আট মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি যেন এক দীর্ঘ বৈঠকখানায় আটকে ছিল। সংবিধান সংস্কার, জুলাই জাতীয় সনদ, গণভোট আর আসন্ন নির্বাচন—সব প্রশ্নই ঘুরেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের গোল টেবিল ঘিরে। টানা বৈঠক, খসড়া, সংশোধন, ‘নোট অব ডিসেন্ট’—সব মিলিয়ে একটা ধারণা জন্মেছিল, অন্তত এই পর্বটা হয়তো তুলনামূলক শান্তিপূর্ণই কাটবে। কিন্তু নভেম্বর শুরু হতেই আবার সব হিসাব বদলে যাচ্ছে। দলগুলো আলোচনা ছেড়ে রাস্তার দিকে ফিরছে, ব্যস্ত হয়ে উঠছে সমাবেশ–শোভাযাত্রায়, কর্মসূচির পাল্টা-কর্মসূচিতে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে—এই নভেম্বর কি শুধু রাজনৈতিক প্রস্তুতির মাস, নাকি উত্তপ্ত এক সময়ের পূর্বাভাস?
এর পেছনে মূল প্রেক্ষাপট জুলাই জাতীয় সনদ। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর যে সনদকে নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা বলা হচ্ছে, সেই সনদ তৈরিতেই ঐকমত্য কমিশন ব্যস্ত ছিল প্রায় সাড়ে আট মাস। বিভিন্ন দলের সঙ্গে ৩০টি বৈঠক, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ, ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব—সব মিলিয়ে জুলাই সনদ এখন আর শুধু একটি রাজনৈতিক নথি নয়, বরং পরবর্তী রাষ্ট্র কাঠামোর ভিত্তি নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী সব পক্ষের টানাপোড়েনের কেন্দ্রবিন্দু। বেশির ভাগ দল সনদে সই করলেও, কীভাবে তা বাস্তবায়িত হবে—অধ্যাদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ নাকি ভবিষ্যৎ সংসদের মাধ্যমে—এই বিতর্ক শেষ পর্যন্ত টেবিলের ভেতরে আটকে রাখা যায়নি। সরকারও ৩ নভেম্বর স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধানে না এলে, শুধু কমিশন বা সরকারের পক্ষে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হবে। সেই অচলাবস্থার আবহেই এখন সবাই আবার ফিরছে রাজপথের ভাষায়।
এই মুহূর্তে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় বড় তিন শক্তি—বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী–নেতৃত্বাধীন ইসলামি জোট ও অভ্যুত্থানের ভরকেন্দ্র থেকে আসা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর বাইরে অঘোষিত আরেক শক্তি কার্যক্রম–নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ; অনলাইনে বার্তা ছড়িয়ে ১৩ নভেম্বর ঢাকাকে ‘লকডাউন’ করার ঘোষণা দিয়ে তারা জানিয়ে দিয়েছে, পুরোপুরি আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাওয়ার ইচ্ছে তাদের নেই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায়ের দিনটিকে ঘিরেই তাদের এই কর্মসূচি। ফলে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে অন্তত তিনটি ধারাবাহিক কর্মসূচি—৭ নভেম্বর বিএনপি, ১১ নভেম্বর জামায়াত–নেতৃত্বাধীন আট দল, ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগ—রাজধানীর রাজনীতিকে এক ধরনের ‘হাই অ্যালার্ট’ অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে।
