স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রবিবার, ১৫ ফাল্গুন ১৪২৭ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ।
পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবিতে রিট
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
পুলিশসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তার তদন্ত করতে ‘স্বাধীন পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ‘শতাধিক’ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির রোববার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন। পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাই কোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে।”
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক, অবসরপ্রাপ্ত সচিব, আইনের শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের অন্তর্বর্তী আদেশ চাওয়া হয়েছে ওই রিট আবেদনে।
রাজধানীতে পুলিশ-ছাত্রদল ব্যাপক সংঘর্ষ, টিয়ারশেল-গুলি, আহত ৩৫
কালের কন্ঠ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পুলিশ ও সাংবাদিকও রয়েছেন।
আজ রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে টিয়ারশেলও নিক্ষেপ করে পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এতে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা পেয়ে নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢুকে পড়েন। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে তাঁরা একটি মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় আসেন। এসময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পালটাধাওয়া চলতে থাকে। এসময় ছাত্রদলের কর্মীরা পুলিশকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং পুলিশও তাদেরকে লাঠিচার্জ করে। এই কমিটি করতে হবে এমনভাবে, যাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করে তারা সরাসরি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারে।
এবার মোটরসাইকেলসহ পুলিশ সদস্যকে ধরল জনতা
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
মোটরসাইকেলের কাগজ না থাকলে মামলা দেয়া অথবা মোটরসাইকেল আটকে রাখা পুলিশের কাজ। কিন্তু এবার ঢাকার ধামরাইয়ে ঘটেছে উল্টো ঘটনা। চোরাই মোটরসাইকেলসহ জনতার হাতে আটক হয়েছেন মাসুদ রানা নামে এক পুলিশ কনস্টেবল। শনিবার বেলা ১১টার দিকে চোরাই মোটরসাইকেল চালিয়ে আমতলা বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাওয়ার সময় তাকে জনতা আটক করেন। মাসুদ রানা সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার চুয়ালী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মিরপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত রয়েছেন।
রায়পুরে সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দিলেন না ম্যাজিস্ট্রেট
কালের কন্ঠ
বিভাগ: গণমাধ্যম
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের দেয়া পর্যবেক্ষক কার্ড থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিকদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আজ রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কেরোয়া সিরাজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। শহিদুল ইসলাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার।
ঘটনার সময় ভোট পরিদর্শনের জন্য সাংবাদিকরা ওই ভোটকেন্দ্রে যান। এসময় ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। পরে সাংবাদিকরা ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে অনুমতি নিতে যান। এসময় তিনি সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষক কার্ড যাচাই করেন।
‘সরি’ বলে সাংবাদিকদের থামালেন অনন্ত জলিল
কালের কন্ঠ
বিভাগ: গণমাধ্যম
আসন্ন দুটি চলচ্চিত্রের কুশীলবদের নিয়ে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ করে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। আর সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকে। এতে চটে গিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে চাইলে অনন্ত জলিল নিজে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট দুঃখ প্রকাশ করে ‘সরি’ বলেন, এরপরে সাংবাদিকরা শান্ত হলেও কিছু সাংবাদিক অনুষ্ঠানে অংশ না নিয়ে চলে যান।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের আসন্ন দু’টি চলচ্চিত্রের পরিচয় পর্বের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়- ছবি দুটি সম্পর্কে সাম্যক ধারণা ও অভিনয় শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। আমন্ত্রণপত্র না নিয়ে আসায় একজন গণমাধ্যমর সঙ্গে দায়িত্বরত এক কর্মী বাজে ব্যবহার করে ও ‘দেখে নেওয়া’র বাক্য ব্যবহার করেন। এতে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিলে অনন্ত জলিল নিজেই ছুটে আসেন। ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকর্মীদের ‘সরি’ বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কেন, বললেন প্রধানমন্ত্রী
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল জগতে বাংলাদেশে সবাইকে সুরক্ষিত রাখতেই এই আইন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার খবর দিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন গড়েছি, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়াও আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্বটাও আমাদের পালন করতে হবে।
