দেশে নানা সময়ে বিভিন্ন পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজের অভিযোগ করা হয়েছে এমন ৯ জনের সন্ধান পেয়েছে সরকার। এদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি কারাগারে এবং অন্যরা পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন।
মানবাধিকার কাউন্সিলের তথ্যানুযায়ী এখন পর্যন্ত আরও ৬৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধান মিলছে না। স্বজনরা তাদের খুঁজে ফিরছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশে এবং দেশের বাইরে আরও কয়েকজনকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে।
খোঁজ পাওয়াদের মধ্যে এখন কেউ কেউ কারাগারে আছেন। যারা পরিবারের সঙ্গে আছেন তাদের বেশিরভাগই মুখ খুলছেন না। কেউ মুখ খুললেও বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। আবার কেউ কেউ বলছেন অভিজ্ঞতার কথা। তারা দিয়েছেন গুম থাকার সময়ের ভয়াবহ বর্ণনা। বলেছেন কীভাবে গুম করা হয়। রাখা হয়েছিল কোথায়, দিয়েছেন নির্যাতনের বর্ণনা।
মানবাধিকার কাউন্সিলের মতে, ১৯৮৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৭৬ ব্যক্তি গুম হয়েছে। গত ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় কাউন্সিলের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এ তথ্য দেওয়া হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছেও তথ্য চায় মানবাধিকার কাউন্সিল। এর জবাবেই সরকার গুম থেকে ফিরে আসা ৯ জনের তথ্য দিয়েছে।
গত বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তালিকার ৭৬ জনের মধ্যে আট-নয়জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। দেশে এবং দেশের বাইরে আরও কয়েকজনকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খুঁজে পাওয়া নয়জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন সরকার, মোহাম্মদ যুবায়ের রহমান, মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, হাসিনুর রহমান, আলতাফ হাওলাদার, সিদ্দিকুর রহমান, শামীম উদ্দিন প্রধান ও আকতার হোসেন।
দুই দফা গুম হয়েছেন হাসিনুর রহমান
হাসিনুর রহমান তার ভয়ংকর বর্ণনায় তুলে ধরেছেন গুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনার আদ্যোপান্ত। তিন কন্যা সন্তানের জনক হাসিনুরকে দুই দফা তুলে নিয়ে এক বছর আট মাস ২০ দিন গুম করে রাখা হয়। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। থাকেন রাজধানীর মিরপুরের একটি আবাসিক এলাকায়। ১৯৮১ সালে রাজধানীর নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮২ সালে তিনি যোগ দেন সরকারি চাকরিতে।
কীভাবে গুম হলেন সে প্রসঙ্গে হাসিনুর বলেন, ২০১১ সালে আমি রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহে অফিস কাজ করছিলাম। এমন সময় আমার জুনিয়র এক কর্মকর্তা আমাকে নিচে নামতে বলে। আমি দোতলা থেকে নেমে আসার পর সে বলল, ‘স্যার, গাড়িতে আপনার ভাবি (জুনিয়র কর্মকর্তার স্ত্রী)’। আমি তাকে বললাম, এত রাতে ভাবিকে কেন অফিসে এনেছেন? তাকে আমার বাসায় নিয়ে যাও। এ সময় কয়েকজন জুনিয়র কর্মকর্তা ছিল।
আমি ভাবিকে বাসায় যেতে বলার জন্য গাড়ির সামনে এগোতেই ওই কর্মকর্তা তার পিস্তলটি আমার মাথায় ধরে আমাকে গাড়িতে তুলে নেয়। কিছু সময় পর একজন আমাকে বলে, ‘একটু ভাবিকে ফোন করে বলে দেন, একটি জরুরি কাজে ঢাকা যাচ্ছেন। তাদের কথামতো আমি আমার স্ত্রীকে ফোন করলাম। এরপর টানা ৪৩ দিন গুম ছিলাম।
গুম হওয়ার কাহিনি বর্ণনা করে হাসিনুর বলেন, আমাকে গাড়িতে তুলে ঢাকায় এনে চোখ বেঁধে, হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে একটি অন্ধকার রুমের ফ্লোরে শুইয়ে রাখা হয়। সব সময় মানসিক টর্চার করা হতো। দরজার সামনে অস্ত্রসহ একজন লোক সব সময় ডিউটি করত। খুবই ছোট্ট রুম। আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। একবার আমার রুমে ইসিজি মেশিন আনা হয়। ৪৩ দিন পর ওরা আমাকে অন্যত্র নিয়ে যায়। সেখানে আট মাস আটকে রাখা হয়। পরে আমাকে জেলে পাঠিয়ে দেয়। ২০১৪ সালে জেল থেকে মুক্তি পাই।
দ্বিতীয় দফায় গুমের বিষয়ে হাসিনুর বলেন, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে রাত ১০টার সময় আমার বাসার নিচ থেকে ফের অপহরণ করা হয়। এ দফায় এক বছর সাত মাস ১৭ দিন গুম করে রাখা হয়। যেখানে আমাকে রাখে সেখানে অনেক সেল ছিল। প্রতি রুমে একজন করে ছিল। বাথরুম গণ। চোখ বেঁধে বাথরুমে নিয়ে যায়। আবার বাথরুম শেষে চোখ বেঁধে রুমে আনা হয়। এক বছর সাত মাস ১৭ দিন আমাকে তেমন কিছুই জিজ্ঞাস করেনি। আমি সেখানে দুই দফায় অনশন কর্মসূচি চালিয়েছিলাম।
