করোনাকালে প্রকৃতির কদর বেড়েছে অনেকাংশেই। তবে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে যুগ যুগ ধরে। প্রতিবছর ৫ জুন পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। পরিবেশ রক্ষার সচেতনতা এবং নতুন পদক্ষেপকে উৎসাহিত করতে জাতিসংঘ যথাযথ গুরুত্ব সহকারে পরিবেশ দিবস পালন করে।
‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৫ জুন শনিবার বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে এ দিবস। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে পৃথিবীর ৪০ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিজ্ঞানের মতে পরিবেশ বিপর্যয় থেকে বাঁচার জন্য আগামী ১০ বছর পৃথিবীর মানুষের জন্য শেষ সুযোগ। পরিবেশ দূষণ ও বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর এখনই সঠিক সময়।
জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, বর্তমান বিশ্ব তিনটি বড় ধরনের পরিবেশগত সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এগুলো হলো- জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্রমবর্ধমান পরিবশে দূষণ। বর্তমান বিশ্ব দিন-দিন এই মহাবিপদ থেকে না ফেরার দিকেই এগিয়ে চলেছে।
গুতেরেস বলেন, আমরা বহু বছর ধরেই পৃথিবীর বন উজাড়, নদী ও সাগর দূষণ এবং ফসলী জমি নষ্ট করে চলেছি। আমরা প্রতিদিনই পৃথিবীর ইকোসিস্টেম নষ্ট করে যাচ্ছি। আর এর ফলে, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য, পানি এবং অন্যান্য সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে পৃথিবী এখনও শান্ত আছে। কিন্তু পৃথিবীর আমাদের সাহায্য প্রয়োজন। বিশ্ব পরিবেশ ও প্রতিবেশের যে ক্ষতি আমরা করেছি, তা শুধরে নেবার সুযোগ এখনও আমাদের হাতে আছে।’
তিনি বলেন, ‘চলুন, আজ থেকে আমরা একটি নতুন দশক শুরু করি। আর এই সময়ে আমরা পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনবো এবং সকলের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে চেষ্টা করবো।’
প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকারে বিশ্ব পরিবেশ দিবস
আজ ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশে দিবসটি জাতীয়ভাবে পালন করা হয় ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান’ নামে। বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ এবং স্লোগান রাখা হয়েছে ‘প্রকৃতি সংরক্ষণ করি, প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করি’। অন্যদিকে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২১ সালের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি’।
বাংলাদেশ সরকারসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো দিবসটি সারা বিশ্বের মতো যথাযথ মর্যাদায় পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। দিনটিতে তারা বৃক্ষরোপণ, র্যালি, আলোচনা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। পরিবেশ দূষণমুক্ত থাকলে আগামী প্রজন্ম সুস্থভাবে বাঁচতে পারবে- এমনটাই প্রত্যাশা করছেন পরিবেশবিদরা। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে করোনাভাইরাসের এই মহামারীর মধ্যে সবুজ পৃথিবী গড়ার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে মানবজাতি ও অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রকৃতি যেন কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সারাবিশ্ব একসঙ্গে ‘লকডাউন’ হওয়ায় পরিবেশ দূষণ কমেছে, পৃথিবী একটি গাঢ় সবুজ গ্রহে পরিণত হয়েছে।’
দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, মানব সভ্যতার অস্তিত্ব রক্ষায় প্রতিবেশ-সংরক্ষণ এবং অবক্ষয়িত পরিবেশ পুনরুদ্ধারের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিবেশ-ধ্বংসকারী কার্যক্রম যেমন বন-জঙ্গল ধ্বংস করা, বন্যপ্রাণী নিধন এবং বায়ুদূষণসহ অন্যান্য দূষণ বৃদ্ধির প্রভাবে জলবায়ু-পরিবর্তনের ফলে আজ মানবজাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, ‘সরকার জীববৈচিত্র্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশগুলোকে সংরক্ষিত এলাকা ও প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণাপূর্বক সেগুলোর প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সবক্ষেত্রে যাতে পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নকে বিবেচনায় নেওয়া হয়, সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান-স্থাপনে প্রতিবেশ ও পরিবেশসম্মত বিধিব্যবস্থা-প্রতিপালনের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৃষি, শিল্পসহ সবক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।’
পরিবেশ দিবসের ইতিহাস
সুইডেন সরকার ১৯৬৮ সালের ২০ মে জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির বিষয়বস্তু ছিল প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে তাদের গভীর উদ্বেগের কথা। সে বছরই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সাধারণ অধিবেশনের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরের বছর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং সমাধানের উপায় খুঁজতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সম্মতিতে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ১৯৭২ সালের ৫ থেকে ১৬ জুন জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনটি ইতিহাসের প্রথম পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের স্বীকৃতি পায়।
১৯৭৩ সালে সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ জুনকে জাতিসংঘ ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।
