চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যানে বড় ধরনের ফারাক থেকেই যাচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অংশীদার চীন। যদিও এ বাণিজ্য দুই দেশের সরকারি পরিসংখ্যানে ব্যবধান দিনে দিনে বড় হচ্ছে। চীনের বাণিজ্য পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে দেশটির শুল্ক কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশে এ কাজটি করে থাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর সমন্বিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের আকার নিয়ে ২০২১ সালে দুই দেশের সরকারি তথ্যের ব্যবধান ছিল ৫৬৮ কোটি ১ লাখ ডলার। গত বছরের পরিসংখ্যানে এ ব্যবধান আরো বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। সে অনুযায়ী গত দুই বছরে দুই দেশের বাণিজ্য তথ্যে গরমিলের পরিমাণ ১ হাজার ৩০০ কোটি (১৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে।
অভিযোগ আছে, আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে (আমদানি মূল্য প্রকৃতের চেয়ে কম দেখানোর কৌশল) ব্যবসায়ীদের অনেকেই শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিংয়ের (মূল্য বাড়িয়ে দেখানো) মাধ্যমে চীন হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগও মিলছে। ব্যবসায়ীদের এ দাম বাড়িয়ে-কমিয়ে দেখানোর প্রবণতাকেই এখন দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যানে গরমিলের মূল কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে।
আমদানি-রফতানি পণ্যের দাম বাড়িয়ে-কমিয়ে দেখানোর কারণে দুই দেশের তথ্যে গরমিলের অভিযোগটিকে উড়িয়ে দিতে পারছেন না নীতিনির্ধারকরাও। এর পাশাপাশি বন্ড সুবিধা ও আমদানিকে হিসাবে না নেয়াও তথ্যগত ব্যবধানের কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘দাম বাড়িয়ে-কমিয়ে দেখানোর বিষয়টির সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। সেটাও পার্থক্যের একটা কারণ হতে পারে। তবে শুল্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা অনুযায়ী দুই দেশের পরিসংখ্যানে পার্থক্যের প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে অনেক আমদানি বন্ড সুবিধার আওতায় আসে। এরপর প্রক্রিয়াজাত হয়ে পণ্য আবার ফিরে যায়। বন্ডের আওতায় এলে আমদানি হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।’
বাণিজ্য খাতের পর্যবেক্ষক বিশ্লেষকরা বলছেন, আমদানিতে শুল্ক সুবিধা নিতে আমদানিকারকদের বড় একটি অংশ জড়িয়ে পড়ছেন আন্ডার ইনভয়েসিংয়ে। আবার কোনো কোনো ব্যবসায়ী চীন হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে অর্থ পাচারের সুযোগ নিতে পণ্যের দাম বেশি করে দেখাচ্ছেন। বিশেষ করে পোশাক খাতের মতো রফতানিমুখী শিল্পের আমদানিকারকদের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। চীনের রফতানিকারকদের সঙ্গে দরকষাকষি করা তুলনামূলক সহজ হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে এ অর্থ পাচার হচ্ছে। দেশের বড় অনেক ঋণখেলাপি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এ পন্থায় অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। আবার কারো কারো বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে এলসি মূল্য কম দেখিয়ে ডলার হুন্ডি করে আমদানি মূল্য পরিশোধ করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যানে গরমিলের বিষয়টিকে এখনই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। দেশের ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেছে, দেশে চীন থেকে পণ্য আমদানির জন্য খোলা এলসির মোট পরিমাণ কাস্টমসের পরিসংখ্যানে উল্লেখিত অংকের চেয়ে বেশি।
এনবিআরের তথ্য থেকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সংকলন করা পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ সালে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে ১ হাজার ৯৪৬ কোটি ১১ লাখ ডলারের কিছু বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যের অর্থমূল্য ছিল ২ হাজার ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। এ হিসাবে ২০২১ ও ২০২২ সালে দুই দেশের মোট বাণিজ্য অর্থমূল্য ছিল ৩ হাজার ৯৭৫ কোটি ৬ লাখ ডলার।
