Author: ডেস্ক রিপোর্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাংবাদিকরা ততটুকুই প্রতিবাদ করেন, যতটুকু পর্যন্ত সরকার ক্ষিপ্ত হবে না৷ বিএনপি আমলে হলে বিষয়টি ভিন্ন হতো৷ নানা নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশের সাংবাদিকরা৷ প্রশাসন ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন৷ আরও আছে মামলার ভয়৷ সবসময় পাশে থাকে না প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো৷ এরই মধ্যে চার সপ্তাহ আগে, বাংলাদেশের এক সাংবাদিককে নিজ কার্যালয় থেকে তুলে নিয়ে বাজেভাবে মারধর করা হয় এবং তার ভবনের ছাদ থেকে নীচে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তার পিঠে জখম হয়, পাঁজরের তিনটি হাড় ভেঙ্গে যায়৷ তার মাথায়ও ছুরির ক্ষত…

Read More

গুবরে পোকা ড্রাগন বা ইউনিকর্নের মতো ডাইনোসর রূপকথার রঙিন জগত থেকে উঠে আসা কোনো প্রাণী নয়। আজ থেকে চব্বিশ কোটি বছর পূর্বে আবির্ভূত হওয়া দৈত্যাকৃতির এই জীব প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীকে একচ্ছত্রভাবে চার কোটি বছর যাবত শাসন করেছে। আধুনিক বিজ্ঞানের কারসাজিতে সেলুলয়েডের পর্দায় ডাইনোসরের অনুমিত প্রতিচ্ছবি দেখলে যারপরনাই অবাক হতে হয়। অনেক প্রজাতির ডাইনোসর লম্বায় ৪০ ফুট এবং ওজনে প্রায় ৯ টন পর্যন্ত হতো। তাদেরকে টেক্কা দেওয়ার সাধ্য কার? তবে আদিম পৃথিবীতে ডাইনোসর বাদেও এমন কিছু প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল, যারা ডাইনোসরকে খেয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখত। প্রাগৈতিহাসিক কালের এমন কিছু বিচিত্র সব প্রাণী নিয়েই আজকের এই আয়োজন। পাশাপাশি এই প্রাণীগুলো যে ডাইনোসরকে খেয়ে…

Read More

কয়লা সংকটের কারণে গত ২৩শে এপ্রিল থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছিল। তবে ডলার সংকটের মধ্যে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে উৎপাদন শুরুর ২৭ দিনের মাথায় পর্যাপ্ত কয়লা না থাকায় গত ১৪ই জানুয়ারি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় এক মাসের মাথায় আবার উৎপাদনে ফিরে কেন্দ্রটি তারপরও সংশয় ছিল কয়লা আমদানি অব্যাহত থাকবে কিনা। প্রতিদিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে প্রয়োজন পাঁচ হাজার টন কয়লা। এপ্রিল মাসে আবারও কয়লা সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেল রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের জন্যও কয়লা…

Read More

হাঙর সবচেয়ে রহস্যময় এবং আশ্চর্যজনক প্রাণী হিসাবে বিবেচিত। বিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে ৫০০টিরও বেশি প্রজাতির হাঙর রয়েছে। এগুলোর আকার কয়েক ইঞ্চি থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। মহাসাগরের সবচেয়ে প্রাচীনতম এই প্রাণীটি নিয়ে মানুষের কৌতূহলের কমতি নেই। হাঙর মানুষখোকো হিসেবেও পরিচিত। এজন্যই মহাসাগরের যেসব স্থানে হাঙরের বসবাস সেখান থেকে মানুষ একটু দূরেই থাকেন! গ্রিনল্যান্ডের হাঙর যেন আরো বেশি রহস্যময়। প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও সাক্ষী ছিল তারা। নাম গ্রিনল্যান্ডের হাঙর হলেও শুধু গ্রিনল্যান্ডেই থাকে না। ক্যারিবিয়ান সাগরেও দিব্যি খেলে বেড়ায় তারা। তবে বরফশীতল সাগর, মহাসাগরের গভীরেই তাদের চলাচল। সূর্যের মুখ দেখতে তারা সাঁতরে উপরে ওঠে না সাধারণত। সাধারণত মাইনাস ১…

Read More

প্রাচীন মিশরীয়রা ৫০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৩০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মিশর এবং সুদানে বসবাস করত। তারা বেশিরভাগই নীল নদের ধারে বাস করত, কারণ এটি ছিল পানীয় ও ফসল ফলানোর প্রাথমিক উৎস। বাকি দেশগুলি সাধারণত একটি মরুভূমি, বেশ শুষ্ক এবং বালুকাময় এবং পাথুরে। অধিকাংশ মানুষ ছিল কৃষক এবং তাদের প্রধান ফসল ছিল গম ও যব। আঙ্গুর, ডুমুর, খেজুর, বাদাম এবং জলপাই জন্মানোর জন্য তাদের বাগান ও দ্রাক্ষাক্ষেত্রও ছিল। চাষিরা সবজি ও তরমুজও ফলিয়েছেন। প্রতি বছরের বসন্তে, নীল নদ নির্ভরযোগ্যভাবে প্লাবিত হবে এবং এক মাইল প্রশস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়বে। এটি সরে যাবে এবং উর্বর কাদা/মাটি পিছনে ফেলে যাবে। কৃষকরা তখন দু’জন বা দু’টি গবাদি…

