চীনে একটি ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা চলার সময় অংশগ্রহণকারী কমপক্ষে ২১ জন অ্যাথলেটের মৃত্যু হয়েছে। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও ঝড়ো বাতাস ও শীতল বৃষ্টির কারণে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রোববার (২৩ মে) আলজাজিরা জানিয়েছে, চীনের বাইয়িন শহরের ইয়েলো নদীর স্টোন ফরেস্টের জিংতাই এলাকা থেকে স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ১০০ কিলোমিটারের দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
প্রতিযোগিতা শুরুর সময় থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। দৌড়বিদরা টি-শার্ট ও শর্টস পরে এতে অংশ নেন। দুপুরের দিকে পর্বতময় একটি অংশে হিমশীতল বৃষ্টি, শিলা ও প্রবল বাতাসের কবলে পড়েন প্রতিযোগীরা। এ সময় তাপমাত্রা দ্রুত নেমে যায়।
সিনহুয়া জানায়, ১২০০ উদ্ধারকর্মীকে নিয়ে ব্যাপক উদ্ধার প্রচেষ্টা শুরু করা হয়। তারা থার্মাল ইমেজিং ড্রোন, রাডার ডিটেক্টর ও চূর্ণ করার যন্ত্রাংশসহ অভিযানে নামে। রাতে তাপমাত্রা ফের কমে যায় এবং এলাকাটির প্রস্তরময় জটিল ভূমিরূপের কারণে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়ে। মোট ১৭২ জন লোক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন, এদের মধ্যে আহতরাসহ ১৫১ জন প্রতিযোগী নিরাপদ আছেন।
রোববার বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় আট জনকে সামান্য আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিখোঁজ শেষ ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়।
এদিকে কয়েক দফা ভূমিকম্প ও আফটার শকে কেঁপে উঠেছে চীনের ইউনান ও কিংহায় প্রদেশ। এতে অন্তত তিনজন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন। চীনের এ দুই প্রদেশই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল বলে পরিচিত।
রিখটার স্কেলে ৬.৪ মাত্রার প্রথম দফায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে ইউনানে, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১০টার কিছু আগে। এরপর সেখানে অন্তত দুটি আফটারশক অনুভূত হয়েছে। এতে সেখানে অন্তত তিনজন নিহত হন ও ২৮ জন আহত হন। চীনা গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে অন্তত ১৯২টি ঘর ভেঙে পড়েছে। পার্বত্য এই অঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এর কয়েকঘণ্টা পরই ইউনান থেকে ১২০০ কিলোমিটার দূরে কিংহায় প্রদেশ কেঁপে ওঠে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে। এতে অন্তত দুটি ব্রিজ ধসে পড়েছে ও একটি মহাসড়কের দুটি অংশ বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভূমিকম্পের কারণে ঘরের সিলিং ফ্যানগুলো দুলছে ও তাক থেকে ফুলদানি পড়ে যাচ্ছে। এছাড়া আতঙ্কিত মানুষজনকে ছোটাছুটিও করতে দেখা যায় ভিডিওতে।
চীনের প্রতিনিয়তই ভূমিকম্প আঘাত হানে, বিশেষ করে এর পার্বত্যঅঞ্চলে। ২০০৮ সালে সিচুয়ান প্রদেশে ৭.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে প্রায় ৮৭ হাজার ও মানুষ নিহত হয়।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৩৪৭
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