এদিকে জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব চায়নার (জিএসিপিআরসি) পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২১ সালে দুই দেশের মধ্যে সংঘটিত বাণিজ্যের অর্থমূল্য ছিল ২ হাজার ৫১৪ কোটি ১৩ লাখ ডলারের কিছু বেশি। ২০২২ সালে বাণিজ্যের আকার ২ হাজার ৭৭৭ কোটি ৮২ লাখ ৩৯ হাজার ১৮৩ ডলার। ২০২১ ও ২০২২ সালে দুই দেশের বাণিজ্যের আকার ছিল ৫ হাজার ২৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। সে হিসেবে দুই বছরে দুই দেশের বাণিজ্য তথ্যের ব্যবধান ১ হাজার ৩১৬ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
বাণিজ্য পরিসংখ্যানে এ বিপুল পরিমাণ পার্থক্যের বিষয়টি এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আলোচনায় জানানো হয়েছে বলে দাবি করছেন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট বাংলাদেশীরা। এ ধরনের তথ্যগত পার্থক্য বাংলাদেশের জন্য সুখকর নয় উল্লেখ করে তাদের অভিযোগ, এর কারণ অনুসন্ধান বা পার্থক্য দূর করে সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশে কোনো তৎপরতা এখনো দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের সরকারি তথ্যে পার্থক্য কেন রয়ে যাচ্ছে তা দুই দেশের পরিসংখ্যানের ভিত্তি যাচাই-বাছাই করেই বলা সম্ভব। বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়া কোনো অসাধু কর্মকাণ্ড রয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।’
জানতে চাইলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য পরিচালনাকারী একাধিক ব্যবসায়ী নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বলেন, ‘চীনে বাংলাদেশী পণ্য রফতানি হয় খুব সামান্য। আবার আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক সুবিধা নেয়ার জন্য অনেকেই পণ্য আনার সময় দাম কম দেখাচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তথ্যের ফারাক থাকায় পণ্যের ব্যয় নির্ধারণ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন তারা। আবার চীন থেকে লুজ কনটেইনারে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি হচ্ছে। সেগুলোর মান নিয়েও নানা সময় প্রশ্ন উঠেছে।’
চীনা রফতানিকারকরা বাংলাদেশে পণ্য পাঠানোর জন্য জাহাজীকরণের সময় রফতানি মূল্যের ওপর রিবেট বা ছাড় নিচ্ছেন। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যসংশ্লিষ্টদের বক্তব্য হলো ওই রিবেট ভ্যালুর ওপরেই বাংলাদেশে শুল্কহার নির্ধারণ করা উচিত। ঋণপত্রে উল্লেখিত মূল্যের ওপর শুল্কায়নের প্রথা থেকে বের হয়ে আসা প্রয়োজন। এভাবে শুল্কায়ন করতে গিয়ে দাম ভেদে ভিন্ন ট্যারিফ রেটের কারণে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশে এনবিআর থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট সবাই পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই নজরদারি চালায়। ফলে দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যানে এত বিপুল অংকের পার্থক্য থেকে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দুই দেশের সরকারি পরিসংখ্যানে পার্থক্য থাকতে পারে। তবে তা এত বিপুল পরিমাণ হওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
একই কথা বলছেন বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সভাপতি গাজী গোলাম মুর্তজাও। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের সরকারি কর্তৃপক্ষ যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করে তাতে যদি কোনো পার্থক্য থেকে থাকে, তাহলে তা অবশ্যই দূর করা দরকার। প্রয়োজনে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে বসে এ পার্থক্য কমিয়ে আনার বিষয়ে কাজ করতে পারেন।’