আমাকে যখন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তখন তারা বেশি বেশি আমার রুমে যেত। যেন আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাই বা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই। কিন্তু আমি সে ধরনের কিছুই করিনি। ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তারা আমাকে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে আমার বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে যায়। তারা তখন আমাকে গুমের বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে বারণ করে। তাই এ নিয়ে কিছু বলিনি। ছাড়া পাওয়ার পর থানায় জিডি করতে গেলে ওসি আমাকে অনেক কিছু জিজ্ঞাস করেছে। তার কাছেও কিছু বলিনি।
তিনি বলেন, আমাকে ছেড়ে দেওয়ার আগে ১০ দিন ধরে আমার সঙ্গে তারা নেগোসিয়েশন করেছে। বলেছে, আপনার নিজ এবং শ্বশুড়বাড়ির লোকদের আমরা দেখে রেখেছি। তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। হাসিনুর আরও বলেন, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে আমাকে যেদিন অপহরণ করা হয়, সেদিন আমার স্ত্রী পল্লবী থানায় জিডি করতে যান। কিন্তু পুলিশ জিডি নেয়নি। পরদিন পুলিশ জিডি নিয়েছে।
এখনো আতঙ্ক তাড়া করে ফারুককে
ঘুমের ঘোরে এখনো মাঝে মধ্যে চিৎকার দিয়ে ওঠেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক রাহিদ। মনে পড়ে দুঃসহ সেই স্মৃতি। অজানা আতঙ্ক তাড়িয়ে বেড়ায় তাকে। কিছুতেই ভুলতে পারেন না কয়েক বছর আগের সেই দুঃসহ আঁধার রাতের সময়গুলো।
রাহিদ রাজশাহীর পবা উপজেলার পুরাতন কসবা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য জহির উদ্দিনের ছেলে। গুমের ঘটনা বর্ণনা করেন তার পরিবারের সদস্যরা। পরে রাহিদ নিজেও যোগ দেন।
পরিবার জানায়, ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই, সন্ধ্যা সাতটা। বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে দরগাপাড়া মোড়ে চা পান করছিলেন রাহিদ। এ সময় কয়েকজন অপরিচিত মানুষ তাকে ঘিরে ধরে। হাতে হ্যান্ডকাফ দিয়ে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়। বেঁধে ফেলে চোখ। এ সময় স্থানীয় জনতা গাড়ি প্রতিরোধ করেন। তবে বিশেষ একটি বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেওয়ার কারণে সেখান থেকে সরে যান স্থানীয় মানুষ।
ঘটনার বর্ণনায় যোগ দিয়ে রাহিদ বলেন, তাকে নিয়ে মাইক্রোবাসটি অজানা উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পর মাইক্রোবাস থেকে নামানো হয়। এরপর তাকে ৪ ফুট বাই ৬ ফুটের একটি ঘরে রাখা হয়। ঘরটির কোনো জানালা ছিল না। ছিল না কোনো আলোর ব্যবস্থা। ফলে দিনরাত ছিল সমান। দিনে তিনবার দরজার নিচ দিয়ে খাবার দেওয়া হতো। ঘরের মধ্যেই ছিল টয়লেট। ঘরটি সব সময় থাকত অপরিচ্ছন্ন।
আমাকে দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস সে বদ্ধ ঘরেই অন্তরীণ রাখা হয়। এ সময় কোনো মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ পাইনি। অন্ধকার আর বদ্ধ ঘরে একাকী সময় কাটাতে হয়। ছিলাম চরম আতঙ্কের মধ্যে। সময় কাটানোই দুঃসহ হয়ে পড়ত। মনের মধ্যে কাজ করত অজানা আতঙ্ক। সব সময় মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাইতাম। প্রতিদিনই মনে করতাম, এটাই হয়তো আমার জীবনের শেষ সময়। খুব সন্নিকটেই হয়তো মৃত্যু। ওই ঘরে ঢোকানোর পর থেকে ছাড়া পাওয়া পর্যন্ত আমাকে কেউ কিছু জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। শারীরিকভাবে কোনো অত্যাচার না করলেও তারা আমাকে সব সময় মানসিক কষ্টে রেখেছে।
রাহিদ আরও বলেন, ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর আমাকে ওই বদ্ধ ঘর থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বের করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা গাড়ি চলার পর আমাকে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড দেখে বুঝতে পারি আমি নাটোরের বনপাড়া এলাকায় অবস্থান করছি। আমার কাছে কোনো টাকা-পয়সা ছিল না। তখন গভীর রাত। বাস চলছিল না। কয়েকটা ট্রাকে হাত তুললাম। থামল না। অবশেষে প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে একজন ট্রাকচালক তার গাড়িটি থামালেন। তাকে অনুরোধ করলাম।
তিনি আমাকে রাজশাহী মহানগরীর প্রবেশদ্বার তালাইমারী এলাকায় নামিয়ে দিলেন। পদ্মা নদীর বাঁধ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কেশবপুর পুলিশ লাইন এলাকায় আমার বোনের বাড়িতে এসে উঠলাম। পরে আমার বাবা এবং নিকটাত্মীয়রা খবর পেয়ে বাড়ি নিয়ে গেলেন।
