State Watch
    Facebook Twitter Instagram
    সর্বশেষ প্রকাশিত
    • বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা: ৫ বিলিয়ন ডলারই কষ্টসাধ্য ২০ বিলিয়নের সংস্থান হবে কি?
    • সৌদি থেকে ফিরল ১২ নির্যাতিতা নারী কর্মী: আইন কোথায়?
    • কেমন হতে পারে বাংলাদেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনকালীন সরকার?
    • লোডশেডিংয়ের প্রভাবে কমছে শিল্পে উৎপাদন, বাড়ছে ব্যয়
    • আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুলে বিষ প্রয়োগ, হাসপাতালে ৮০ ছাত্রী
    • গুম, খুন, মিথ্যা মামলায় জড়িত ওসি এসপিদের তথ্য সংগ্রহ করছে বিএনপি
    • ডিভোর্স ডুয়েল: মধ্যযুগে বিচ্ছেদের জন্য পরস্পরকে হত্যার চেষ্টা করতেন স্বামী-স্ত্রী
    • রুশ কারাগারের যে বর্বরতা হার মানায় দোজখকেও
    State Watch
    • প্রধান পাতা
    • আইনপ্রয়োগ
      1. গুম-অপহরণ
      2. গ্রেপ্তার-নিপীড়ন
      3. নিপীড়নমূলক আইন
      4. প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি
      5. বিচার বহির্ভূত হত্যা
      6. রাষ্ট্রীয় বাহিনী
      Featured
      মার্চ ১২, ২০২৩

      সরকারি অর্থায়নের হাসপাতালে বেসরকারি ফি, বিপাকে রোগীরা

      Recent
      জুন ১, ২০২৩

      উধাও হাসপাতাল: কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতিতে যুক্ত পাউবি

      মে ২৮, ২০২৩

      নিখোঁজ বাবাকে ১০ বছর ধরে খুঁজছে শিশু হৃদি

      মে ১৪, ২০২৩

      বাংলাদেশের এতিমখানায় করা অনুদান তদন্ত করবে চ্যারিটি কমিশন

    • আক্রান্ত জনগোষ্ঠী
      1. আদিবাসী
      2. গণমাধ্যম
      3. ধর্মীয় সংখ্যালঘু
      4. নারী ও শিশু
      5. প্রাণ-প্রকৃতি-কৃষি
      6. ভিন্ন মতাবলম্বী
      7. রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ
      8. শ্রমজীবী
      Featured
      ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩

      বাংলাদেশে গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন মনিটর করবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৯ রাষ্ট্র

      Recent
      মে ২, ২০২৩

      প্রধানমন্ত্রীর কারণে বাংলাদেশে আতঙ্কে সাংবাদিকরা: দ্য গার্ডিয়ান

      এপ্রিল ২৯, ২০২৩

      ভারতে রাস্তায় ঈদের নামাজ পড়ায় ২০০০ মুসল্লির বিরুদ্ধে মামলা

      এপ্রিল ১২, ২০২৩

      কেন বান্দরবানে নিজের গ্রাম থেকে পালাচ্ছে বম জনগোষ্ঠির মানুষ?

    • বিশেষায়িত
      1. করোনাভাইরাস
      2. ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
      3. নির্বাচন
      4. বিশ্ব
      5. মানবাধিকার
      6. রোহিঙ্গা জাতি
      7. সীমান্ত ইস্যু
      Featured
      মার্চ ২৬, ২০২৩

      রাহুল গান্ধীর জেল যাওয়া কি মোদিকে সিংহাসন থেকে নামাতে পারবে?

      Recent
      জুন ৬, ২০২৩

      কেমন হতে পারে বাংলাদেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনকালীন সরকার?

      জুন ৫, ২০২৩

      আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুলে বিষ প্রয়োগ, হাসপাতালে ৮০ ছাত্রী

      জুন ৪, ২০২৩

      আট দশক ধরে স্প্যানিশ ক্যাথলিক চার্চে প্রায় হাজার শিশুকে নির্যাতন

    • রাজনীতি-প্রশাসন
      1. অর্থনীতি ও বাণিজ্য
      2. আইন-আদালত
      3. ক্ষমতাসীন দল
      4. জাতীয় সংসদ
      5. রাজনীতি
      6. রাষ্ট্র-সরকার
      Featured
      মার্চ ২৫, ২০২৩

      রমজানেও ব্যবসায়ীদের লোভ-লালসায় দ্রব্যমূল্যের চাপে নিম্নমধ্যবিত্তরা

      Recent
      জুন ৬, ২০২৩

      বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা: ৫ বিলিয়ন ডলারই কষ্টসাধ্য ২০ বিলিয়নের সংস্থান হবে কি?