বিএনপির ক্ষেত্রে এই নভেম্বরে ফের রাজপথে ফেরা কিছুটা প্রত্যাবর্তনের গল্পও বটে। গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দলটির সামনে ছিল দুই ধরনের চাপ—একদিকে সংস্কার–প্রক্রিয়ায় নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার রাখা, অন্যদিকে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সাংগঠনিক প্রস্তুতি নেওয়া। জুলাই সনদে বিএনপির অবস্থান ছিল কৌতূহলোদ্দীপক—তারা সনদের অনেক নীতিগত অংশের পক্ষে থাকলেও, সেটি সংবিধানের তফসিল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রশ্নে ছিল আপত্তি। আবার গণভোটের ব্যাপারে তারা স্পষ্ট করেছে, নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হলে তবেই জনগণের আসল মতামত প্রতিফলিত হবে। এরই মধ্যে ৩ নভেম্বর ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টিতে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দলটি জানিয়ে দিয়েছে, তাদের আগ্রহ সংলাপের টেবিলে যতটা, তার চেয়েও বেশি নির্বাচনী মাঠে।
৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপির শোভাযাত্রার চিত্রে তাই দেখা গেছে ঐতিহাসিক স্মৃতিচর্চার চেয়ে অনেক বেশি নির্বাচনী আমেজ। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার, ধানের শীষের প্ল্যাকার্ড—সব মিলিয়ে আকারে এটি একটি স্মরণসভা হলেও, অন্তর্গত বার্তা ছিল ভোটের মাঠে ফেরার ঘোষণা। বিএনপি নেতৃত্বে এখন হিসাব এমন—সংস্কার প্রশ্নে সরকার–সমর্থিত প্রক্রিয়া যত জটিল হবে, তত বেশি জরুরি হবে রাজপথে নিজেদের জনসমর্থন দৃশ্যমান করা। কারণ, মাঠে শক্ত অবস্থান ছাড়া গণভোটের তারিখ, প্রশ্ন কিংবা নির্বাচন–সময়ের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে সরকারকে চাপে রাখা কঠিন হবে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের সঙ্গে থাকা ইসলামি দলগুলোর লক্ষ্য খানিকটা আলাদা। তারা জুলাই সনদের অনেক ধারাকে নিজেদের পক্ষে সুবিধাজনক মনে করলেও, প্রধান জোর দিচ্ছে গণভোটকে নির্বাচনের আগে করানোর দাবিতে, সঙ্গে উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালুর প্রশ্নে। এ জন্যই ১১ নভেম্বর ঢাকায় বড় সমাবেশ ডেকে জামায়াতসহ আটটি ইসলামি দল নিজেদের প্রদর্শন করতে চাইছে ‘এক বাক্সে ইসলামি ভোট’ সংগঠনের সক্ষমতা। তাদের হিসাব—সংস্কার প্রশ্নে যদি তারা আগে জনমতকে রাস্তায় নামাতে পারে, তাহলে সরকারকে শুধু কমিশনের সুপারিশের ওপর নয়, রাস্তার চাপের মুখেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন, ইসলামি দলগুলোর ছ散 ভোটকে এক শক্তিরূপে পরিণত করার চেষ্টা চলবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে।
কিন্তু বিরোধী শিবিরের ভেতরেই এখন তৈরি হচ্ছে নতুন টানাপোড়েন। একসময় আওয়ামী লীগ–বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি–জামায়াতকে একই প্ল্যাটফর্মে দেখায় অভ্যস্ত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এখন দেখছেন, দুই দলের নেতৃত্বের ভাষায় ক্রমেই বাড়ছে পরস্পরের প্রতি সন্দেহ আর ঠাট্টা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গতকালের সংলাপে যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন—“আপনি