বগুড়ায় জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটি নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মধ্যে বিক্ষোভ চলছিল। এরমধ্যে সংগঠনের এক বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে র্যাব-১২ বগুড়া। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আটককৃত নেতাকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মুহূর্তের মধ্যে র্যাবের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, বগুড়ায় বিক্ষোভ চলার সময় ছাত্রলীগের এই নেতাকে আটকের পর র্যাবের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় মুজিব মঞ্চের সামনে আজ মঙ্গলবার বিকেলে ওই নেতাকে ছিনিয়ে নেন ছাত্রলীগের অন্য নেতা-কর্মীরা। এ সময় বগুড়া র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার তৌহিদুল মবিনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
ছিনিয়ে নেয়া ছাত্রলীগ নেতার নাম আব্দুর রউফ। তিনি বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নিজ দলীয় ছাত্রনেতা তাকবীর ইসলাম খানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি তিনি। এই মামলার কারণে ছাত্রলীগ থেকেও ইতোপূর্বে রউফকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ৭ নভেম্বর সজীব সাহাকে সভাপতি ও মাহিদুল ইসলাম জয়কে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগের ৩০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে কাঙ্খিত পদ না পেয়ে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা দেড়মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার হামলা-মামলার ঘটনাও ঘটেছে।
এরপর থেকেই নতুন কমিটির নেতারা তালা ভাঙছেন, বিদ্রোহীরা নতুন করে তালা ঝুলিয়ে দিচ্ছে। এভাবে প্রায় দেড় মাস ধরে চলছে। এর জেরে গত সোমবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এর আগে ছাত্রলীগ কার্যালয়ের দরজা কেটে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জনায়, মঙ্গলবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়ের আনুসারীরা। এই বিক্ষোভ মিছিলের মধ্যেই ছিলেন বগুড়া আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে তাকে সাতমাথা এলাকা থেকে র্যাবের একটি দল তাকে আটক করেন। বিষয়টি টের পাওয়া মাত্রই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে জোর করে রউফকে ছিনিয়ে নিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় শ্লোগান দিতে দিতে দলীয় কার্যালয় এলাকায় অবস্থান নেন।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে র্যাব-১২ এর কোম্পানি কোমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মবিন খান বলেন, ‘আমরা অন্য একজনকে ভেবে তাকে আটক করেছিলাম। পরে তার নাম পরিচয় জানার পর আমরা ছেড়ে দিয়েছি।’
ছাত্রলীগ নেতারা তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তৌহিদুল মবিন খান বলেন, ‘এখানে ছিনিয়ে নেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে তাকে নিয়ে গেছে।’
আপনার মতামত জানানঃ