মুখ খুলতে চান না শামীম আহম্মেদ
বগুড়া শহরের মফিজ পাগলার মোড় থেকে তুলে নেওয়া হয় গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর শামীম আহম্মেদ প্রধানকে। এরপর থেকে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে তিনি গুম ছিলেন। এখন মুক্ত হলেও মুখ খুলতে চান না।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের সাবদিন ভগবতীপুর গ্রামের মেহের উদ্দিন প্রধানের ছেলে শামীম আহম্মেদ প্রধান। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে স্থানীয় সাবদিন নতুন বাজারে কথা হয় ইউনিয়ন জামায়াতের আমির শামীম আহম্মেদ প্রধানের সঙ্গে।
তিনি বলেন, আমার নিখোঁজ এবং ফিরে আসাসহ কোনো বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারব না। তবে কোনোদিন সময় ও সুযোগ পেলে সব কথা প্রকাশ করব। শামীম প্রধান জানান, তুলে নেওয়ার ১৮৬ দিন পর আমাকে একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। আদালত থেকে জামিন লাভের পর ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর গাইবান্ধা জেল থেকে বেরিয়ে আসি।
১ বছর ৯ মাস পর ইকবালের খবর পান স্ত্রী ও স্বজনরা
নামাজ পড়তে বাসা থেকে পাশের মসজিদে যাওয়ার পর ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল নিখোঁজ হন ইকবাল হোসেন সরকার। এর এক বছর নয় মাস পর ইকবালের খবর পান তার স্ত্রী ও স্বজনরা। ইকবালের স্ত্রী হাবীবা বলেন, স্বামী নিখোঁজের পরদিন ফজরের আজানের সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার বোনকে নিয়ে বাসার অদূরে মসজিদের সামনে যাই। মসজিদের পাশেই একটি হোটেল।
সেই হোটেলের একজন বয়কে জিজ্ঞেস করায় সে ভয় পেয়ে প্রথমে কিছু বলতে রাজি হচ্ছিল না। পরে বলল, গত রাতে এশার নামাজের পর একটা হায়েস গাড়িতে ইকবালসহ আরও এক ব্যক্তিকে (যায়েদুর রহমান) তুলে নিয়ে গেছে ৮-১০ জন লোক। ওইদিন বিকাল থেকে সেই হায়েস গাড়ি ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এর বেশি তথ্য পাচ্ছিলাম না।
২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর একটি পত্রিকায় ইকবাল ও যায়েদুর রহমান বগুড়ায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়ার খবর প্রকাশ পায়। ওই খবরের ভিত্তিতে পরদিন বগুড়ার উদ্দেশে রওনা হই। বগুড়ায় পৌঁছে ডিবি কার্যালয়ে গেলে পুলিশ আমাদের ইকবালের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। আমরা ডিবি কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তাকে আদালতে নেওয়ার সময় এক নজর দেখার সুযোগ পেয়েছি। এখনো কারাগারে আছেন ইকবাল।
২৫১ দিন গুম ছিলেন নাহিদ
২০১৭ সালের ৯ জুন রাত ২টার দিকে সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে তুলে নেওয়া হয়। নাহিদ নরসিংদী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। সাদা পোশাকধারীর লোকজন তাকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেন তার চাচা খলিলুর রহমান। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা গ্রহণ করে থানা পুলিশ।
২৫১ দিন গুম থাকার পর ২০১৭ সালের ৯ জুন টাঙ্গাইলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার দেখানো হয়। সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন এবং ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা রয়েছে।
সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ বলেন, ২৫১ দিন আমার চোখ বাঁধা ছিল। শুধু খাওয়ার সময় ৫ মিনিট ও বাথরুমে যাওয়ার সময় ৫ মিনিট করে চোখ খুলে দেওয়া হতো। যারা আমাকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তারাই ২০১৭ সালের ৯ জুন টাঙ্গাইল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। ওই সময় যে অস্ত্র উদ্ধার দেখানো হয়েছে সেগুলো আমার নয়। এই অস্ত্রের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
তিনি বলেন, ধরে নেওয়ার পর প্রথম ১০ দিন আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের পরিমাণ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, আমার প্যারালাইস অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। ২৪ ঘণ্টা পেছনের দিকে হ্যান্ডকাফ পরে থাকার কারণে ঘুমাতে পারতার না। নড়াচড়া করতে পারতাম না। এতে কোমরের দুই পাশে ঘা হয়ে গিয়েছিল। কানে ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিল।
এসডব্লিউ/এসএস/১৪৪০
আপনার মতামত জানানঃ