স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার, ৩০ মাঘ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ।
পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির সমাবেশ পণ্ড
প্রথম আলো
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বিভাগ
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিপেটা ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। লাঠিপেটার পর সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হয়।
আজ শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির পূর্বঘোষিত এই বিক্ষোভের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেনের বক্তব্য চলার সময় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সে সময় পুলিশের সঙ্গে কয়েকজন নেতা-কর্মীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পুলিশের সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া দেন। ধাওয়া খেয়ে বিএনপির একদল নেতা-কর্মী প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকে পড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশের লাঠিপেটায় এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন।
রমনা জোনের ডিসি হারুনুর রশীদ সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি বিনা উসকানিতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে বিএনপির বিক্ষোভ শুরু হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই জলকামান ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক শ নেতা-কর্মী সমাবেশে অংশ নেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মামুনুল হককে নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে পুলিশ ও আয়োজকরা
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে সুনামগঞ্জে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও ইসলামি সম্মেলনের আয়োজকরা।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জের ছাতকে মামুনুল হকের আগমনকে কেন্দ্র করে উপজেলায় ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। আয়োজকরা বলছেন, সব ধরনের বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে ইসলামি মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। তাকে সুরক্ষা দিতে প্রস্তুত রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল। তবে পুলিশ বলছে, বিতর্কিত মাওলানা মামুনুল হককে ঘিরে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার উপজেলার জামিয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া দারুল কোরআন মৈশাপুর মাদ্রাসার ৪৩তম বার্ষিক ইসলামি মহাসম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য পোস্টার-ব্যানার টাঙিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মৈশাপুর গ্রামে আয়োজকদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে সার্বিক বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন।
বিশ্ব বেতার দিবস আজ
দেশের গণমাধ্যম পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে
যুগান্তর
বিভাগ: গণমাধ্যম
আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই দেশে গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।
গতকাল ‘বিশ্ব বেতার দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বেতারের শিল্পী, শ্রোতা, সম্প্রচারকর্মী ও কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নতুন বিশ্ব, নূতন বেতার’ সময়োপযোগী হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই দেশে গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই দেশে প্রথম বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দিই। ২০০৯ সাল থেকে গণমাধ্যম, তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে। বেসরকারি খাতে অনেকগুলো টেলিভিশন, এফএম রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও চ্যানেল অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণের ফলে টেলিভিশন সম্প্রচারে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।’
আপনার মতামত জানানঃ