      জুন ৬, ২০২৩

      লোডশেডিংয়ের প্রভাবে কমছে শিল্পে উৎপাদন, বাড়ছে ব্যয়

      জুন ৫, ২০২৩

      গুম, খুন, মিথ্যা মামলায় জড়িত ওসি এসপিদের তথ্য সংগ্রহ করছে বিএনপি

    • মতামত
      • বিশ্লেষণ
      • সম্পাদকীয়
      • সাক্ষাৎকার
    • গবেষণা ও প্রতিবেদন
      1. বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন
      2. চলতি প্রবণতা
      3. নীতি নির্দেশনা
      Featured
      জানুয়ারি ৩১, ২০২৩

      আবারো অবনমন: সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২

      Recent
      মে ৩০, ২০২৩

      চিন্তা করার ক্ষমতা হারাচ্ছে মানুষ: গবেষণা

      মে ২০, ২০২৩

      মহামারিতে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে দেড় কোটি মানুষ: বিআইডিএস

      মে ১৬, ২০২৩

      গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

    • আর্কাইভ
    State Watch
    অর্থনীতি ও বাণিজ্য

    বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্যে দুই বছরে ১৩ বিলিয়ন ডলারের গরমিল

    ডেস্ক রিপোর্টBy ডেস্ক রিপোর্টমে ২৬, ২০২৩No Comments7 Mins Read

    চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যানে বড় ধরনের ফারাক থেকেই যাচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অংশীদার চীন। যদিও এ বাণিজ্য দুই দেশের সরকারি পরিসংখ্যানে ব্যবধান দিনে দিনে বড় হচ্ছে। চীনের বাণিজ্য পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে দেশটির শুল্ক কর্তৃপক্ষ।

    বাংলাদেশে এ কাজটি করে থাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর সমন্বিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের আকার নিয়ে ২০২১ সালে দুই দেশের সরকারি তথ্যের ব্যবধান ছিল ৫৬৮ কোটি ১ লাখ ডলার। গত বছরের পরিসংখ্যানে এ ব্যবধান আরো বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। সে অনুযায়ী গত দুই বছরে দুই দেশের বাণিজ্য তথ্যে গরমিলের পরিমাণ ১ হাজার ৩০০ কোটি (১৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে।

    অভিযোগ আছে, আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে (আমদানি মূল্য প্রকৃতের চেয়ে কম দেখানোর কৌশল) ব্যবসায়ীদের অনেকেই শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিংয়ের (মূল্য বাড়িয়ে দেখানো) মাধ্যমে চীন হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগও মিলছে। ব্যবসায়ীদের এ দাম বাড়িয়ে-কমিয়ে দেখানোর প্রবণতাকেই এখন দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যানে গরমিলের মূল কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে।

    আমদানি-রফতানি পণ্যের দাম বাড়িয়ে-কমিয়ে দেখানোর কারণে দুই দেশের তথ্যে গরমিলের অভিযোগটিকে উড়িয়ে দিতে পারছেন না নীতিনির্ধারকরাও। এর পাশাপাশি বন্ড সুবিধা ও আমদানিকে হিসাবে না নেয়াও তথ্যগত ব্যবধানের কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

    বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘দাম বাড়িয়ে-কমিয়ে দেখানোর বিষয়টির সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। সেটাও পার্থক্যের একটা কারণ হতে পারে। তবে শুল্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা অনুযায়ী দুই দেশের পরিসংখ্যানে পার্থক্যের প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে অনেক আমদানি বন্ড সুবিধার আওতায় আসে। এরপর প্রক্রিয়াজাত হয়ে পণ্য আবার ফিরে যায়। বন্ডের আওতায় এলে আমদানি হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।’

