জাল মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে চাকরি করার অভিযোগে রংপুরে সাবেক ছয় পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্তরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক দেলোয়ার হোসেন জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাঁরা হলেন রংপুর সদরের ঝারুয়াবান্ধা গ্রামের আশিকুর রহমানের ছেলে মাহাবুব আলম, ঘারুয়াপাড়া এলাকার আজাহারুল ইসলামের ছেলে শফিউজ্জামান, বালুয়াপাড়া এলাকার মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে মাহাবুব আলম, পীরগঞ্জের প্রথমডাঙ্গা এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে নুরনবী মিয়া, রংপুর নগরীর মহেশপুর হাজিপাড়া এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও নীলফামারীর সৈয়দপুরের নেকিরহাট এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার হোসেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ওই ছয় ব্যক্তি নিজেদের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি নেয়। পরবর্তী সময়ে তাঁদের জমা দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ তদন্ত করে দেখা যায় সেগুলো জাল। এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দেওয়ার পর রংপুর পুলিশ লাইনসের রিজার্ভ ইন্সপেক্টর বাদী হয়ে ২০১৯ সালে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানায় ছয়জনের নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ এনে দুটি মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ওই সময় তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়। মামলার পর দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তরা পলাতক ছিলেন। আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার জাল সনদে চাকরি করা ওই ছয়জন রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর নাজমুল কাদের জানান, রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাল সনদে চাকরি করায় দুই মামলায় ছয় আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আপনার মতামত জানানঃ