আমরা সম্ভবত সবাই শুনেছি যে আপনি শুন্য (কিছুই-না) থেকে কিছুই তৈরি করতে পারবেন না। কিন্তু বাস্তবে, আমাদের মহাবিশ্বের পদার্থবিদ্যা এতটা রুঢ় নয়। আসলে, বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে শুন্য বা একেবারে কিছুই-না থেকে পদার্থ তৈরী করার চেষ্টা করে আসছেন।
এখন তারা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে, ৭০ বছর আগে করা একটি তত্ত্ব সঠিক ছিল এবং আমরা সত্যিই শুন্য থেকে পদার্থ তৈরি করতে পারি।
বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা সংবাদ সংস্থা বিজিআর-এ বলা হয়েছে, মহাবিশ্ব বিভিন্ন সংরক্ষিত নিয়ম দ্বারা গঠিত। নিয়মগুলো শক্তি, চার্জ, ভরবেগসহ আরও কিছু। এই নিয়মগুলো সম্পূর্ণরূপে বোঝার সন্ধানে, বিজ্ঞানীরা কীভাবে পদার্থ তৈরি করতে হয় তা কয়েক দশ ধরে বের করার চেষ্টা করে আসছেন। এমন একটি কাজ বা ব্যাপার যা শোনার চেয়ে অনেক বেশি জটিল। আমরা আগে বস্তুকে অদৃশ্য করে দিয়েছি, কিন্তু শুন্য থেকে পদার্থ তৈরি করা সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস।
এর ফলে শুন্য থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য আরও ভালোভাবে বুঝতে সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শূন্য থেকে কীভাবে পদার্থ তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে অনেক তত্ত্ব রয়েছে। বিশেষ করে কোয়ান্টাম পদার্থবিদরা বিগ ব্যাং এবং এটি কী হতে পারে তা আরও ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করেছেন। আমরা জানি যে খালি জায়গায় দুটি কণার সংঘর্ষের ফলে কখনও কখনও অতিরিক্ত কণা বের হতে পারে। এমনকি এমন তত্ত্বও রয়েছে যে যথেষ্ট শক্তিশালী ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড শুন্য থেকেই পদার্থ তৈরি করতে পারে।
কিন্তু, এই জিনিসগুলির পরিচালনা করা সবসময়ই অসম্ভব বলে মনে হয়েছে। তবুও, বিজ্ঞানীদের চেষ্টা করা বন্ধ করেননি এবং এখন সেই গবেষণাটি ফল দিতে শুরু করেছে।
বিগ থিঙ্ক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের প্রথম দিকে, একদল গবেষক তাদের পরীক্ষাগারে শক্তিশালী বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করেছেন।
কোয়ান্টাম ফিল্ড তত্ত্বের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান শোইঙ্গার দ্বারা প্রথম প্রস্তাবিত একটি তত্ত্ব অনুসারে, এই ক্ষেত্রগুলোর সাহায্যে, গবেষকরা শুন্য থেকে কণা-অণুকণা সৃষ্টি করতে সক্ষম হন। এটি প্রমাণ করেছে যে শুন্য থেকে পদার্থ তৈরি করা আসলেই সম্ভব।
এর ফলে শুন্য থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য আরও ভালোভাবে বুঝতে সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৭০২
আপনার মতামত জানানঃ