়। যদিও কোনো পক্ষ থেকেই এসব নিয়ে কোনো কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলো। এবারের কমিটিতে ফিরলেন শাহ আহমদ শফীর ছেলে।
হেফাজতের কমিটির ২ নেতাকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষোভ
হেফাজতে ইসলামের ৩৩ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংগঠনটির চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় সমালোচিত নেতা মাওলানা সাজিদুর রহমান ও মুফতি মুবারক উল্লাহ। জেলা কমিটি থেকে এখন তারা সরাসরি কেন্দ্রীয় কমিটিতে। এর মধ্যে সাজিদুর যুগ্ম মহাসচিব এবং মুফতি মুবারক এখন সদস্য।
ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠন অনেকদিন ধরেই তাণ্ডবের ঘটনায় এই দুই নেতার গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসছিল। এই দাবিতে গত ২ জুন ‘সর্বস্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী’ নামের সংগঠনটি প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছে। এর মধ্যে এমন ঘোষণা আসায় ক্ষুব্ধ এসব সংগঠনের নেতারা।
জেলার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে মানববন্ধন করেন। সেখানে তাণ্ডবের ইন্ধনদাতা হিসেবে সাজিদুর ও মুফতি মোবারক উল্লাহসহ শীর্ষ হেফাজত নেতাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান আহবায়ক আবদুন নুর।
আপিল বিভাগের বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ সুপারের ভূমিকাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের দাবিও জানান তিনি।
হেফাজতের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে এই দুই নেতার নাম থাকার খবর পেয়ে আবদুন নুর বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার মূল হোতা সাজিদুর রহমান ও মোবারক উল্লাহ। সেখানে তারা আজও রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার হচ্ছে না। তারা এখন গা-ঢাকা দিয়ে আছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ তারা (হেফাজত) সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নতুন করে কমিটি করেছে। তাদের এই নতুন কমিটি করা মানে আমরা বুঝি আগামিতেও তারা এমন ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে পিছপা হবে না। তাই সরকারকে উচিৎ এখনই তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করা।’
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৫৩১
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