অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে র্যাপিড একশান ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল পুলিশ। আজ শুক্রবার (৯ এপ্রিল) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন সেনাবাহিনীর ও একজন বিমানবাহিনীর সদস্য।
শুক্রবার গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে তিনজন সেনাবাহিনীর ও একজন বিমানবাহিনীর সদস্য।
তিনি জানান, অপহরণ করে চাঁদা নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার চার জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা হলেও চারজনকেই তাদের নিজ নিজ বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদের বিচার নিজ নিজ বাহিনীর আইন অনুযায়ী হবে।’
পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় জড়িত আরও দু’জন পলাতক আছেন। তাদের মধ্যে একজন বিজিবির সদস্য ও একজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনীর সদস্য নন। তিনি সাধারণ মানুষ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের নিজ নিজ বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী তাদের বিচার হবে। তবে আসামিদের নাম প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জাতীয় এক দৈনিককে বলেন, আটককৃত চারজনকে পুলিশের পক্ষ থেকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তবে কাউকে অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত পাওয়া গেলে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানান, আইনের রক্ষক হয়ে যখন র্যাব অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, একজন অপরাধীর চেয়ে বেশি শাস্তি দেওয়া উচিত। অথচ আমাদের দেশে সম্পূর্ণই এর বিপরীত। অপরাধ জগতের ডন হয়েও শাস্তি পায় সাময়িক বরখাস্ত অথবা অন্যকোনো লঘু শাস্তিতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, র্যাবের বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার হার আশংকাজনক। প্রায়ই র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে বিভিন্ন অপকর্মের। এবিষয়ে র্যাব কর্তৃপক্ষসহ দেশের সরকাকেও নজর বাড়াতে হবে। কেননা, আইন রক্ষাকারী কর্তৃক একেরপর এক আইন বিরোধী কর্মকাণ্ডে দেশের আইনের প্রতি মানুষের অনাস্থা জন্মাবে। ফলশ্রুতিতে দেশে দেখা দিবে বিশৃঙ্খলা। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনের খড়্গ চালানোর আগে র্যাবের ওপর চালানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৭৩১
আপনার মতামত জানানঃ