যেন শিশু থেকে শুরু করে যুবক থেকে শুরু করে কেউ যেন বিপথে যেতে না পারে বা কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ অথবা কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত হতে না পারে। এমন কোনো কাজ যেন না করে যেটা দেশের জন্য ক্ষতি হয়, দেশের মানুষের জন্য ক্ষতি হয়। সেজন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া একান্তভাবে অপরিহার্য। এই আইনের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, সমালোচনা যারা করেছে, তারা করবেই। কারা সব থেকে বেশি সমালোচনা করছে? তারা কি বাস্তব কথাটা একবার উপলব্ধি করছে? তারা তো তা করছে না।
কারাবন্দির ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এখন মৃত্যুরও কারণ
দ্যা ডেইলি স্টার
বিভাগ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
লেখক, সচেতন নাগরিক, মধ্যপন্থী বিরোধী কণ্ঠস্বর এবং চলমান ঘটনার পর্যবেক্ষক ও সমালোচক মুশতাক আহমেদ এখন মৃত। ময়না তদন্তের পরে তার মৃত্যুর কারণ বিষয়ে ধারণা পেয়েছি। কিন্তু, মৃত্যুর আসল কারণ আমরা ইতোমধ্যেই জানি- একটি নিষ্ঠুর ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে যে কাউকে তুলে নেওয়া যায়, কারাবন্দি করা যায়, অস্পষ্ট ‘অপরাধে’র অগণিত অভিযোগ আনা যায় এবং মাসের পর মাস বিনা বিচারে, জামিন না দিয়ে, কোনো কারণ ব্যাখ্যা না করেই কারাগারে আটকে রাখা যায়। আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা আছে যার কারণে ব্যক্তি স্বাধীনতা এখন ক্ষমতাসীনদের খেলার পুতুলে পরিনত হয়েছে। এসব ঘটনার যেন প্রতিকার নেই।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অমানবিক ব্যবহার, কোনো কারণ না দেখিয়েই প্রায় ১০ মাস কারাবন্দি করে রাখা, ছয় বার জামিন আবেদন বাতিল করা, আইনের অন্ধকার গোলকধাঁধায় ঘুরানো এবং অন্যায়ভাবে লেখক ও ভাষ্যকার মুশতাক আহমেদের জীবনকে অন্ধকারের অতল গহ্বরে ঠেলে দেওয়া ছাড়া এটা আর কিছুই না। বাস্তবতা এতটাই নিষ্ঠুর এবং যুক্তির বাইরে যে বেঁচে থাকাই যেন অর্থহীন।
ভয় দেখানোর যন্ত্র ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
প্রথম আলো
বিভাগ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
দেশে একটি ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। ভয় দেখানোর যন্ত্র হিসেবে এই আইন ব্যবহৃত হচ্ছে। এখন কেউ কিছু লিখতে বা বলতে গেলে আগে মুশতাক আহমেদের পরিণতির কথা স্মরণ করবে। সাংবাদিকতা, মুক্তমত চর্চা ও কথা বলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা এই আইন। পথ একটাই—এই আইন বাতিল করতে হবে। শনিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) অনলাইনে ওই আলোচনার সভার আয়োজন করে। এই আইনে করা একটি মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু হয়।
Hasina explains why Bangladesh needs Digital Security Act
bdnews24.com
Category : Digital Security Act
Defending the Digital Security Act, Prime Minister Sheikh Hasina has said that the law is necessary to protect everyone in the digital space. Hasina responded to a journalist’s query on the criticism of the law at a press conference on Saturday amid protests over the death of writer Mushtaq Ahmed in jail after his arrest under the same law.
The prime minister held the press conference to speak about Bangladesh receiving the United Nations’ final recommendation for graduation from a least developed country to a developing one.
“We’ve built a Digital Bangladesh, and now it is our duty to provide the people with digital security,” she said.“It’s our duty to prevent the youth from taking a wrong path or getting involved in militancy and terrorism; we must make sure that they do not do anything harmful to the country and the people.”
Digital Security Act: court rejects petition to take Kishore in remand
The Daily Star
Category: Digital Security Act
A Dhaka court today rejected a petition submitted to take cartoonist Ahmed Kabir Kishore in remand, in connection with a case filed under Digital Security Act. The court of Metropolitan Magistrate Mohammad Jashim passed the order after Barrister Jyotirmoy Barua submitted a petition seeking cancellation of the remand prayer around 1:15pm today.
The lawyer also submitted another application before the court, informing that Kishore was “tortured inhumanely” after his arrest on May 6 last year. Due to torture, Kishore sustained injuries in his ears and left leg and he cannot walk properly, Barrister Jyotirmoy said. He said that steps should be taken against those responsible for the torture.
Repeal of Digital Security Act demanded
New Age
Category : Digital Security Act
Rights activists and academics at a webinar on Saturday urged the government to repeal the controversial and draconian Digital Security Act, 2018. The law is unconstitutional as it denies people their constitutional right to the freedom of expression, said the speakers at the event, organised by Centre for Governance Studies. Fisheries and livestock minister SM Rezaul Karim, however, said that the 2018 law was needed to control crimes in ‘Digital Bangladesh’ as motives and character of crimes were changing over the time.‘I will not say that there is no fault in the Digital Security Act. None of the laws is out of any controversy. If needed, the act may be amended,’ he said. He said that the death of writer Mushtaq Ahmed was unexpected and the government should punish those who were responsible for his death.
আপনার মতামত জানানঃ