চীন থেকে বিপুল পরিমাণে যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আসে বাংলাদেশে। এসব পণ্যে দাম বাড়িয়ে-কমিয়ে দেখানোর বিষয় জড়িত বলে জানিয়েছেন সরকারের প্রতিনিধিরা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়ন হয় ন্যূনতম আমদানি মূল্যের ওপর। এ সুযোগে দাম কম দেখিয়ে শুল্কও কম দেয়া যায়। এক্ষেত্রে চীনা রফতানিকারক ও বাংলাদেশের আমদানিকারক দুই পক্ষেরই যোগসাজশের বিষয় আছে। চীনসংশ্লিষ্টরা চাচ্ছেন রফতানি যত বেশি করে দেখানো যায়। কারণ সেখানে রফতানি যত বেশি, তত বেশি ছাড়ও পাচ্ছেন তারা।
এ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের। এক্ষেত্রে হিসাব করা মূল্য ও এলসি মূল্যের ব্যবধান পরিসংখ্যানগত পার্থক্যের একটি কারণ। আবার অসত্য ঘোষণাও এ পার্থক্যের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে। সেটিও করা হচ্ছে শুল্ক ফাঁকি দেয়ার লক্ষ্যে। মূলত শুল্ক ফাঁকির প্রবণতা থেকেই দাম কমিয়ে দেখানোর প্রবণতা তৈরি হয়েছে। আর দাম বাড়িয়ে দেখানো হয় সাধারণত অর্থ পাচারের জন্য। বাংলাদেশ ও চীনের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দুই ধরনের চর্চাই আছে।
দেশের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতিতে ভিন্নতা রয়েছে। এ কারণে একই বিষয়ে একেক সংস্থার পরিসংখ্যানে ভিন্ন তথ্য উঠে আসে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ বিষয়ে তাদের পরামর্শ হলো দেশে পণ্য আমদানির বিপরীতে কী পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাঠানো হয়েছে এবং রফতানির ক্ষেত্রে পণ্যের বিপরীতে কী পরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে, এ দুয়ের প্রকৃত হিসাব যথাযথ প্রক্রিয়ায় ও স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে।
বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এখন ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যেই বাণিজ্যিক লেনদেনের তথ্যে বড় ধরনের তথ্যগত ব্যবধান অন্যান্য দেশের সংস্থাগুলোর কাছে বাংলাদেশের তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এ থেকে নেতিবাচক বার্তা পাবেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও। বিশ্বের অন্যান্য দেশ যদি এসব তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের না পারার কোনো কারণ নেই।
বাংলাদেশের শুল্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখানে দুটো বিষয় আছে। প্রথমত, দেখতে হবে দুই দেশেই কোন ভ্যালু অনুযায়ী পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হচ্ছে। একটি তথ্যের উৎস হতে পারে এলসি বা ঋণপত্রে উল্লেখ হওয়া ভ্যালু। আরেকটি হলো অ্যাসেসমেন্ট হওয়া ভ্যালু। যদি অ্যাসেসমেন্ট হওয়া পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়, সেখানে পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু দুই দেশেই যদি এলসি ভ্যালু অনুযায়ী পরিসংখ্যান প্রকাশ পায়, তাহলে পার্থক্য থাকার কোনো সুযোগ নেই।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক কমিশনার এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, ‘তথ্যের গরমিল আছে সেটা জানি। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে সঠিক তথ্য-উপাত্ত দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ আমদানি-রফতানির সব ঋণপত্র মীমাংসা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।’
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার দেশ চীন। সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমদানি-রফতানি মিলিয়ে মোট বাণিজ্যের প্রায় ১৪ শতাংশই হয় চীনের সঙ্গে। দেশটি থেকে বাংলাদেশের আমদানি করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক চুল্লি, প্রকৌশল যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, তুলা, ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, সাউন্ড রেকর্ডার ও রিপ্রডিউসার, বোনা কাপড় ও কৃত্রিম তন্তু ইত্যাদি। বাংলাদেশ থেকে চীনে রফতানি হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে ওভেন পোশাক, নিটওয়্যার, হোমটেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা ইত্যাদি। দেশের মোট আমদানির ২৫ শতাংশই আসে চীন থেকে। যদিও দেশের মোট রফতানির মাত্র ১ দশমিক ৩১ শতাংশ যায় চীনে।
এসডব্লিউ/এসএস/১৩১৫
আপনার মতামত জানানঃ