মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ রমজানপুর গ্রামে ৭ বছর বয়সী এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সফিকুল ইসলাম খান (৩০) নামে মসজিদের এক ঈমামকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করেছে।
রবিবার দুপুরে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক সফিকুল ইসলাম গৌরনদী উপজেলার চরকুতুবপুর গ্রামের আনিস খানের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোরে মাদারীপুরের কালকিনিতে সাত বছর বয়সী একশিশু রমজানপুর খানবাড়ি জামে মসজিদের ঈমাম সফিকুলের কাছে আরবি পড়তে যায়। এসময় আরবি পড়া শেষে সকল শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে শুধু ওই শিশুকে একা রেখে ইমাম সফিকুল তার খালি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন।
পরে ওই শিশুর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে শিশুকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষক সফিকুলকে আটকে রেখে কালকিনি থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। রবিবার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ আসামিকে মাদারীপুর আদালতে প্রেরণ করেন। পরে আদালত আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
“আমার মেয়েকে মসজিদের ইমাম সফিকুল ইসলাম জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। তাই আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি তার কঠোর শাস্তি চাই” – বলেন শিশুটির মা।
কালকিনি থানার ওসি মো. নাছিরউদ্দিন মৃধা বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং আসামি সফিকুলকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদারীপুর কোর্ট ইন্সেপেক্টর রমেশ চন্দ্র দাস জানান, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার সফিকুল ইসলামকে রোববার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এসডব্লিউ/নসদ/১৯৪৫
আপনার মতামত জানানঃ