সুন্দরবনকে বাঁচাতে বাংলাদেশ সরকারের নানামুখী উদ্যোগের পাশেই সুন্দরবন ধ্বংসের সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনকে বিপন্ন করে তুলবে, বিশেষজ্ঞদের এমন মন্তব্য কানে তোলেনি সরকার। এবার ঘরে এসে দু’কথা শুনিয়ে গেলেন জন কেরি। তবে তাতেও সরকারের কোন হেলদোল আশা করা যাচ্ছে না। প্রায় গুছিয়ে নিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মান কাজ। আগামী ডিসেম্বর থেকেই শুরু হবে বিদ্যু উৎপাদন। শুরুর কতশত প্রশ্ন গায়ে না মাখা এই আওয়ামী লীগ সরকার, এই শেষ মুহূর্তে এসে কারও কথায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ থামাবে, সে আশার গুড়ে বালি।
এর আগে ২০১৭ সালে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ বন্ধের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানান যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পরিবেশবাদী আল গোর। ওই বছরের জুনে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের কর্ম-অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসেই সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর ওই অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন আল গোরকে বলেছিলেন, বাংলাদেশে এসে সুন্দরবন ঘুরে যান। দেখুন প্রকল্পটি পরিবেশের কোনো ক্ষতি করছে কি না।
সরকারের তীব্র সমালোচনায় জন কেরি
৯ এপ্রিল মাত্র সাড়ে ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা সফরে এসে সুন্দরবন নিয়ে কোনও রাখঢাক না রেখেই বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনাতেই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির বিষয়টি তুলেছেন তিনি।
অবশ্য রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় তুললেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় এ নিয়ে কিছু বলেননি কেরি। তবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যে পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম বড় কারণ, এটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেছেন। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতিবাচক অবস্থানের বিষয়টি বৈঠকে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকায় নামার ঘণ্টা দেড়েক পর জন কেরি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রথমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা আলোচনায় তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
একপর্যায়ে সুন্দরবনের প্রসঙ্গটি উঠলে জন কেরিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সুন্দরবনকে বাঁচানোর জন্য সরকার বনায়ন করার পাশাপাশি নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তার এই বক্তব্যের পর জন কেরি বলেন, সুন্দরবন নিয়ে বাংলাদেশের কর্মকাণ্ডে তিনি কনফিউজড! একদিকে বাংলাদেশ সুন্দরবনকে বাঁচানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, আবার সেখানে রামপালের মতো প্রকল্পও করছে। এটা কী করে সম্ভব!
সূত্র মতে, সুন্দরবন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূতের মন্তব্যের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
আলোচনার শেষ পর্যায়ে জন কেরি আবারও সুন্দরবন আর রামপালের প্রসঙ্গটি তোলেন। আব্দুল মোমেনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘ক্যান আই মেইক আ আউটরেজাস কোয়েশ্চন? ক্যান ইউ স্টপ রামপাল?’
তখন জন কেরিকে জানানো হয়, পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টিকে বাংলাদেশ সব সময় গুরুত্ব দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সুন্দরবনকে রক্ষার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ চলছে।
তবে এদিকে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ এ মুহূর্তে অনেকটা এগিয়ে গেছে। তাই এ নিয়ে কেউ আপত্তি জানালে এটা নিয়ে সরকারের তেমন কিছু করার নেই।
কতটা ক্ষতি হবে সুন্দরবনের?
তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ মনে করেন রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সুন্দরবন যে কতটা ক্ষতির সম্মুখীন হবে, তা জানতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই৷ এই বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু নিজেই ক্ষতি করছে না, একে কেন্দ্র করে নানান যে ব্যবসা বাণিজ্য আসছে, সেগুলোও সুন্দরবনের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে৷
রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা থেকে সুন্দরবনের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দূরত্ব মাত্র ১৪ কিলোমিটার৷ তবে বাংলাদেশ সরকারের হিসেবে প্রকল্প এলাকা থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব নাকি ৬৯ কিলোমিটার৷ কিন্তু মংলা শহরের পশ্চিম পাড়ে ঢাংমারী এলাকা থেকেই মূলত সুন্দরবনের শুরু৷ এ এলাকা থেকেই বেঙ্গল টাইগারসহ সুন্দরবনের প্রায় সব বন্যপ্রাণীর বিচরণ আছে৷ রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা থেকে এই ঢাংমারীর দূরত্ব মাত্র ১৪ কিলোমিটার৷
রামপালে ৬৬০ মেগাওয়াটের দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দীর্ঘ সময় লাগছে। এই দীর্ঘ সময়ে নির্মাণ কাজের ফলে সুন্দরবনের পরিবেশের উপর প্রভাব পড়বেই৷ নির্মাণ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নদী পথে পরিবহন করার ফলে বাড়তি নৌযান চলাচল, তেল নিঃসরণ, শব্দদূষণ, আলো, বর্জ্য নিঃসরণ ইত্যাদি কারণে সুন্দরবনের ইকো সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সামনে আরও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে৷
রামপালের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত সালফার ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড নির্গত হবে, যার সরাসরি শিকার হবে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবন৷ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে পোড়ানোর জন্য হাজার হাজার টন আমদানীকৃত কয়লা সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে পরিবহন করা হবে৷ যে কারণে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে প্রায় সারা বছর ধরে কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ চলাচল করে গোটা সুন্দরবনের পরিবেশকে ক্ষতাগ্রস্ত করবে৷
