Author: ডেস্ক রিপোর্ট

চিকিৎসাশাস্ত্র মানব সভ্যতার প্রাচীনতম শাস্ত্র। এই শাস্ত্রে অবদান রেখেছেন অনেক মুসলিম চিকিৎসাবিদ। এছাড়াও মানব সভ্যতার বিকাশে শিল্প, সাহিত্য, দর্শন, আইন, জ্যোতির্বিদ্যাসহ নানা বিষয়ে মুসলিমদের অবদান প্রশংসার যোগ্য। তবে আজ আলোচনা করবো চিকিৎসাশাস্ত্রে মুসলিমদের অবদান নিয়ে। আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্র এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পেছনে যেসব মুসলিম বিজ্ঞানী অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছেন, চলুন জেনে নিই সেসব মুসলিম চিকিৎসাবিদ সম্পর্কে। ইবনে সিনা সর্বকালের অন্যতম সেরা চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক আবু আলী হুসাইন ইবনে সিনা। তিনি উজবেকিস্তানে (৯৮০-১০৩৭) জন্মগ্রহণ করেন। ইউরোপে তিনি আভিসিনা নামে পরিচিত। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ওপর ‘আল কানুন্’ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ। একে চিকিৎসাশাস্ত্রের বাইবেল বলা হয়। পাঁচ খণ্ডে এবং ৮০০ পরিচ্ছেদে লেখা গ্রন্থে তিনি…

Read More

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের বাজেটে সুদ খাতে ৮০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিল সরকার। কিন্তু ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসেই এ খাতে ৫৬ হাজার ২২২ কোটি টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। সে হিসাবে আট মাসে সুদ খাতে বরাদ্দের ৭০ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে। অর্থবছরের বাকি সময়ে এ খাতে সরকারের ব্যয় আরো বাড়বে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী দু-তিন বছরের মধ্যেই বিদেশী ঋণ পরিশোধের চাপ অনেক বেড়ে যাবে। বিশেষ করে চীন, রাশিয়া ও ভারত থেকে নেয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে। এ অবস্থায় ডলারের সংস্থান না হলে যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করা নিয়ে সরকারকে চাপে পড়তে হবে। কারণ…

Read More

ব্লু হোল হল সমুদ্রের নীচে পাওয়া বড় সিঙ্কহোল বা বিশাল গর্ত, যা উপকূলীয় এলাকায় পাওয়া যায়। অর্থাৎ সমুদ্রের মাঝে বা কোনও দ্বীপের আশেপাশে দৈত্যাকার রন্ধ্রকে ব্লু হোল বলা হয়। সমুদ্রের স্বাভাবিক গভীরতার চেয়ে এই ব্লু হোল গুলির গভীরতা অনেক বেশি। ব্লু হোলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সূর্যালোক পৌঁছয় না। তবুও এতে অনেক প্রবাল, সামুদ্রিক কচ্ছপ এবং হাঙ্গর সহ উদ্ভিদ এবং সামুদ্রিক জীবন রয়েছে। তারা যেন দীর্ঘ সময় ধরে পরিবেশের সঙ্গে বেশ ভালভাবেই খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে। আকাশ থেকে সমুদ্রে চোখ রাখলেও আলাদা করে ব্লু হোলের অস্তিত্ব বোঝা যায়। কারণ ওই সামুদ্রিক রন্ধ্রগুলির উপরের জলভাগকে, আশপাশের জলভাগের চেয়ে বেশি নীল দেখায়। বিজ্ঞানীদের…

Read More

১,৩০,০০০ বছর আগে জলবায়ুর দুইটি নির্দিষ্ট পরিবর্তনের প্রভাবে মানুষের তখনকার নিরাপদ বাসস্থান আর বসবাসের উপযোগী রইল না, পরিবর্তে সৃষ্টি হলো একটা ‘সবুজ রাস্তা’ যে রাস্তা ধরে মানুষ তাদের এতদিনের চিরচেনা আপন আবাস ছেড়ে বেরিয়ে পড়ল। এটাই ছিল আদি মানুষের প্রথম অভিযান যদিও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মানুষ তখনও মাকগাদিকগাদি (মোটামুটি ২লক্ষ বছর আগে আমরা বিচরণ করছিলাম আফ্রিকার বোতসোয়ানার উত্তর-পূর্বদিকের জাম্বেজি নদীর দক্ষিণতীর ঘেঁষে।) থেকে গিয়েছিল আদিম বাসভূমিতে। সবুজ রাস্তা মানুষকে সাহায্য করেছিল বৈরি জলবায়ুর কবল থেকে মুক্ত হয়ে ভবিষ্যতে বেঁচে থাকার দিশা দিতে। তাহলে কেন মানুষ প্রথম আশ্রয় ছেড়ে গেল? নিশ্চিতভাবেই মানুষের আদি নিবাসের জলবায়ু এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রচণ্ড বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল।…

