বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী প্রথমে উষ্ণ হবে, তারপর শুকিয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। আগ্নেয়গিরিগুলি যখন তাপ সহ্য করতে পারে না তখন অগ্ন্যুৎপাত হয় এবং বলা হয় যে পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশই আগ্নেয়গিরি দ্বারা আবৃত। এমন পরিস্থিতিতে পৃথিবী উত্তপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগ্নেয়গিরিও বিস্ফোরিত হয় এবং জীবন শেষ হয়ে যায়।
সবকিছুর শেষ আছে। পৃথিবীতে প্রথম প্রাণীর শুরুর মতো শেষ প্রাণীটিও একদিন না একদিন শেষ হবে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের পৃথিবীতে এমন একটি দিন আসবে যখন সমস্ত জীবন্ত প্রাণী ধ্বংস হয়ে যাবে।
আমাদের এই বিশ্ব নিয়ে এক চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, আগামী কয়েক লক্ষ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে কোনো প্রাণীই টিকে থাকতে পারবে না। পৃথিবীর সম্পূর্ণ ধ্বংস হবে। বিপর্যয়ের তারিখও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এক চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন যে, একদিন মানুষ ও প্রাণী-সহ কোনও জীবই পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারবে না এবং পৃথিবী সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার সিমুলেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই গবেষণা চালিয়েছেন, যেখানে প্রকাশ করেছে যে আগামী ২৫০ মিলিয়ন বছর পরে পৃথিবী ধ্বংসের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমরা যে হারে পৃথিবীতে কার্বনের পরিমাণ বাড়াচ্ছি, তাতে খুব শীঘ্রই এই বিলুপ্তি ঘটতে পারে। এরকম একটি ঘটনা ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ঘটেছিল এবং তখন ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।
বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী থেকে মানুষ-সহ সমস্ত জীবন্ত প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তখন পৃথিবীর তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যাবে। এমন পরিবেশে পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। তাপের কারণে সব নষ্ট হয়ে যাবে।
গবেষক দলের প্রধান আলেকজান্ডার ফার্নসওয়ার্থ জানান,’সে সময় অর্থাৎ ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে কার্বণ ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ছিল এখনকার দ্বিগুণ। এতে শরীর উত্তপ্ত হয়ে মানুষ মারা যায়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী প্রথমে উষ্ণ হবে, তারপর শুকিয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। আগ্নেয়গিরিগুলি যখন তাপ সহ্য করতে পারে না তখন অগ্ন্যুৎপাত হয় এবং বলা হয় যে পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশই আগ্নেয়গিরি দ্বারা আবৃত। এমন পরিস্থিতিতে পৃথিবী উত্তপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগ্নেয়গিরিও বিস্ফোরিত হয় এবং জীবন শেষ হয়ে যায়।
আপনার মতামত জানানঃ