আজ রবিবার পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ফলাফলের উপর নজর থাকবে গোটা ভারতের। এমনকি বাংলাদেশেরও। কেননা পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভারতের রাজনীতির রুটম্যাপ বদলে দিতে পারে এই নির্বাচনের ফলাফল।
উল্লেখ্য, ২৭শে মার্চ থেকে ২৯শে এপ্রিল পর্যন্ত আট পর্বে ভোটগ্রহণ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। আর এমন সময় এই নির্বাচনের ফলাফল দে’য়া হচ্ছে যখন গতকালই ভারতে চার লাখের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবু তুমুল বিতর্কিত হলেও এই নির্বাচনের উত্তাপ দমাতে পারেনি করোনা ভাইরাস।
এখন অব্দি ফলাফল
সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে শেষ খবর পাওয়া অব্দি ২০৮টি আসনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তৃণমূল জিতেছে ১৩৫টি। বিজেপি ৬৯টিতে। করোনায় বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গে সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। পোস্টাল ব্যালট গণনা প্রায় শেষ। ইভিএমেও এক ধাপ গণনা শেষ হয়েছে। পোস্টাল ব্যালটের ফলাফল তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে আছে।
সাধারণত পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেন রাজ্যটির সরকারি কর্মচারীরা। তবে এ বছর দেশটির একটা বড় অংশের প্রবীণ নাগরিকেরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন। পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে নিজেদের পুরনো আধিপত্য বজায় রাখতে পারেনি বামপন্থিরা।
প্রথম রাউন্ডের গণনায় তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে থাকলেও তাদের ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। ধারণা করা হচ্ছে, তৃণমূল বা বিজেপি যে দলই সরকার গঠন করুন না কেন, তাদের বিরোধীরা কিন্তু সরকার পক্ষ থেকে সংখ্যার হিসেবে খুব একটা দূরে থাকবেন না।
আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত প্রাপ্ত প্রাথমিক ফলাফলে জানা যায়, তৃণমূল কংগ্রেস ১১৬টি ও বিজেপি ১১০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
শক্তিশালী বিরোধী দল
ফলাফল যাই হোক দীর্ঘদিন পর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতে একটা শক্ত বিরোধী শক্তি দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে এবার।বস্তুত ১৯৭২ সাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতে জোরালো বিরোধী শক্তি বলে কিছু ছিল না। গণতন্ত্রে শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতে এই শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকার মাশুল নানাভাবে মানুষকে দিতে হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, বিজেপি ও তৃণমূল যে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি প্রচারপর্বে চালিয়েছিল, তার সুফল এই দুটি দলই সম্ভবত ঘরে তুলতে পারবে।
নন্দীগ্রামে চ্যালেঞ্জের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
১৪ বছর আগে নন্দীগ্রামে কৃষি জমি অধিগ্রহণ করে শিল্প কারখানা তৈরির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পথ করে নিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার এই আসনের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন তারই এক সময়কার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্র শুভেন্দু অধিকারী, যিনি দল বদলে লড়ছেন বিজেপির প্রার্থী হিসাবে।
ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী ভোট পেয়েছেন ৫২ শতাংশের বেশি, ৭২৮৭ ভোট, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৫৭৯০ ভোট, যা ৪১ শতাংশের কিছু বেশি।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১১৪২
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