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সমুদ্র পথে যে কয়লা আমদানী করা হবে, সেগুলো সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজের মাধ্যমে পশুর নদীর বিভিন্ন এলাকায় খালাস করার কারণে প্রচুর কয়লা সরাসরি নদীতে পড়তে পারে, যা সৃষ্টি করবে দূষণের৷
কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ থেকে কয়লা, তেল, ময়লা আবর্জনা, দূষিত পানিসহ বিপুল পরিমাণ বর্জ্য নিঃসৃত হয়ে নদী-খাল-মাটিসহ গোটা সুন্দরবন দূষিত হবে৷ এছাড়া জাহাজের ঢেউয়ে দু’পাশের তীরের ভূমি ক্ষয় হবে, রাতে জাহাজ চলাচল করলে সার্চ লাইটের আলো মারাত্বক প্রভাব ফেলবে বন্যপ্রাণীদের জীবনচক্রের উপরও৷
বিশেষজ্ঞদের মতামত
সুন্দরবনের পাশে বাগেরহাটে রামপালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে ভারতের এনটিপিসি লিমিটেডের সঙ্গে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নিয়ে দেশে-বিদেশে পরিবেশবাদীরা প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনার শুরু থেকেই।
পরিবেশবাদী কর্মীরা দাবি করেন যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রস্তাবিত অবস্থান রামসার কনভেনশনের শর্ত তথা আইন লঙ্ঘন করবে। রামসর কনভেনশন, যা বাংলাদেশের একটি স্বাক্ষরকারী, জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক পরিবেশ চুক্তি। সুন্দরবন রামসারের আন্তর্জাতিক গুরুত্বের জলাভূমিগুলির তালিকাতে রয়েছে।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রতি বছর ৪.৭২ মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করতে হবে। এর জন্য ৮০,০০০ টন ক্ষমতার প্রায় ৫৯ টি বিশাল মালবাহী জাহাজের প্রয়োজন হবে এবং জাহজগুলোকে পশুর নদীর তীরে জাহাজ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে। বন্দর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে নদী পথে কয়লাবাহী জাহাজ চলাচল করবে এবং এর মধ্যে নদীর প্রবাহ পথও রয়েছে। পরিবেশবিদদের মতে এই কয়লা বহনকারী যানবাহন প্রায়ই আবৃত হয়, যার ফলে ফ্লাই অ্যাশ, কয়লা ধুলো এবং সালফার, এবং অন্যান্য বিষাক্ত রাসায়নিক বিশাল পরিমাণ ছড়িয়ে পড়ে প্রকল্প এলাকার আশেপাশে।
২০১৮ সাল থেকে ইউনেসকো রামপাল প্রকল্প নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে। তারা সুন্দরবনের পাশ থেকে রামপাল প্রকল্প সরিয়ে ফেলতে বলেছে। ইউনেসকো ও প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএন রামপাল প্রকল্প নিয়ে করা সমীক্ষায় বলেছে, এ প্রকল্প হলে সুন্দরবনের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। এ ধরনের ক্ষতি হলে সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের সম্মান হারাতে পারে বলেও একাধিকবার হুঁশিয়ার করেছে ইউনেসকো।
এ ব্যাপারে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রামপাল প্রকল্পে যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিম্নমানের। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে। সুন্দরবনের ক্ষতি করে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ দেশের পরিবেশ, অর্থনীতি ও সম্মানের জন্য ক্ষতিকর।
ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র
২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ইতোমধ্যে (ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) এ প্রকল্পের ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কাটিয়ে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বর্তমানে ৭ হাজারের অধিক শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। বাকি ৩৮ শতাংশ কাজও ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। আগামী বছরে কেন্দ্রটি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়ে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে বলে প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।
সূত্র মতে, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুই ইউনিট বিশিষ্ট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের প্রথম ইউনিট ২০২১ সালের শেষ দিকে এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২২ এর প্রথম দিকে উৎপাদনে যাবে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, নির্মাণাধীন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিটের কাজ পুরোদমে চলছিল। ২০২০ সালের মার্চে করোনা ভাইরাসের কারণে কাজের গতি কমে যায়। ভারতীয় অনেক শ্রমিককে তখন দেশে পাঠাতে হয়েছিল। এখন সে অবস্থা কাটিয়ে ভারতীয় দক্ষ সকল শ্রমিকরা ফিরে আসায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে বয়লার, টারবাইন্ড, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, কুলিং টাওয়ার, জেটি, কোল্ডশেড ইয়ার্ড এগুলোর নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলছে।
বর্তমানে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাংলাদেশি শ্রমিকসহ ৭ হাজারেরও অধিক শ্রমিক কর্মরত আছেন। ইতোমধ্যে ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের একটি এমইউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরে ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানির (এনটিপিসি) মধ্যে জয়েন্ট ভেঞ্চারে বাগেরহাট জেলার রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে বাগেরহাটের রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট প্রকল্পের যাত্রা শুরু করে। জমি অধিগ্রহণ শেষে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ কাজ শুরু করে। বর্তমানে ১ হাজার ৮৩৪ একর জমির ওপর প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। যা ২০২১ সালের মধ্যে উৎপাদনে আসবে।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/২০৫২
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