Read More

মোটামুটি ২ লক্ষ বছর আগে (একদল বিজ্ঞানী বলছেন আধুনিক মানুষের আবির্ভাবের সময় নিয়ে যদিও বিজ্ঞানী মহলে যুক্তি, প্রতিযুক্তি এবং দ্বান্দ্বিক তত্ত্ব প্রচলিত আছে, তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করতে বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও আছে) আমরা বিচরণ করছিলাম আফ্রিকার বোতসোয়ানার উত্তর-পূর্বদিকের জাম্বেজি নদীর দক্ষিণতীর ঘেঁষে। মানুষের জীন বিশ্লেষণ করে, জলবায়ু পরিবর্তনের ধারাবাহিক তথ্য ঘেঁটে এবং প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করে ডারউইন বিশেষজ্ঞ এমা বিটুয়েল ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবরে ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশ করেন ‘প্রাচীন মানুষের আদি জন্মভূমি এবং তাদের বাসস্থান’ বিষয়ক গবেষণাটি। নেচার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে পিএইচডি গবেষক গারভান ইন্সটিটিউট ফর মেডিকেল রিসার্স এবং সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনতত্ত্বের গবেষক ভানেসা হায়েস বলেছেন, আমাদের ‘আদি মানুষের বাসস্থান’ ছিল…

Read More

মহাবিশ্ব কীভাবে শুরু হোল, কবে শুরু হোল, কে শুরু করলো, মহা বিস্ফোরণের (big bang) পূর্বে কী ছিল, বৃহৎ সম্প্রসারণ কীভাবে শুরু হোল, কীভাবেই বা মহাবিশ্ব ধ্বংস হবে এই সব প্রশ্ন আজকের না। যুগের পর যুগ ধরে মানুষ এই প্রশ্ন করে আসছে। যে কোন একটা ধর্ম গ্রন্থ খুলে দেখুন, দেখবেন এই মহাবিশ্ব কিভাবে এল, কে বানাল, মানুষ কিভাবে এল, মহাবিশ্বের ধংস কিভাবে হবে এই সব বিষয়ে কিছু না কিছু আলোচনা পেয়ে যাবেন। যদিও সে সবই কল্পনা। সেখানে পরীক্ষালব্ধ ফলাফলের কোন জায়গা নেই। অধিকাংশ মন গড়া গল্প। কিছু কিছু আধুনিক বৈজ্ঞানিক ধারনার সাথে মিলে গেলেও তা বিজ্ঞান নয়, সেগুলি নিতান্ত কিছু মন…

Read More

ইউরোপীয় ইউনিয়নে অবৈধ অনুপ্রবেশের পর উদ্বাস্তু হিসেবে স্বীকৃতি পেতে বাংলাদেশিরা মূলত ইতালি এবং ফ্রান্সকেই বেছে নিচ্ছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের উপাত্তে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ইউরোপে অনেক অভিবাসন প্রত্যাশী ভূমধ্যসাগর দিয়ে অবৈধপথে পাড়ি জমান আবার কেউ যান বৈধপথে। গত দুই বছরে ৫০ হাজার ৭৯০ বাংলাদেশি ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। কেন এত বিপুল সংখ্যক মানুষ সুরক্ষা চাইছে? ইউরোপে বাংলাদেশিদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন ক্রমেই বাড়ছে। বৈশ্বিক অস্থিরতায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই ইউরোপের দেশগুলোতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার আবেদন বেড়েছে। বাংলাদেশি আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও এ হার ঊর্ধ্বগামী। ইউরোপের ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন…

Read More

ঈদগাহের বাইরে রাস্তায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করায় ভারতে ২ হাজার মুসল্লির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ঈদগাহের বাইরের রাস্তায় অনুমতি ছাড়া ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। আর এই ‘অপরাধেই’ তিনটি এফআইআর-এ ২ হাজারেরও বেশি মুসল্লির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পুলিশ। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। অথচ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার ৭০ বছরের বেশি সময় পরও, সাধারণত ভারতীয়রা মনে করেন যে তাদের দেশ স্বাধীনতা-পরবর্তী আদর্শগুলির অন্তত একটিকে সমুন্নত রাখতে পেরেছে: পিউ রিসার্চ সেন্টাররের একটি নতুন সমীক্ষা অনুযায়ী, এটি হল ভারত এমন একটি…

Read More

বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার। এ তথ্য বিদায়ী অর্থবছরের (২০২১-২২)। অথচ দেশের এক-তৃতীয়াংশ পরিবার ধার করে চলছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ খানা আয়-ব্যয় জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ছয় বছরের ব্যবধানে দেশের মানুষের পরিবারপ্রতি ধার বা ঋণ করা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সম্প্রতি খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এর প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করেছে বিবিএস। কী বলছে জরিপ? জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৩৭ শতাংশ পরিবার গত এক বছরে হয় কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান, নয়তো বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ঋণ বা ধার করেছে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জরিপকালে গড়ে ৩৭ দশমিক শূন্য ৩…

Read More

পৃথিবীর ইতিহাসে মহান শাসকদের অন্যতম আকবর দি গ্রেট। মুঘল সম্রাটদের সেরা সম্রাটের পুরো নাম জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর। নিজের শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে সম্রাট আকবর ইতিহাসকে যতটা প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন, ততটা খুব কম ভারতীয় শাসকই করতে পেরেছিলেন। তাকে ভারতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে ধরা হয়। তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট ছিলেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে আকবর ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন। ইতিহাস বইতে ‘মুঘল সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক’ হিসেবে তাঁর ছবিটিই উঠে এসেছে বারবার। দিল্লি, আগ্রা জুড়ে অসংখ্য কীর্তি তাঁর। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ ভিড় জমান সেসব জায়গায়। এদেরই মাঝে আগ্রার ওয়াজিরপুরের পাশে, সিভিল লাইনস কমলা নগরের ঠিকানায় দাঁড়িয়ে আছে আরও একটি স্থাপত্য। হলুদ-সাদা রঙের…

Read More