স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
৭ জানুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার, ২৩ পৌষ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
ডিটেকটিভ’ সরিয়ে নিচ্ছে পুলিশ
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
নবীন এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার লেখা নিয়ে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর পুলিশের প্রকাশনা ‘ডিটেকটিভ’-এর বিজয় দিবস সংখ্যা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
ওই শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারের (৩৭তম বিসিএসের কর্মকর্তা) লেখায় ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ থাকায় সংখ্যাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে এই মাসিক পত্রিকার সম্পাদক পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন।
তিনি বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই নারী কর্মকর্তা নবীন। তিনি পুলিশে ঢোকার পরপরই লেখাটি দিয়েছিলেন। তার এই লেখা প্রকাশের আগে আমাদেরও চোখ এড়িয়ে গেছে। “লেখাটি নিয়ে বিতর্ক থাকায় ডিটেকটিভ-এর বিজয় দিবস সংখ্যার যে ১৫ হাজার কপি ছাপানো হয়েছিল, সেগুলোর বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
‘জনবান্ধব পুলিশ হবে মানুষের প্রথম আশ্রয়স্থল’ শিরোনামে ওই লেখায় পুলিশের পরিদর্শক থেকে নিম্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ‘ক্ষুধার্ত’ আখ্যায়িত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মানুষের তাদের কাছ থেকে ‘অর্থনৈতিক হয়রানির শিকার হন’। পত্রিকাটি প্রকাশের পর ওই লেখা নিয়ে পুলিশ সদস্যদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। কোনো কোনো পুলিশ সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখার স্ক্রিনশট তুলে দিয়ে ওই কর্মকর্তার সমালোচনা করছেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা এই লেখার জন্য ইতোমধ্যে ‘দুঃখপ্রকাশ করেছেন’ বলে ডিআইজি হাবিব জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশের নিজস্ব প্রকাশনা ‘ডিটেকটিভ’ খোলাবাজারে বিক্রি হয় না। সৌজন্য কপি হিসাবে বিভিন্ন ব্যক্তি, বিজ্ঞাপনদাতা এবং নির্ধারিত পুলিশ সদস্যদের এই পত্রিকা দেওয়া হয়ে থাকে।
সন্তানসহ অন্যের স্ত্রীকে ‘ভাগিয়ে’ নিয়ে সংসার, পুলিশ সদস্য ক্লোজড
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
সন্তানসহ অন্যের স্ত্রীকে ‘ভাগিয়ে’ নিয়ে সংসার করছেন পুলিশ সদস্য। ওই নারীর স্বামীর অভিযোগের পর পুলিশ সদস্য আবদুর রহমান কনককে ক্লোজ করা হয়েছে।
আবদুর রহমান কনক যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। ওই নারী রংপুর মহানগরের তাজহাট এলাকার বিপ্লবের স্ত্রী। এ দম্পতির ১২ বছরের সংসার জীবনে দুই সন্তান রয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর ওই নারী পুলিশ সদস্য আবদুর রহমানের সঙ্গে পালিয়ে যান। স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই ওই নারী পুলিশ সদস্যের সঙ্গে যশোরের ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। গত ৪ জানুয়ারি ওই নারীর স্বামী বিপ্লব রংপুরের তাজহাট থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, বুধবার কনস্টেবল আবদুর রহমান কনককে ক্লোজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এটি পারিবারিক ঘটনা। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হলে সেটি তারা ফেস করবেন।
বিপ্লবের স্বজনরা জানান, রংপুর মহানগরের তাজহাট এলাকার বাসিন্দা বিপ্লবের স্ত্রী স্বপ্না খাতুনের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রহমান কনক। গত ২৫ ডিসেম্বর স্বপ্না খাতুন চার বছর বয়সী কন্যাকে নিয়ে আবদুর রহমান কনকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। কনকের কর্মস্থল যশোরে হওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। যদিও কনকের প্রথম স্ত্রীর সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। প্রথম পক্ষের স্ত্রী থাকার বিষয়টি গোপন রেখে স্বপ্না ও তার কন্যাকে নিয়ে বসবাস করেন।
বিএনপির মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নিল পুলিশ
জাগো নিউজ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির মানববন্ধন। তবে পুলিশ বলেছে, নাশকতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় তাদেরকে রাস্তায় দাঁড়াতে দেয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের এইচএসএস সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সকালে মানববন্ধনের জন্য কার্যালয়ের সামনে ব্যানার নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ এসে কর্মসূচিতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নেয় পুলিশ। পরে পুলিশ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ বলেন, ‘মানববন্ধনে পুলিশের বাধা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরাতো বিশৃঙ্খলা করছিলাম না, শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছিলাম। মানববন্ধনের একপর্যায়ে পুলিশ এসে আমাদের ব্যানার কেড়ে নেয় এবং আমাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’
ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, নাশকতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় তাদেরকে রাস্তায় দাঁড়াতে দেয়া হয়নি।
ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন ফের পেছাল
