বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি তার পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিতে রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।
গতকাল শনিবার (২২ মে) ভ্যাটিকানে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান পোপ ফ্রান্সিসের কাছে অনাবাসী রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার পরিচয়পত্র পেশ করার সময়ে তিনি এই প্রশংসা করেন। পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও অব্যাহত সহায়তা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ভ্যাটিকান সিটির অ্যাপোস্টলিক প্রাসাদে এক আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও ভ্যাটিকানে নবনিযুক্ত আরও ৮টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা পোপের কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
জেনেভা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরিচয়পত্র গ্রহণের পর পোপ নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় তিনি করোনা মহামারি মোকাবিলায় সব জাতিকে পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা, মানবতাবোধ ও ন্যায়-বিচারের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী সেবার সংস্কৃতি (কালচার অব কেয়ার) গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
পোপ শান্তিপূর্ণ, সহনশীল ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ গঠনে তার ব্যক্তিগত প্রয়াস ও সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। এছাড়া, তিনি অভিবাসন সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও জোরালো ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
এরপর পোপ ফ্রান্সিস প্রত্যেক রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত রহমান পোপকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের স্বীকৃতি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের অর্জনসমূহ ও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন এবং মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যথাযথ চাপ প্রয়োগের বিষয়ে পোপের সক্রিয় সহায়তা কামনা করেন।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৩১৩
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