বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) জরুরি ভিত্তিতে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি সিনোফার্মের টিকা অনুমোদন করেছে। এটি পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরে প্রথম কোনও দেশের উদ্ভাবিত টিকা যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেল। এদিকে, চীনের উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। গত বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সিনোফার্মের টিকা ও এডি সিরিঞ্জ বহনকারী বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইট এস–৩এজিএফ কুর্মিটোলায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করে। যদিও ফ্লাইট দেশে পৌঁছানোর আগেই সেখান থেকে ৩০ হাজার ডোজ টিকা ফেরত চেয়েছে চীন।
কী হবে এই ৩০ হাজার ডোজ টিকা দিয়ে?
চীনের দে’য়া উপহারের ৫ লাখ ডোজ টিকা থেকে ৩০ হাজার ডোজ টিকা বাংলাদেশে অবস্থানরত দেশটির নাগরিকদের দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে গত ১১ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেককে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত।
অনুরোধের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে থাকা চীনা নাগরিকদের টিকা দেয়ার জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে বেছে নিয়েছে তারা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন চায় চীন।
চীন বলছে, যখন উপহারের টিকা ঢাকার কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) পৌঁছাবে, তখন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সেখান থেকে ৩০ হাজার ডোজ টিকা সংগ্রহ করবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, উপহারের বাকি ৪ লাখ ২৭ হাজার টিকা দুবার করে ২৮ দিনের মধ্যে সরকারকে বাংলাদেশের নাগরিকদের দিতে হবে।
পরের ধাপের টিকা উৎপাদনে যেতে একটু সময় লাগবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে।
টিকা সংগ্রহে তৎপর বাংলাদেশ
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চীনের দেয়া উপহারের ৫ লাখ ডোজ টিকা নিয়ে বিমানবাহিনীর সি-১৩০ কার্গো বিমানটি গত বুধবার (১২ মে) ভোরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বঙ্গবন্ধু বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে।
এরপর বেলা ১১টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকার চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টিকা হস্তান্তর করা হয়।
গত ২৯ এপ্রিল চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করা টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ। এর দুদিন আগে গত ২৭ এপ্রিল রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-৫ এর জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। সবকিছু ঠিক থাকলে মে মাসের মধ্যে প্রথম ধাপে রাশিয়া থেকে এ টিকার ৪০ লাখ ডোজ দেশে আসার কথা রয়েছে।
এরইমধ্যে টিকা পেতে ওয়াশিংটনকে কূটনৈতিক চিঠি দিয়েছে ঢাকা। সেই চিঠিতে অনুদান হিসেবে টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ। যদি অনুদান হিসেবে টিকা না দে’য়া হয় তবে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে টিকা কিনতে বাংলাদেশ রাজি আছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসডব্লিউ/এসএস/১৪২৩
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