কালের কন্ঠ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি এবং কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের সময় তৃতীয় দফা পেছাল। দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র গতকাল বুধবার দাখিল করার কথা ছিল, কিন্তু দুদক অভিযোগপত্র দাখিল না করে সময়ের আবেদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছেন। একই সঙ্গে আদালত আসামিপক্ষের দাখিল করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান এই আদেশ দিয়েছেন।
রিশালে আইনজীবী রেজাউল হত্যা
আদালতে ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
দেশ রুপান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বরিশালে গোয়েন্দা পুলিশের নির্যাতনে শিক্ষানবিস আইনজীবী রেজাউল করিম রেজা হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. আনিছুর রহমান আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পিবিআইর একজন পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার সকালে রেজাউল করিম রেজার বাবা ইউনুস মুন্সি বাদী হয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযুক্ত উপপরিদর্শক মহিউদ্দিন এবং তার অজ্ঞাতনামা দুই পুলিশ সহযোগীর বিরুদ্ধে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন।
এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মহিউদ্দিনকে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে মেট্রো পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। আদালত চত্বরে রেজাউলের বাবা ইউনুস মুন্সি জানান, রেজাউলকে গোয়েন্দা পুলিশ নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ কারণে তিনি উপপরিদর্শক মহিউদ্দিন এবং তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। আদালত তার মামলা গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় খুশি তিনি। পিবিআইর তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে এবং এ মামলায় অভিযুক্ত পুলিশের কঠোর বিচার হবে বলে আশা করেন তিনি।
এদিকে প্রশাসনিক কারণে উপপরিদর্শক মহিউদ্দিনকে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। তবে রেজাউলের মৃত্যুর পর থেকে লাপাত্তা রয়েছেন উপপরিদর্শক মহিউদ্দিন।
ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে চাকরি হারালেন পুলিশ সার্জেন্ট
জাগো নিউজ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) চাকরি হারালেন নওগাঁয় কর্মরত পুলিশ সার্জেন্ট আতাউর রহমান। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। জানা গেছে, গত বছরের আগস্টে সার্জেন্ট আতাউর রহমানের ডোপ টেস্ট করা হলে ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম বলেন, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কেউ যদি মাদক সেবন করে, এ জন্য আমরা নিয়মিত ডোপ টেস্ট করি। এ পর্যন্ত একজনের পজিটিভ এসেছে। তিনি বলেন, সার্জেন্ট আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রায় তিন মাস আগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে চূড়ান্ত নিয়োগের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে এখন ডোপ (মাদকদ্রব্য) টেস্টও শুরু হয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
খালা শাশুড়ির আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে, জামাই গ্রেফতার
জাগো নিউজ
বিভাগ: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ের কার্য সহকারী (প্রকল্প) নুর হুদাকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে ফুলবাড়িয়া পিআইও অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নুর হুদা দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার শ্রী কৃষ্ণপুর জামবাড়ি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। চাকরির সুবাদে স্ত্রীসহ তিনি ফুলবাড়িয়ায় থাকেন। জানা যায়, নুর হুদা ফেসবুকে তার খালা শাশুড়িকে নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি ও ছবি পোস্ট করেন। এ ঘটনায় তার খালা শাশুড়ি গত ১৩ নভেম্বর নুর হুদাসহ তিনজনকে আসামি করে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরে ঢাকা দক্ষিণ কল্যাণপুর পিবিআইয়ের একটি দল ফুলবাড়িয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে। বিকেলে তাকে ঢাকায় নিয়ে যায় তারা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় কার্য সহকারী নুর হুদাকে গ্রেফতারের বিষয়টি জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহা. আজিজুর রহমান জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলার আসামি গ্রেফতারের জন্য পিবিআই থানায় আসলে তাদের সহযোগিতা করা হয়েছে।
দুই শিশুর বিবাদ, পিটিয়ে জখম করা হলো সাংবাদিক দম্পতিকে
কালের কন্ঠ
বিভাগ: গণমাধ্যম
যশোরের অভয়নগরে দৈনিক সময়ের খবর অভয়নগর উপজেলা প্রতিনিধি ও নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক শাহিন আহমদ ও তাঁর স্ত্রী ইসফাত আরা আইরিনকে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার দুপুরে উপজেলার ধোপাদী গ্রামের নতুন বাজারসংলগ্ন নিজ বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিক ও তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ধোপাদী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে এস এম রিপন (৩৫) নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ।
চিকিৎসাধীন সাংবাদিক শাহিনের স্ত্রী কালের কণ্ঠকে জানান, বুধবার দুপুরে আমাদের ৮ বছর বয়সী কন্যা তাছনিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী এস এম রিপনের শিশুর বিবাদ হয়। এরই জের ধরে আনুমানিক বেলা সোয়া ২টার সময় এস এম রিপন ও তাঁর স্ত্রী হীরা বেগম এবং তাদের সহযোগী একই গ্রামের আমিনুরের স্ত্রী ফরিদা বেগম আমাদের বাড়িতে আসে। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলে আমার স্বামী প্রতিবাদ করে। একপর্যায়ে রিপন তাঁর হাতে থাকা মোটা কাঠের লাঠি দিয়ে আমার স্বামীকে পেটাতে শুরু করলে অপর দুই নারীও লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। আমি ঠেকাতে গেলে তারা আমাকেও পিটিয়ে জখম করে এবং পরিবারের সকলকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আমাকে ও আমার স্বামীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রাতে অভয়নগর থানায় হামলাকারী তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।
নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবেদন ২৮ জানুয়ারি
কালের কন্ঠ
বিভাগ: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমান নতুন এ দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। আগের দিন ২০ সেপ্টেম্বর রাতেও নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে একটি মামলা হয় লালবাগ থানায়।
এই মামলার প্রধান আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুন। নুর একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক। বাকি চার আসামি নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা এবং আবদুল্লাহ হিল বাকী। এঁদের মধ্যে নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হুদা কারাগারে।
Digital Security Act: Cartoonist Kishore, writer Mushtaq denied bail
The Daily Star
Category : Digitial Security Act
A Dhaka court has again rejected bail petitions of cartoonist Ahmed Kabir Kishore and writer Mushtaq Ahmed in a case filed under the Digital Security Act.
Judge KM Emrul Kayesh of the Metropolitan Sessions Judge’s Court of Dhaka passed the order today after their lawyer Jyotirmoy Barua submitted two separate petitions seeking bail in the case.
On June 16 last year, another Dhaka court rejected bail of four accused including the two in the case. The two other accused, an activist of the platform “Rastrachinta” Didarul Islam Bhuiyan, and businessman Minhaj Mannan Emon, were earlier granted bail in the case.
The four were arrested from different places of the capital in May and were sent to jail after being produced before two separate Dhaka courts on May 6 and 7 respectively.
Eleven people — including the four arrestees — were charged with “spreading rumours and carrying out anti-government activities” under the Digital Security Act on May 6.
Frequent Digital Security Act use speaks of ample rights abuse
New Age
Category: Digital Security Act
A STEEP increase in rights abuse related to the freedom of expression by way of an increased application of the Digital Security Act 2018 has been evident in statistics that show that the number of cases filed and of people arrested under the law in 2020 have been three times the figures of 2019. Statistics of Ain O Salish Kendra show that 130 cases, in which 271 people were arrested, were filed under the law in 2020 while the number of cases filed under the law in 2019, as records available with the London-based rights group Article 19 say, was 63, showing more than a three times increase in the number of cases filed under the law in a year. Article 19 figures for 2020 show that 368 people, including 79 journalists, were arrested in at least 197 cases filed under the law in the year. Statistics of local rights group Odhikar say that 42 people were arrested in cases filed under the law in 2019 and the number sharply increased to 131 in 2020, again showing more than a three times increase in the figure of arrests. A situation like this betrays intolerance on part of the authorities that borders on an authoritarian rule, which is good neither for the country nor for the people.
The act appears to have increasingly been applied to stop the criticism, especially on social media, of failures of the government. Cases have been filed under the law against the people who have criticised the government’s mishandling of COVID-19 mitigation plans and corruption in the health sector and relief management. Such an abysmal state of the health sector naturally prompted people to be critical of government ways which were dealt with by the application of the Digital Security Act 2018 as in many cases the cases were filed under the law by people of the ruling party or its fronts; the police in such cases seek to say that they take legal action on specific allegations of the violation of the law. Most of the accused were arrested immediately after they had made comments on social media and there are instances that the police raided the house of the accused in the middle of the night to arrest the accused. There may be issues that may need to be dealt with and they should be dealt with keeping to the appropriate law. But the way the issues have been dealt with by way of the application of mostly the Digital Security Act has raised concern. The government on many occasions earlier, however, said that no Digital Security Act provision would be used to limit the freedom of expression.
আপনার মতামত জানানঃ