তারল্যের ভরা মৌসুমেও কয়েকটি ব্যাংকের ধার করার প্রবণতা কমেনি। সোমবার বছরের প্রথম দিনেও কয়েকটি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক, কলমানি মার্কেটসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
তবে এদিন সুদহার বাড়েনি। আগের অবস্থায়ই ছিল। অন্য দিনের তুলনায় সোমবারের ধারের পরিমাণ বেশ কম। তবে কয়েকটি ব্যাংকের তারল্য সংকট প্রকট হওয়ার কারণে তাদের বার্ষিক হিসাবের স্থিতিপত্রে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকগুলো বিশেষ ধার করেছে। তবে এর সঙ্গে গ্রাহকদের লেনদেনের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
সূত্র জানায়, সোমবার কয়েকটি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ট্রেজারি বিল পুনরায় ক্রয় চুক্তির (রেপো) মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তারল্য সহায়তা নিয়েছে। এছাড়া কলমানি মার্কেট থেকে ধার করেছে ২ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা। এতে সর্বোচ্চ সুদহার ছিল পৌনে ১০ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ ছিল পৌনে ৮ শতাংশ। গড় হার ছিল ৯ দশমিক ২২ শতাংশ। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন উপকরণের বিপরীতে ধার করেছে ১ হাজার ২১৮ কোটি টাকা। এগুলোর সুদহার সোয়া ১০ শতাংশ থেকে সাড়ে ১১ শতাংশ ছিল।
সূত্র জানায়, কয়েকটি ব্যাংকের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনের চলতি হিসাবে ঘাটতি ছিল। এ কারণে তাদের বার্ষিক স্থিতিপত্রে ঘাটতি দেখা দেয়। ব্যাংকগুলোর স্থিতিপত্র বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান বা বিদেশি ব্যাংকগুলোয় পাঠাতে হয়। এ কারণে স্থিতিপত্রে ঘাটতি থাকলে ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এছাড়া দুর্নামের ভাগীদার হতে হয়। এ কারণে বছরের প্রথম দিনই ব্যাংকগুলো বিভিন্ন খাত থেকে ধার করে ওই ঘাটতি পূরণ করেছে।
সূত্র জানায়, বছরের প্রথম দিনেই ব্যাংকগুলোয় তারল্যের বেশ চাপ ছিল। এর কারণ হিসাবে জানা গেছে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে যেসব ধার করেছে, সেগুলোর অনেক উপকরণের মেয়াদ সোমবার পূর্ণ হয়েছে। ওইসব দায় পরিশোধ করতে হয়েছে।
আপনার মতামত জানানঃ