এদিকে বাংলাদেশে দিবসটি ১৯৭২ সাল থেকে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। পৃথিবীর ১০০টিরও বেশি দেশে দিবসটি পালন করা হয়।
পরিবেশ দিবস ২০২১ এর থিম
এ বছর পরিবেশ দিবসের থিম ‘বাস্ততন্ত্রের পুনরুদ্ধার করা’। এবার এই গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালনের জন্য এবার আয়োজক দেশ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। ২০২০ সালে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম ছিল ‘সেলিব্রিটি বায়োডাইভারসিটি’।
বর্তমান অন্ধকারময় পরিস্থিতিতে অতীতকে ফেরানো সম্ভব নয় ঠিকই। তবে আমরা গাছ লাগাতে পারি, আমাদের আশেপাশের শহরকে আরও সবুজ রাখতে পারি। সবাই উদ্বিগ্ন না হয়ে পরিবেশের সচেতনতার বিষয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠা উচিত বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা।
পরিবেশ দিবসের গুরুত্ব
বিশ্বের বুকে প্রকৃতির অবদান বোঝাতেই এই দিন পালন করা হয়। ইউনাইটেড নেশনস বা রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্যোগে প্রকৃতির অবদান সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে শুরু হয় এই উদযাপন। প্রকৃতিকে রক্ষা করতে পরিবেশবিদ ও বিভিন্ন সম্প্রদায়কে সচেতন করার চেষ্টা চালানো হয় এই নির্দিষ্ট দিনে।
প্রকৃতি কীভাবে আমাদের রক্ষা করছে তা বিশ্ববাসীকে বোঝানো হয় এই পরিবেশ দিবসে। পরিবর্তে প্রকৃতিকে রক্ষা করাও যে আমাদের কর্তব্য, সেই সম্পর্কে সচেতন করা হয় জনসাধারণকে। এই নির্দিষ্ট দিনে সরকারের পক্ষ থেকেও চলে পরিবেশ নিয়ে জনসচেতনার উদ্যোগ।
দূষণ বাড়ছে সুন্দরবনের
মানুষের ‘নিয়ন্ত্রণহীন আচরণে’ সুন্দরবনের দূষণ দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে এর রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান পরিবেশ সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে সামনে রেখে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বনের দূষণে উদ্বেগ ফুটে ওঠে পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের কণ্ঠে।
গবেষকরা বলছেন, বন সংলগ্ন এলাকায় শিল্প কারখানা স্থাপন, বনের মধ্য দিয়ে ভারী নৌযান চলাচল, পাচারের উদ্দেশ্যে বনের মধ্য বন্যপ্রাণী হত্যা, বিষ দিয়ে মাছ শিকার এবং নিয়ন্ত্রণহীন পর্যটনের কারণে ঘটছে দূষণ। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বনের গাছপালা, অন্য বন ও জলজ প্রাণীর ওপর।
এছাড়া ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের প্রভাব, সুন্দরী ও গেওয়াগাছের আগামরা রোগও সুন্দরবনের ক্ষতির কারণ।
সুন্দরবন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও উজান থেকে মিষ্টি পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় বনের পানি ও মাটিতে লবণাক্ততা বেড়েছে। বেড়েছে নদীভাঙন ও পলি পড়ার হার। তার ওপর মানুষের অবিবেচকসুলভ কর্মকাণ্ডে সুন্দরবনে দূষণ আরও বেড়েছে।
সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে সরকার প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করলেও সেই এলাকার মধ্যে অর্ধশতাধিক ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের এক গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে ওই ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ২০১০ সালে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পশুর নদের প্রতি লিটার পানিতে তেলের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম। আর এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮-তে। অথচ এর স্বাভাবিক মাত্রা ১০ মিলিগ্রাম।
তিনি বলেন, পানিতে তেলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জলজ প্রাণী। যেসব রুটে নৌযান চলাচল করে, ওই রুটগুলোর বনের পাশে এখন আর তেমন হরিণ, বানরসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী দেখা যায় না।
সুন্দরবন অ্যাকাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে দীর্ঘদিন ধরে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে কয়েকটি চক্র। এর ফলে বিভিন্ন মাছের পোনা, কাঁকড়া, সাপসহ জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। পাচারের উদ্দেশ্যে বনের মধ্য বিষ দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে বাঘ ও কুমির। এতে দূষণ বাড়ছে বনে।
তিনি বলেন, সুন্দরবনে পরিবেশগত ঝুঁকি বাড়ছে। বনে লোনা পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় বাঘ, হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর বসতি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক ধরনের উদ্ভিদও উচ্চ লবণাক্ততা সহ্য করতে না পেরে মারা যাচ্ছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সুন্দরবনের দূষণরোধে বনবিভাগকেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) খুলনার সমন্বয়কারী এম বাবুল হাওলাদার বলেন, দূষণের কারণে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। ইসিএ এলাকায় স্থাপিত শিল্প কারখানা ও বনের মধ্যদিয়ে জলযান চলার কারণে সুন্দরবনে দূষণ বেড়েছে।
সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে আগলে রেখেছে সুন্দরবন। দূষণের কারণে এ বনের জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে।
সুন্দরবনের উপ-প্রধান বনসংরক্ষক মঈনুদ্দিন খান বলেন, ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে দূষণ রোধে পর্যটকদের সচেতন করা হয় প্রতিনিয়ত। বনে অপরাধ দমনে বনবিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৭৫০
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