কথায় কথায় রাস্তায় যাবেন, অন্য দল প্রতিবাদে রাস্তায় গেলে সংঘর্ষ হবে”—তাতে শুধু সরকারের সম্ভাব্য দমননীতির আশঙ্কা নেই, আছে পরোক্ষভাবে অন্য বিরোধী শক্তির কর্মসূচির প্রতিও অস্বস্তি। অন্যদিকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ অভিযোগ তুলেছেন, বিএনপি নাকি এখন আগের রেজিমের মতোই আচরণ করছে—কথায় কথায় বলছে, “অমুকের সঙ্গে বসব না”। অর্থাৎ, আওয়ামী লীগের পতনের পর বিরোধী শিবিরে যে ঐক্যের ছবি আঁকা হয়েছিল, বাস্তবে সেখানে বেশ বড় ফাটলের রেখা দেখা যাচ্ছে।
এই ফাটল আওয়ামী লীগের জন্য রাজনৈতিক সুযোগ তৈরি করতে পারে—এ কথা বিশ্লেষকেরা নির্দ্বিধায় বলছেন। নিষিদ্ধ হওয়ার পরও দলটি যখন অনলাইনে ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে, তখন অনেকে এটিকে নিছক উগ্র সমর্থকদের আবেগ মনে করতে চেয়েছেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরকার আলোচনায় স্পষ্ট, তারা ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কারণ, শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সম্ভাব্য রায়কে ঘিরে আবেগ, ক্ষোভ ও রাজনৈতিক হিসাব অনেক জায়গায় একসূত্রে গাঁথা হতে পারে। বিএনপি–জামায়াত মাঠে থাকলে, তাদের কোনো অংশ যদি একই দিনে নিজেদের অবস্থান দেখাতে চায়, কিংবা উল্টোভাবে আওয়ামী লীগের সমাবেশ প্রতিহত করতে নামে, তাহলে রাজপথে তিনমুখী সংঘর্ষের ঝুঁকি উড়িয়ে দেওয়ার উপায় থাকে না।
এই সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রশ্ন। দলগুলো প্রায় সর্বসম্মতভাবে মেনে নিয়েছে, সনদের অনেক অংশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও সুপারিশ করেছে, নির্বাচন আগে বা নির্বাচনের দিন—দুই সময়ের যেকোনো একটিতে গণভোটের আয়োজন করা যেতে পারে। কিন্তু ঠিক এই এখানেই দ্বন্দ্ব—জামায়াত ও ইসলামি জোট চাইছে নির্বাচন আগে গণভোট হোক, যাতে তারা সংস্কার প্রশ্নে নিজেদের প্রভাব দেখাতে পারে; বিএনপি চাইছে একই দিনে হোক, যেন ভোটের দিনেই ‘দ্বৈত বৈধতা’ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এনসিপি আবার পুরো আলোচনাটাকে দেখছে আরও দূর থেকে—তারা সুনিশ্চিত বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা ছাড়া সনদে সই করতে রাজি নয়, যাতে জুলাই ঘোষণার মতো আরেকটি কাগুজে প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পড়তে না হয়।
নভেম্বরের রাজপথ তাই কেবল নির্বাচনী প্রস্তুতির জায়গা নয়, বরং বিভিন্ন দলের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কার–দৃষ্টিভঙ্গির জনসমক্ষে প্রদর্শনের মঞ্চও হয়ে উঠছে। প্রতিটি দলই চাইবে, নিজেদের অবস্থানকে ‘জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন’ হিসেবে দেখাতে। ফলে বড় সমাবেশ, শোভাযাত্রা, লংমার্চ ইত্যাদির সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি বাড়বে ভাষণের তীব্রতাও। সহিংসতার ঝুঁকি অস্বীকার না করেও বলা যায়, এক অর্থে এটি নতুন ধরনের প্রতিযোগিতা—কে বেশি জনসমর্থন দেখাতে পারে, কে বেশি চাপ সৃষ্টি করতে পারে, কে সরকারকে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় ফেলতে পারে।
