প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের দুটো সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদি কম সংস্কার হয়, সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। যদি রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিয়ে আমরা আরও বেশি কিছু সংস্কার করিয়ে নেবো সেক্ষেত্রে ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচনের কথা উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন।
সত্যিকার অর্থে আমরা যে খুব বেশি সময় নিচ্ছি তা তো না। খুবই যুক্তিযুক্ত একটা সময়ের কথা প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন।’
রোববার সকালে কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আপনাদের মনে রাখতে হবে এই সরকারে যারা আছেন, তাদের কারও এই পাওয়ারের ওপর লোভ নেই। স্ব স্ব জায়গায় তারা বুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন। সেখানে কাজ করে তারা আনন্দ পান, তারা সেখানে ফিরে যাবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো নির্বাচন উপহার দেয়া। প্রধান উপদেষ্টা সেটা বলেছেনও। সেই আলোকে আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করি, দরকারি সংস্কারের পর সামনে যে নির্বাচন হবে, সেটা একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন হবে।’
বাংলাদেশের মানুষ যারা গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি, তার সবাই আনন্দের সঙ্গে খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবেন বলে উল্লেখ করেন প্রেস সচিব।
মূলত দিন যতই যাচ্ছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিও তত বাড়ছে। ভোটাধিকার নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দ এবং ভোটাররা। তাঁদের বক্তব্য আর কথাবার্তায় জোরদার হচ্ছে নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবি। সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা মূলত নির্বাচনি রোডম্যাপের প্রতিই গুরুত্ব দিয়েছেন।
নির্বাচন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার ইস্যুতে লিখিতভাবে প্রস্তাবনা দিতে পারে কোনো কোনো দল। দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ বাদে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল ‘প্রয়োজনীয়’ সংস্কার করে ভোটের তারিখ নিশ্চিত করতে বলছে। বর্তমানে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি চায় চলতি বছরেই নির্বাচন হোক। দলটি বলছে, নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকলে জবাবদিহি বেশি থাকে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে সঠিক রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
আপনার মতামত জানানঃ