টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রির অপরাধে ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কালাম আজাদকে (৪৫) দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাতে উপজেলার থলপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অর্থদণ্ডের আদেশ দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. জোবায়ের হোসেন।
আদালত সূত্র জানায়, আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে থলপাড়া এলাকায় ভেকু মেশিন দিয়ে রাতের আধারে অবৈধভাবে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করছিলেন। মাটি ভর্তি ট্রাক চলাচলের কারণে কুরনি-ফতেপুর সড়কের ব্যাপক ক্ষতি ও ধুলায় রাস্তার পাশের ঘরবাড়িতে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জোবায়ের হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে মাটি ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এদিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিএনপি ও যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে নদীর মাটি লুট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাজিব হোসেন ও যুবলীগ নেতা প্রান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে লৌহজং নদীর গুনটিয়া সেতু ও গুনটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে এসকাভেটর দিয়ে মাটি লুট করা হচ্ছে। অতিরিক্ত মাটিবোঝাই ১০ চাকার ড্রাম ট্রাক ভর্তি করে এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক যাতায়াত করায় সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আগামী বর্ষায় সেতু ও বিদ্যালয়টি ঝুঁকিতে পড়বে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছে।
এ ছাড়া গুনটিয়া-পাকুল্যা সড়কে মাটিভর্তি ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কের দুইপাশের বাড়িঘর ধুলায় ঢেকে গেছে। মাটি বিক্রেতাদের ভয়ে তারা কোনো প্রকার প্রতিবাদও করতে পারছে না বলে অভিযোগে জানা গেছে। এ ছাড়া নদীর পার থেকে মাটি কাটার কারণে নদীর তীরবর্তী জমিও নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
উপজেলা পরিষদের সভায় একাধিকবার মাটি কাটার বিষয়টি উত্থাপন করা হলেও মাটি কাটা বন্ধ হয়নি বলে ইউপি চেয়ারম্যান আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাদেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে রয়েছেন অসংখ্য বিতর্কিত নেতাকর্মী। যাদের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা অভিযোগ করতেও ভয় পান। তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সরকারের ব্যাপক অর্জনের মধ্যেও সমালোচনা হচ্ছে। বিতর্কিত এসব নেতার পৃষ্ঠপোষকতা করছেন একশ্রেণির সংসদ সদস্য। এ কারণে তাদের দাপট অনেক বেশি। স্থানীয় থানা ও প্রশাসন যুবলীগ-কাউন্সিলর এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছে না। কোনো কোনো কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিতে গেলে ঐ কর্মকর্তাকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত কর্মকর্তা বলে বদলিসহ নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। সরকারের সমালোচনা ঠেকাতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এবিষয়ে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের যথাযথ ভূমিকা পালনের দাবি জানান তারা।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৭০৩
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগীতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগীতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
[wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