Read More

প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে মিশর এক বিস্ময়ের নাম। গত ৩০০ বছরে ধরে অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযান পরিচালিত হয়েছে মিশরে। এক সময় অনেকে মনে করতেন মিশরে বড় ধরনের কিছু আর নতুন করে অবিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। তবে ইজিপ্টলোজির অনেক পন্ডিতগণ বরাবরই বলে আসছেন, যা আবিষ্কার হয়েছে তার চেয়েও অনেক কিছু অনাবিস্কৃত রয়ে গেছে। আসলেই তাই। প্রাচীন মিশরের বিস্ময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি। এই তো মাস তিনেক আগেই প্রত্নতাত্ত্বিকরা সাক্কারার প্রাচীন সমাধিভূমিতে খনন করে কয়েক ডজন নতুন মমি এবং ৫৯টি সারকোফ্যাগাস আবিষ্কার করেছিলেন। সারকোফ্যাগাস হচ্ছে কফিন যেখানে মমি রাখা হয়। এসব সারকোফ্যাগাস প্রায় ২ হাজার ৫০০ বছর আগের। আর এবার ট্যাপসিরিস ম্যাগনা সাইটে খননকার্য চালিয়ে…

Read More

অর্থনীতির চাকা দুর্বল হয়ে পড়ায় এবং কোম্পানিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তিকে আমন্ত্রণ করায় আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজারে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (WEF) এই তথ্য প্রকাশ করেছে। তারা ৮০০ টিরও বেশি কোম্পানির ওপর সমীক্ষা চালিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। WEF – যা প্রতি বছর সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব নেতাদের নিয়ে একটি সমাবেশের আয়োজন করে – তারা দেখেছে যে নিয়োগকর্তারা ২০২৭ সালের মধ্যে ৬৯ মিলিয়ন নতুন চাকরি তৈরি করার এবং ৮৩ মিলিয়ন পদ বাদ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছেন। এর ফলে ১৪ মিলিয়ন চাকরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে যা বর্তমান কর্মসংস্থানের ২% এর সমান। এই সময়ের মধ্যে শ্রম বাজার অনেক চড়াই উতড়াইয়ের…

Read More

মানব সভ্যতার বিকাশ ও ইতিহাস সম্পর্কে আমরা একটি কাঠামোগত ধারণা লাভ করলেও অনেক সত্য রয়ে গেছে অজানা। কালের বিবর্তনে অনেক ঘটনাই হারিয়ে গেছে ইতিহাসের পাতা থেকে। সেই হারিয়ে যাওয়া সত্যকে জানার তাগিদ থেকে, আবার অনেক সময় কৌতুহলের বশবর্তী হয়ে বা দুর্ঘটনাবশতই পৃথিবীর নানাপ্রান্তের মানুষ আবিষ্কার করেছে নানা প্রত্নতাত্ত্বিক ও পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন, যা আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন সব তথ্য জানতে সাহায্য করেছে। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহের আবিষ্কার সবসময় আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের পূর্বপুরুষদের সৃজনীশক্তির কথা। আর এই আবিষ্কারগুলোর বদৌলতে আমাদেরও সুযোগ হয় শতবর্ষ পুরনো সেই নিদর্শনগুলোর ব্যাপারে জ্ঞান অর্জনের। শতবর্ষী এই নিদর্শনগুলোকে ঘিরে থাকা রহস্যের সংখ্যাও কিন্তু নেহাত কম নয়। এমনই ৫টি…

Read More

কয়েক বিলিয়ন বছর ধরে অগণিত বিপর্যয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করে টিকে আছে আমাদের পৃথিবী। তার এই টিকে থাকার লড়াইয়ে মানুষ পেয়েছে বসবাসের জায়গা। কিন্তু, যদি এমনটা হয়, ভেসে বেড়ানো পৃথিবী নামের এই পাথর এমন মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি হলো; যা তার বুকে আশ্রয় নেওয়া মানবজাতিকে ধ্বংস করে ফেলল? এমন সম্ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটতে পারে বেশ কিছু উপায়ে। সেরকম ৫টি উপায় নিয়ে এই আয়োজন। গ্রহাণু ঝড় যদি কোন গ্রহাণু ভীষণ শক্তি ও তাপ নিয়ে পৃথিবীর কোন সমুদ্রে আঘাত করে, তবে সমুদ্রে সৃষ্টি হতে পারে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) প্রবল তাপ, গ্রহাণু যদি এত ব্যাপক তাপ উৎপন্ন করার মতো ততটা বড় হয়ে থাকে। এর…

Read More

ব্যাংককের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক কেন্দ্র সুখুমভিট রোডকে আলোকিত করা নিয়ন সাইনবোর্ডগুলোর মধ্যে এক নতুন প্রতীকের উদয় হয়েছে। পাঁচ-পাতাযুক্ত সবুজ গাঁজা পাতার এই আকস্মিক সার্বজনীনতা জোর গলায় ঘোষণা করছে, গত জুন মাসে গাঁজাকে বৈধ করার পর থেকে থাইল্যান্ডে এক বিশাল পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। ব্যাংককের বিবিসি অফিস থেকে দুই কিলোমিটার পূর্বে ৪০টিরও বেশি দোকান আছে, যারা গাঁজা ফুলের কুঁড়ি এবং এগুলোকে সেবন করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম বিক্রি করে। এছাড়া, ‘উইড ইন থাইল্যান্ড’ নামের ওয়েবসাইটটি ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৪ হাজার প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করেছে, যারা দেশটিতে গাঁজা এবং এটি খাওয়ার অন্যান্য সরঞ্জাম বিক্রি করে। থাইল্যান্ডে গত জুন মাস পর্যন্তও কেবল গাঁজা…

Read More