এরই মধ্যে ব্যবসায়ী মহল, নাগরিক সমাজ ও মানবাধিকার কর্মীদের আরেক ধরনের উদ্বেগও স্পষ্ট হয়েছে। একদিকে সবাই বুঝতে পারছেন, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে রাজপথের ভূমিকা অস্বীকার করার সুযোগ নেই; সামনে গুরুত্বপূর্ণ সংবিধান–সংস্কার ও রাষ্ট্র কাঠামো নিয়ে সিদ্ধান্ত—এগুলো নিয়ে উত্তেজনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অন্যদিকে ২০২৪–২৫ সালের সহিংস অভিজ্ঞতা, গুলিতে মৃত্যু, হেফাজতে নির্যাতন, গুম–বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে যে বিভীষিকাময় স্মৃতি তৈরি হয়েছে, তা এখনো খুব টাটকা। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যতই “রুলস অব এনগেজমেন্ট অনুযায়ী” বল প্রয়োগের কথা বলুক, সাধারণ মানুষের মনে আশঙ্কা থেকেই যায়—রাজনীতি যখন উত্তপ্ত হয়, তখন প্রথম আঘাতটা এসে পড়ে তাদের উপরেই।
তবে রাজনৈতিক দলগুলোও এই ঝুঁকি সম্পর্কে অজ্ঞ নয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী কাঠামো এখন বড় নজরদারির আওতায়; গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও মানবাধিকার ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্ব, আঞ্চলিক শক্তি—সবাই হিসাব কষছে। এমন বাস্তবতায় যদি নভেম্বরের রাজপথ আবার রক্তাক্ত হয়ে ওঠে, তাহলে শুধু সরকারেরই নয়, বিরোধী দলেরও নৈতিক অবস্থান দুর্বল হতে পারে। তার ওপর অর্থনীতি এখনো নাজুক; পরিবেশ আবার অস্থিতিশীল হলে বিনিয়োগ, বাণিজ্য, রেমিট্যান্স—সব ক্ষেত্রেই অপ্রত্যাশিত ধাক্কার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই অনেকেই আশা করছেন, দলগুলো ‘ক্যালকুলেটিভ’ অর্থাৎ হিসাব–কষে আন্দোলন করবে—দৃশ্যমান শক্তি প্রদর্শন করবে ঠিকই, তবে নিয়ন্ত্রণের সীমানা অতিক্রম করবে না।
শেষ পর্যন্ত নভেম্বর হয়তো বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার একটি লিটমাস টেস্ট হয়ে উঠবে। এখানে পরীক্ষা হবে—বহুদলীয় শক্তি কি সত্যিই মতভেদ সামলে একই রাজনৈতিক পরিসরে টিকে থাকতে পারে, নাকি আবার ‘বন্ধ ঘর বনাম রাজপথ’–এর পুরোনো দ্বন্দ্বে ফিরে যাবে? পরীক্ষা হবে—বিরোধী দলগুলো কি একে অন্যকে শত্রু ভাবার পুরোনো সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে অন্তত ন্যূনতম সমঝোতার ভিত্তি তৈরি করতে পারে? এবং পরীক্ষা হবে—অন্তর্বর্তী সরকার কি নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকারের ভারসাম্য রেখে রাজনীতির উত্তাপ সামাল দিতে পারে, না কি পুরোনো দমননীতি ফিরে আসে নতুন মুখোশে?
রাজনৈতিক দলগুলো এখন যে বার্তা দিচ্ছে, তাতে বোঝা যায়, তারা নভেম্বরকে শুধুই উত্তপ্ত করতে আসেনি; তারা নিজেদের শক্তি মেপে দেখতে চাইছে, ভবিষ্যৎ ক্ষমতার সমীকরণে এখন কার অবস্থান কোথায়। কিন্তু রাজনীতি নামের নৌকাগুলো যখন একসঙ্গে ঝড়ের মুখে পড়ে, তখন শুধু খেলোয়াড়দের নয়, তীরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষের জীবনও টলে যায়। তাই এই নভেম্বরে বাংলাদেশের নাগরিকরা হয়তো এক নীরব প্রার্থনাই করবেন—রাজনীতি হোক উত্তপ্ত, কিন্তু সেই উত্তাপ যেন গণতন্ত্রের পথকে পাকাপোক্ত করে, পুড়িয়ে ছারখার না করে।
আপনার মতামত জানানঃ