    বাণিজ্য খাতের পর্যবেক্ষক বিশ্লেষকরা বলছেন, আমদানিতে শুল্ক সুবিধা নিতে আমদানিকারকদের বড় একটি অংশ জড়িয়ে পড়ছেন আন্ডার ইনভয়েসিংয়ে। আবার কোনো কোনো ব্যবসায়ী চীন হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে অর্থ পাচারের সুযোগ নিতে পণ্যের দাম বেশি করে দেখাচ্ছেন। বিশেষ করে পোশাক খাতের মতো রফতানিমুখী শিল্পের আমদানিকারকদের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। চীনের রফতানিকারকদের সঙ্গে দরকষাকষি করা তুলনামূলক সহজ হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে এ অর্থ পাচার হচ্ছে। দেশের বড় অনেক ঋণখেলাপি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এ পন্থায় অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। আবার কারো কারো বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে এলসি মূল্য কম দেখিয়ে ডলার হুন্ডি করে আমদানি মূল্য পরিশোধ করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যানে গরমিলের বিষয়টিকে এখনই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। দেশের ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেছে, দেশে চীন থেকে পণ্য আমদানির জন্য খোলা এলসির মোট পরিমাণ কাস্টমসের পরিসংখ্যানে উল্লেখিত অংকের চেয়ে বেশি।

    এনবিআরের তথ্য থেকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সংকলন করা পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ সালে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে ১ হাজার ৯৪৬ কোটি ১১ লাখ ডলারের কিছু বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যের অর্থমূল্য ছিল ২ হাজার ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। এ হিসাবে ২০২১ ও ২০২২ সালে দুই দেশের মোট বাণিজ্য অর্থমূল্য ছিল ৩ হাজার ৯৭৫ কোটি ৬ লাখ ডলার।

    এদিকে জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব চায়নার (জিএসিপিআরসি) পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২১ সালে দুই দেশের মধ্যে সংঘটিত বাণিজ্যের অর্থমূল্য ছিল ২ হাজার ৫১৪ কোটি ১৩ লাখ ডলারের কিছু বেশি। ২০২২ সালে বাণিজ্যের আকার ২ হাজার ৭৭৭ কোটি ৮২ লাখ ৩৯ হাজার ১৮৩ ডলার। ২০২১ ও ২০২২ সালে দুই দেশের বাণিজ্যের আকার ছিল ৫ হাজার ২৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। সে হিসেবে দুই বছরে দুই দেশের বাণিজ্য তথ্যের ব্যবধান ১ হাজার ৩১৬ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।

    বাণিজ্য পরিসংখ্যানে এ বিপুল পরিমাণ পার্থক্যের বিষয়টি এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আলোচনায় জানানো হয়েছে বলে দাবি করছেন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট বাংলাদেশীরা। এ ধরনের তথ্যগত পার্থক্য বাংলাদেশের জন্য সুখকর নয় উল্লেখ করে তাদের অভিযোগ, এর কারণ অনুসন্ধান বা পার্থক্য দূর করে সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশে কোনো তৎপরতা এখনো দেখা যায়নি।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের সরকারি তথ্যে পার্থক্য কেন রয়ে যাচ্ছে তা দুই দেশের পরিসংখ্যানের ভিত্তি যাচাই-বাছাই করেই বলা সম্ভব। বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়া কোনো অসাধু কর্মকাণ্ড রয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।’

    জানতে চাইলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য পরিচালনাকারী একাধিক ব্যবসায়ী নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বলেন, ‘চীনে বাংলাদেশী পণ্য রফতানি হয় খুব সামান্য। আবার আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক সুবিধা নেয়ার জন্য অনেকেই পণ্য আনার সময় দাম কম দেখাচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তথ্যের ফারাক থাকায় পণ্যের ব্যয় নির্ধারণ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন তারা। আবার চীন থেকে লুজ কনটেইনারে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি হচ্ছে। সেগুলোর মান নিয়েও নানা সময় প্রশ্ন উঠেছে।’

    চীনা রফতানিকারকরা বাংলাদেশে পণ্য পাঠানোর জন্য জাহাজীকরণের সময় রফতানি মূল্যের ওপর রিবেট বা ছাড় নিচ্ছেন। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যসংশ্লিষ্টদের বক্তব্য হলো ওই রিবেট ভ্যালুর ওপরেই বাংলাদেশে শুল্কহার নির্ধারণ করা উচিত। ঋণপত্রে উল্লেখিত মূল্যের ওপর শুল্কায়নের প্রথা থেকে বের হয়ে আসা প্রয়োজন। এভাবে শুল্কায়ন করতে গিয়ে দাম ভেদে ভিন্ন ট্যারিফ রেটের কারণে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশে এনবিআর থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট সবাই পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই নজরদারি চালায়। ফলে দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যানে এত বিপুল অংকের পার্থক্য থেকে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

    চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দুই দেশের সরকারি পরিসংখ্যানে পার্থক্য থাকতে পারে। তবে তা এত বিপুল পরিমাণ হওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’

    একই কথা বলছেন বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সভাপতি গাজী গোলাম মুর্তজাও। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের সরকারি কর্তৃপক্ষ যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করে তাতে যদি কোনো পার্থক্য থেকে থাকে, তাহলে তা অবশ্যই দূর করা দরকার। প্রয়োজনে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে বসে এ পার্থক্য কমিয়ে আনার বিষয়ে কাজ করতে পারেন।’

    চীন থেকে বিপুল পরিমাণে যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আসে বাংলাদেশে। এসব পণ্যে দাম বাড়িয়ে-কমিয়ে দেখানোর বিষয় জড়িত বলে জানিয়েছেন সরকারের প্রতিনিধিরা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়ন হয় ন্যূনতম আমদানি মূল্যের ওপর। এ সুযোগে দাম কম দেখিয়ে শুল্কও কম দেয়া যায়। এক্ষেত্রে চীনা রফতানিকারক ও বাংলাদেশের আমদানিকারক দুই পক্ষেরই যোগসাজশের বিষয় আছে। চীনসংশ্লিষ্টরা চাচ্ছেন রফতানি যত বেশি করে দেখানো যায়। কারণ সেখানে রফতানি যত বেশি, তত বেশি ছাড়ও পাচ্ছেন তারা।

    এ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের। এক্ষেত্রে হিসাব করা মূল্য ও এলসি মূল্যের ব্যবধান পরিসংখ্যানগত পার্থক্যের একটি কারণ। আবার অসত্য ঘোষণাও এ পার্থক্যের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে। সেটিও করা হচ্ছে শুল্ক ফাঁকি দেয়ার লক্ষ্যে। মূলত শুল্ক ফাঁকির প্রবণতা থেকেই দাম কমিয়ে দেখানোর প্রবণতা তৈরি হয়েছে। আর দাম বাড়িয়ে দেখানো হয় সাধারণত অর্থ পাচারের জন্য। বাংলাদেশ ও চীনের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দুই ধরনের চর্চাই আছে।

    দেশের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতিতে ভিন্নতা রয়েছে। এ কারণে একই বিষয়ে একেক সংস্থার পরিসংখ্যানে ভিন্ন তথ্য উঠে আসে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ বিষয়ে তাদের পরামর্শ হলো দেশে পণ্য আমদানির বিপরীতে কী পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাঠানো হয়েছে এবং রফতানির ক্ষেত্রে পণ্যের বিপরীতে কী পরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে, এ দুয়ের প্রকৃত হিসাব যথাযথ প্রক্রিয়ায় ও স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে।

    বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এখন ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যেই বাণিজ্যিক লেনদেনের তথ্যে বড় ধরনের তথ্যগত ব্যবধান অন্যান্য দেশের সংস্থাগুলোর কাছে বাংলাদেশের তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এ থেকে নেতিবাচক বার্তা পাবেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও। বিশ্বের অন্যান্য দেশ যদি এসব তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের না পারার কোনো কারণ নেই।

    বাংলাদেশের শুল্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখানে দুটো বিষয় আছে। প্রথমত, দেখতে হবে দুই দেশেই কোন ভ্যালু অনুযায়ী পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হচ্ছে। একটি তথ্যের উৎস হতে পারে এলসি বা ঋণপত্রে উল্লেখ হওয়া ভ্যালু। আরেকটি হলো অ্যাসেসমেন্ট হওয়া ভ্যালু। যদি অ্যাসেসমেন্ট হওয়া পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়, সেখানে পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু দুই দেশেই যদি এলসি ভ্যালু অনুযায়ী পরিসংখ্যান প্রকাশ পায়, তাহলে পার্থক্য থাকার কোনো সুযোগ নেই।

    চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক কমিশনার এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, ‘তথ্যের গরমিল আছে সেটা জানি। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে সঠিক তথ্য-উপাত্ত দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ আমদানি-রফতানির সব ঋণপত্র মীমাংসা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।’

    বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার দেশ চীন। সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমদানি-রফতানি মিলিয়ে মোট বাণিজ্যের প্রায় ১৪ শতাংশই হয় চীনের সঙ্গে। দেশটি থেকে বাংলাদেশের আমদানি করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক চুল্লি, প্রকৌশল যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, তুলা, ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, সাউন্ড রেকর্ডার ও রিপ্রডিউসার, বোনা কাপড় ও কৃত্রিম তন্তু ইত্যাদি। বাংলাদেশ থেকে চীনে রফতানি হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে ওভেন পোশাক, নিটওয়্যার, হোমটেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা ইত্যাদি। দেশের মোট আমদানির ২৫ শতাংশই আসে চীন থেকে। যদিও দেশের মোট রফতানির মাত্র ১ দশমিক ৩১ শতাংশ যায় চীনে।

    এসডব্লিউ/এসএস/১৩১৫

    ছড়িয়ে দিনঃ

    আপনার মতামত জানানঃ

    State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
    Donate
    অর্থনীতি চীন-বাংলাদেশ

    Related Posts

    রিজার্ভের হিসাবে বড় রকমের ঘাটতি

    বাংলাদেশ ব্যাংকে পড়ে আছে মালিকহীন ২৪০ কোটি টাকা

    অর্ধেক মার্কিনি ব্যাংকে অর্থ জমা করা অনিরাপদ ভাবছে

    বিজ্ঞাপন

    সর্বশেষ প্রকাশিত
    জুন ৬, ২০২৩

    বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা: ৫ বিলিয়ন ডলারই কষ্টসাধ্য ২০ বিলিয়নের সংস্থান হবে কি?

    জুন ৬, ২০২৩

    সৌদি থেকে ফিরল ১২ নির্যাতিতা নারী কর্মী: আইন কোথায়?

    জুন ৬, ২০২৩

    কেমন হতে পারে বাংলাদেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনকালীন সরকার?

    জুন ৬, ২০২৩

    লোডশেডিংয়ের প্রভাবে কমছে শিল্পে উৎপাদন, বাড়ছে ব্যয়

    জুন ৫, ২০২৩

    আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুলে বিষ প্রয়োগ, হাসপাতালে ৮০ ছাত্রী

    বিজ্ঞাপন

    সর্বাধিক পঠিত
    • যেভাবে পৃথিবী থেকে উধাও হয়েছিল রহস্যময় জনপদ আনজিকুনি
      জুন ৩, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      ১৯৩০ সালের আগের কথা, কানাডার কিভালিক অঞ্চলে ছিল এক তুষার-স্নিগ্ধ হ্রদ। নাম তার আনজিকুনি। একদিন এক অনুসন্ধিৎসু বৃদ্ধ জেলের আগমন...
    • হাত পাখায় দিলে ভোট, ভোট পাবে আল্লাহ পাক: চরমোনাই পীর
      জুন ১, ২০২৩
      By স্টেটওয়াচ ডেস্ক
      মোহাম্মদ রুবেল বাংলাদেশের গদিনশীল পীরদের মধ্যে চরমোনাই শায়েখ অন্যতম। বিশাল আশেকান গোষ্ঠীর প্রশ্নবিহীন আনুগত্য ও হাদিয়ায় টুইটুম্বুর চরমোনাইয়ের অর্থভান্ডার। এবার...
    • ডিভোর্স ডুয়েল: মধ্যযুগে বিচ্ছেদের জন্য পরস্পরকে হত্যার চেষ্টা করতেন স্বামী-স্ত্রী
      জুন ৫, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      আজ থেকে পাঁচশো বছর আগে, বিবাহবিচ্ছেদের পদ্ধতি ছিল নির্মম। বিবাহের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে গেলে হয় প্রাণ দিতে হত নিজেকে,...
    • নির্দেশদাতাকেও হত্যা করতে পিছপা হয় না এআই রোবট!
      জুন ৩, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      স্টিফেন হকিং থেকে শুরু করে ইলন মাস্ক- বিশ্বের শীর্ষ কয়েকজন বিজ্ঞানী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এটি একসময়...
    • বিদ্যুৎ নিয়ে আ’লীগের অহংকার যেভাবে পতনের কারণ
      জুন ১, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      তাপপ্রবাহের কারণে দেশে গরম বেড়েছে। বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। কিন্তু পর্যাপ্ত উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি নেই। এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের একাংশ অলস বসে...
    আজকের ভিডিও
    https://youtu.be/1ht6kl7Mly4
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    স্টেট ওয়াচ, বাংলাদেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণামূলক একটি প্রয়াস।
    বিস্তারিত...

    ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

    Donate Us!
    statewatch.net (Karigor Media Network), Hamburg, Germany. Email: statewatch.sa@gmail.com © ২০২৩ State Watch. Designed by @.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.