Author: ডেস্ক রিপোর্ট

‘স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশের জনগণ আরেকটি বিজয় প্রত্যক্ষ করলেন, সেই সঙ্গে প্রত্যক্ষ করলেন আরেকটি পরাজয়। বিজয় এ কারণে যে দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরশাসন, দুর্নীতি, লুণ্ঠন, দমন-নির্যাতন, শোষণ ও সামরিকীকরণের নেতৃত্বদানকারী সরকার জনগণের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে পরাজিত হয়েছে, প্রমাণিত হয়েছে জনগণের শক্তি অপ্রতিরোধ্য। আবার পরাজয় এ কারণে যে দীর্ঘদিনের সংগ্রাম আন্দোলন এবং অনেক আত্মত্যাগের পর স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও ক্ষমতা জনগণের হাতে আসেনি। ক্ষমতা তাদের হাতেই রয়ে গেছে, যারা স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের ক্ষমতার খুঁটি ছিল। এই খুঁটিগুলোর অবস্থান ও ভূমিকা এখন আগের চেয়ে অনেক পরিষ্কার। এগুলো হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ, সামরিক জেনারেল ও বেসামরিক সচিবদের নেতৃত্বাধীন সামরিক-বেসামরিক…

Read More

ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে দেশছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে দাবি করেছেন তার ছেলে ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শনিবার (১০ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন দাবি করেন। তিনি বলেন, আমার মা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্যাক করারও সময় পাননি। তিনি পদত্যাগ করেননি। যে কারণে আইন অনুযায়ী তিনিই বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। জয় দাবি করেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) একটি বিবৃতি দেয়ার এবং পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তারপরে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে, তখন সময় ছিল না। আমার মা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্যাক করারও সময় পাননি। সংবিধান মতে, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’ ‘বৈধ প্রধানমন্ত্রীকে’…

Read More

বৈশ্বিক শক্তি হওয়ার রাজনৈতিক অভিলাষ, অর্থনৈতিক স্বার্থ ও বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবকে সীমিত রাখতে ভারত বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সবসময়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা আছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সেই ভূমিকা কাজ করে। ২০১৩ সাল থেকে এটা স্পষ্ট। ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে এতটাই উৎসাহী যে, এই লক্ষ্যে ক্রমাগতভাবে যে কোনো ধরনের রাখ-ঢাক ছাড়াই কথাবার্তা বলা হচ্ছে। বলেন, ভারত গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে তার উঠান বলে বিবেচনা করে। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার সময় থেকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, ভারত ভৌগোলিকভাবে তার সীমানা বৃদ্ধি করতে চেয়েছে। তাদের নীতি নির্ধারকদের বিবেচনায় ভারত এমন একটা এলাকায় আছে যেখানে তার…

Read More

২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল পাঁচটায় নির্দেশ পৌঁছালো। ওই দিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্যারাশ্যুট রেজিমেন্টের অগ্রবর্তী দলের দায়িত্বে ছিলেন মেজর কমলদীপ সিং সাধু। মাত্রই সক্রিয় করা হয়েছে জরুরী সংকেত। সম্মুখসারির একাধিক প্যারাট্রুপার দলকে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। চব্বিশ ঘন্টাই জরুরি মোতায়েনের জন্য পুরো এক ব্যাটালিয়ন সৈন্যধারী একটি স্ট্রাইক ফোর্স প্রস্তুত রাখে ভারত। এদেরকে ভারতের ক্ষমতা প্রক্ষেপণের অগ্রবিন্দু হিসেবে গণ্য করা হয়। আগের রাতেই অনুরূপ একটি জরুরি সংকেত সক্রিয় হয়ে পরে বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু ফের যখন সংকেত সক্রিয় হলো এবং “পাঁচ থেকে ছয়টি” আইএল-৭৬ ও এএন-৩২ বিমান প্রস্তুত রাখার নির্দেশ এলো, সাধু বুঝতে পারলেন বড় কিছু ঘটতে চলেছে। আড়াই…

