ফিলিস্তিনিদের প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী আন্দোলনের পর ঐতিহাসিক দামেস্ক গেট থেকে পিছু হটেছে ইসরায়েলি পুলিশ। প্রতিবাদের মুখে পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে নিলে রবিবার রাতে রীতিমতো বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে ফিলিস্তিনিরা। রমজান উপলক্ষ্যে আবারও সমবেত হওয়ার অনুমতি পেল তারা।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণ দেখিয়ে দামেস্ক গেটের সামনে গত বছর রমজানে ফিলিস্তিনিদের জমায়েত করতে দেয়নি ইসরায়েল। এ বছর রমজানের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনিরা ইসরাইল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের দামেস্ক গেটে জমায়েত হতে গিয়ে বাধা পান। এ নিয়ে পর পর বেশ কয়েক রাত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
এবারও সেখানে ইসরায়েলি পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাখায় উত্তেজনা দেখা দেয়, শুরু হয় প্রতিবাদ। এক পর্যায়ে তা রূপ নেয় সহিংসতার। আন্দোলন ধীরে ধীরে পূর্ব জেরুজালেম ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় ইসরাইলের দখলে থাকা পশ্চিম তীরেও। এরপর গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে কয়েক দফায় রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।
গত বৃহস্পতিবার সহিংসতা চরম আকার ধারণ করে। সেদিন ফিলিস্তিনি প্রতিবাদকারীরা জেরুজালেমের পুরোনো শহরের প্রবেশপথ দামেস্ক গেটের কাছে জড়ো হয়েছিলেন। তখন কট্টর জাতীয়তাবাদী ইহুদিরা স্লোগান দিতে দিতে গেটের দিকে এগিয়ে যায়। সংঘর্ষে শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হন। এ সময় ইসরায়েলি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন আরো অন্তত ৫০ জন।
এরপর ধীরে ধীরে উত্তেজনা কমতে থাকে। রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনিরা সন্ধ্যার পর দামেস্ক গেটের ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলছেন। এদিকে
ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, তাদের কাছে ব্যারিকেড সরানোর নির্দেশ এসেছিল। ইসরায়েলি পুলিশের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় নেতা এবং দোকান মালিকদের সঙ্গে পরামর্শের পরে ব্যারিকেডগুলো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
দামেস্ক গেটে সমবেত হওয়ার অনুমতি পাওয়ার পরপরই রবিবার রাত থেকে সেখানে আনন্দ-উল্লাস শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। এ সময় অনেকের হাতে ছিল ফিলিস্তিনির পতাকা। তবে ইসরায়েলি পুলিশ পতাকাগুলো ছিনিয়ে নিতে গেলে এ নিয়ে সেখানে আরেক দফা হাতাহাতি হয়।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৩২০
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