Read More

ভারত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সমর্থক ছিল। নির্বাসিত হওয়ার পর তাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশিরা তার বর্বরতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করার আগ পর্যন্ত হাসিনার সরকারকে সমর্থনও করে এসেছে। এই সপ্তাহে দীর্ঘসময় ধরে শাসনকারী প্রধানমন্ত্রীর উপর নয়াদিল্লির বাজি হঠাৎ পাল্টে গেছে। কয়েক সপ্তাহের ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ ও সহিংসতার পর শেখ হাসিনা সোমবার ভারতে পালিয়ে যান যখন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা তার সরকারি বাসভবনের দিকে মিছিল করে এগিয়ে যাচ্ছিল। ১৫ বছর পর তার সরকারের আকস্মিক পতন বাংলাদেশে একটি অনিশ্চিত শূন্যতা তৈরি করেছে। ১৭০ মিলিয়নের এই দেশটিকে ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আঞ্চলিক অংশীদার বলে মনে করা হয়। হাসিনার এই আকস্মিক…

Read More

ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বেশ কিছু ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের কেন্দ্র করে খবর প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। যেখানে তারা বাংলাদেশের ইসলামী সংগঠনগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। সেসব গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে হাসিনার পতনে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়েছে এবং তাতে জড়িত রয়েছে দেশটির ইসলামপন্থী দলগুলো। ভারতীয় গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম জুড়ে বিভ্রান্তিকর বিষয়বস্তু সম্বলিত নিবন্ধ এবং ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। টাইমস গ্রুপের মালিকানাধীন মিরর নাও এর ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যার শিরোনাম বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা? ভিডিওতে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ জনতা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত…

Read More

গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারত চলে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তার দাবি, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন হাসিনা। তবে তিনি নির্বাচনে অংশ নিবেন কিনা তা স্পষ্ট করেননি জয়। আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এর আগে শেখ হাসিনা পদত্যাগের পরপরই জয় জানিয়েছিলেন, হাসিনা আর কখনোই দেশে ফিরবেন না। পরে অবশ্য তিনি জানিয়েছিলেন যখন বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে তখনই তিনি (হাসিনা) ফিরে আসবেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন…

Read More

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে থাকতে পারেন দুজন ছাত্র– আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া ও মো. নাহিদ ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার তারা এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিতে পারেন। এতে সৃষ্টি হবে নতুন ইতিহাস। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সরকারের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা হবেন তারা। আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক। আসিফ মাহমুদের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মো. বিল্লাল হোসেন ও মাতার নাম রোকসানা বেগম। আসিফ মাহমুদ (২৬) আদমজী ক্যান্টমেন্ট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও কলেজটির বিএনসিসি ক্লাবের প্লাটুন সার্জেন্ট ছিলেন। কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের…

Read More

৪ আগস্ট রাতে তিন বাহিনীর প্রধানদের ডাকেন দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা। ওই সময় রাগে তিনি সামনের টেবিলে আঘাত করে উচ্চস্বরে তাদের উদ্দেশে ঘোষণা দেন: আমি ক্ষমতা ছাড়ব না। তবে পরের দিন (৫ আগস্ট) সকাল থেকেই গণভবনে উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে ১০টায় তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) গণভবনে ডাকা হয়। শীর্ষ আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি দৃঢ়ভাবে আগের কথারই পুনরাবৃত্তি করেন। হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের কঠোর হতে হবে, সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কাজটা কীভাবে করবেন, তা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করুন।’ যদিও পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ঘনিষ্ঠজনেরা শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন, পদত্যাগ করাই ভালো…

Read More

বাংলাদেশের যোগাযোগ অবকাঠামো খাতের ইতিহাসে টাকার অংকে সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগ। ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যত ‘নন-আরবান হেভি রেল’ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, তার মধ্যে এ প্রকল্পের কিলোমিটারপ্রতি নির্মাণ ব্যয় সবচেয়ে বেশি। একইভাবে প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ঢাকার ‘এমআরটি লাইন-৬’। ঢাকার দ্বিতীয় (এমআরটি লাইন-১) ও তৃতীয় (এমআরটি লাইন-৫, নর্দান রুট) মেট্রোরেলের কিলোমিটারপ্রতি নির্মাণ ব্যয় আরো বেশি। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কিলোমিটারপ্রতি নির্মাণ ব্যয় ২০০ কোটি টাকার বেশি, যা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ। বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের মধ্যে বাস্তবায়নাধীন বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল। আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দেশে চার-ছয় লেনের…

Read More